পাতা:পৃথিবী.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বাদী সম্মত। ১/২ প্রভৃতি অঙ্ক আরবেরা এ দেশ হইতে শিখিয়া ইয়োরোপে প্রচার করে। বহুকাল পূর্ব্বে আর্য্যগণ বীজগণিত জ্যামিতি প্রভৃতি শাস্ত্রে যাহা লিখিয়া গিয়াছেন, ইয়োরোপে তাহা সম্প্রতি আবিষ্কৃত হইয়াছে বলিলেই হয়। চিকিৎসা বিদ্যা ও রসায়ন, বিদ্যাতেও ভারতবর্ষীয়গণ জগতের গুরু। চরক ও সুশ্রুত গ্রন্থ আরবের নিজভাষায় অনুবাদ করিয়াছে এবং গ্রীকগণ ও ইহা এদেশ হইতে শিক্ষা করিয়াছে। ভৌতিক বিদ্যাতেও আর্যেরা অনেক উৎকর্ষ লাভ করিয়াছিলেন। প্রাচীন ন্যায়দর্শনে শব্দ উৎপত্তির তত্ত্ব বিশদ রূপে সন্নিবেশিত আছে। ন্যৈয়িকেরা বলেন যেমন কোন জলাশয়ে কোন গুরু বস্তু নিক্ষেপ করিলে ক্রমশঃ তাহাতে বৃহত্তর ও সূক্ষ্মতর তরঙ্গমালা উথিত হয়, শব্দও সেইরূপে উৎপন্ন। কিন্তু জলের তরঙ্গমালা একই দিকে অগ্রসর হইতে থাকে শব্দ সেরূপ নহে। যেমন কদম্ব পুষ্পের চারিদিকে সমান কেশর, শব্দও সেইরূপ সমান ভাবে বীচি তরঙ্গের আকারে চারিদিকে বিস্তৃত হয়। ইহা বর্তমান বিজ্ঞানের সম্পূর্ণ অভিমত।

 জ্যোতিব্বিদ্যাও হিন্দুদিগের দ্বারা প্রথমে আলোচিত। খৃষ্টের জন্মিবার তিন সহস্র বৎসর পূর্বে এদেশে জ্যোতিষ আলোচনা দেখা যায়। যদিও আমাদের দেশে প্রকৃত ইতিহাস নাই তথাপি অন্য সকল প্রাচীন গ্রন্থ হইতে