পাতা:পৃথিবী.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

te গ্রন্থে দেখিতে পাই না। কিন্তু ইহা হইতেই যে আমরা নিস্পত্তি করিড়ে পারি তাহারা মাধ্যাকর্ষণ জানিতেন না, তাহাও নহে। ভারতবর্ষে যে কত দূর বিজ্ঞানের উন্নতি হইয়াছিল আমরা তাহার সবিশেষ কিছুই জানি না, ভারতবর্ণ প্রকৃত ইতিহাসগৃষ্ঠ, ভারতবর্ষের পুস্তত্ব প্রভৃতি স্থায়ী কীৰ্তিসমূহও প্রায় বিলুপ্ত, এই অবস্থায় প্রচলিত শ্রুতি পরম্পরায় পৌরাণিক উপাখ্যানে, ও লুপ্তাবশেষ পুস্তকে আমরা যাহা কিছু দেখিতে পাই তাহাতে সেই প্রাচীন উন্নতির ছায়া মাত্র প্রকাশ পায় । পৌরাণিক উপাখ্যানে রূপক রূপে অনেক বৈজ্ঞানিক সত্য সন্নিবেশিত রহিয়াছে। এই যে ইউরোপীয় ভূতত্ত্ববিদের পৃথিবীর জীবনইতিহাসে চারিটি যুগের নির্দেশ করিয়াছেন পৌরাণিক আখ্যানে তাহারি কি পরিচয় পাওয়া যায় না ? পুরাতত্ত্ব অধ্যায়ী মাত্রেই জানেন, প্রাচীন কালে ভারতবর্ষে দুই প্রকারে সত্য শিক্ষা দেওয়া হইত। ব্রাহ্মণের শিষ্যদিগকে নিগূঢ় সভ্য শিক্ষা দিতেন, কিন্তু সেই সকল কঠিন সত্য সৰ্ব্ব সাধারণের দুৰ্ব্বোধ্য হইবে বুঝিয় তাহাই সাধারণের জন্য রূপকরূপে প্রচারিত হইত ; যথার্থ নিগূঢ় তন্তু সেই জন্য অতি অল্পলোকেই জানিত। সুতরাং ক্রমে যখন জাতীয় অবনতি আরস্ত হইল, কঠিন জ্ঞানাভ্যাস হইতে সকলে বিরক্ত হইত্বে লাগিল, তখন অল্পলোকনিবদ্ধ সত্য সকলও