পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজদিগের সহিত যুদ্ধ Qo X লাভ করিতে হইলে, প্রথমতঃ সেই সকল বিষয়ের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং আশা-বীজ রোপণ করা, ইংলণ্ডের একমাত্র কর্তব্য ॥৬১ ৬১। বর্তমান সময় পযন্ত ইংলণ্ড, ভারতবাসীর মনে কোন স্থায়ী-চিহ্ন অঙ্কিত করিতে পারেন নাই। তবে ইংরাজগণ ভারতে অত্যাবশ্যকীয় সামরিক পদ্ধতি প্রবর্তন করিয়াছেন। বস্তুতঃ, বিচক্ষণতার সহিত নানা ব্যবস্থা-বন্দোবস্ত সম্পন্ন করিয়া, শাসনক্ষম শক্তি বলিয়া গণিত হওয়ার পক্ষে তাহারা যথেষ্ট চেষ্টা করিতেছেন। তথাপি ইংরাজদিগের প্রতিভা-শক্তি তখনও ভারতবাসীর মন অধিকার করিতে পারে নাই ; কিংবা ভারতবাসীর অন্তর তাহাতে পরিপূর্ণ হয় নাই। শিক্ষিত পণ্ডিতগণ যতদিন সংস্কৃত এবং পারস্ত ( Arabic ) ভাষায় জনসাধারণকে শিক্ষণ দিতে সমর্থ না হইবেন, ততদিন ভারতবর্ষ ইউরোপীয় জানালোকে উদ্ভাসিত হইবে না ; স্বতরাং অধ্যাবসায়ের সহিত এই দুইটি ভাষা শিক্ষা করা কর্তব্য। বস্তুত:, সেই ভাষাদ্বয়ের সারসত্ব হেতুই যে তাহা শিক্ষা করিতে হইবে, তাহা নহে ; পরস্তু শিক্ষা দিবার পক্ষে সেই ভাষাই একমাত্র উপায়স্বরূপ। স্ব স্ব অভ্যস্ত ভাষায় প্রকাশিত হইলে, “জিমনসফিষ্ট" বা ভারতীয় দার্শনিক এবং উলেমাগণ, গণিত এবং তর্ক-শাস্ত্র সম্পৰ্কীয় সর্বপকার বিষয়েই সন্মতি জ্ঞাপন করিতে পারেন। এবং তাহারা যে বিষয়ে শিক্ষালাভ করিয়াছেন, আবশ্যকমত তাহাও জনসাধারণের নিকট ব্যক্ত করিতে সমর্থ হন। বর্তমান সময়ে অসম্পূর্ণ বঙ্গ-ভাষার সাহায্যে জ্ঞানালোৰু বিস্তারের চেষ্টা হইতেছে। কিন্তু এরূপ শিক্ষা-প্রণালী প্রবর্তনে, অতি ধীরে ফল লাভ হইবে। সম্ভবতঃ শক্তিশালী ব্যক্তিবর্গের বিদ্বেষ-ভাব বশতঃই এইরূপ উপায় অবলম্বিত হইয়াছে। এরূপ প্রচারে কখনও সিদ্ধিলাভ হইবে না। কিন্তু যথেষ্ট প্রমাণ প্রয়োগ এবং দৃষ্টান্ত ও চিত্র প্রভৃতি দ্বারা বৈজ্ঞানিক তত্ত্বগুলি য্যাখ্যা করিয়া বিশদভাবে সর্বসাধারণের গোচরীভূত করিতে পারিলে, হয়তো কোনরূপ ফললাভ হইতে পারে। আংশিক বা প্রাথমিক শিক্ষার জন্ত অধিকাংশ স্কুল-পাঠ্য পুস্তকের স্থায় অসম্পূর্ণ ও অবিশুদ্ধ বর্ণনায় উদ্দেশ্য সাধন হইবে না। এই সমুদায় স্ববৃহৎ ও স্ববিস্তৃত গ্রন্থের প্রতিলিপি, সংস্কৃত অথবা পারস্য ভাষায় মুদ্রিত হইলে, শিক্ষিত ভারতবাসীর গর্ব অতি সহজেই খর্ব হইত। টোলেমির জ্যোতিষ-শাস্ত্র এবং ইউক্লিডের জ্যামিতি, সংস্কৃত ভাষায় মুদ্রিত হওয়ার, উহা ব্রাহ্মণগণের পাঠ্য-পুস্তকরূপে নির্দিষ্ট হয়। বর্তমান যুগে যাহারা উন্নতি বিধানে যত্বপর হইয়াছেন, তাহারা যেন সে বিষয় কখনও বিস্কৃত না হন। লাটিন ভাষার সাহায্যে, কপারনিকাস, গ্যালিলিও, বেকন এবং নিউটন প্রভৃতি দার্শনিক পণ্ডিতগণ পদার্থ বিজ্ঞান এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞান সর্বসাধারণের নিকট প্রকাশ করেন। প্রথমতঃ যাহারা খৃষ্টধর্ম প্রচার করিতে প্রবৃত্ত হন, তখন তাহারা বিখ্যাত এবং বহুবিস্তৃত রোমান এবং গ্রীক ভাষাই শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করিয়াছিলেন ; প্রাচীন হিব্রু ভাষা এবং গল, সিরিয়া আফ্রিকা এবং এশিয়া মাইনরের অসম্পূর্ণ ভাষাসমূহ তাহার কখনও গ্রহণ করেন নাই। উভয় পক্ষেই সেই নব-গৃহীত ভাষায় ধর্ম প্রচারিত হইত। তাহাতে ওরিজেন, আংরেনিয়স, টাটুলিয়ন এবং রোমের ক্লিমেন্টের ধর্মবিশ্বাস আরও বৃদ্ধি হইয়াছিল, এবং আরও আধুনিক দার্শনিকগণের ধর্ম-বিশ্বাসও তাঁহাতে বধিত হইতে আরম্ভ হয়। সেইরূপ ভারতবর্ধেও সংস্কৃত, আরবী এবং পারসী ভাষার সাহায্যে সর্ব বিষয়ই জনসাধারণের গোচরীভূত করা যাইতে পারিত, এবং তর্কশাস্ত্রের প্রমাণসমূহ আরও সঠিক হইত। স্থানীয় এবং ইংরাজী ভাষার সাহায্যে শিক্ষা-দান হওয়ায়, কলিকাতা সহরে বিজ্ঞান শাস্ত্রের আলোচনায় অনেকটা স্বফল ফলিয়াছে। প্রধানতঃ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপকদিগের অধ্যবসায় এবং কাৰ্যকুশলতার গুণেই ভিন্ন ভিন্ন পরিবার এবং বংশের ও জাতির ভারতীয় বালকগণ, মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ করিতে উদ্ধ হইয়াছিল। পূর্বে যে সকল বিষয় বর্ণিত হইয়াছে, বক্ষ্যমান প্রসঙ্গে তাহার বিরুদ্ধবাদী DDDS DD DD DS DDDB BBBS BBB BB B BBDD DDD DDD DDDS BBBBDD DBDD BBB DDD DDDS DDBBDDS DBBBBBB BDD DDDDDD DDDBB BB DBDS