পাতা:পৃথিবী.djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ১৬ ]

কেন্দ্র-স্বরূপ অবলম্বন করিয়া সূর্য্য ও নক্ষত্র সকল মণ্ডলাকারে তাহার চারি দিকে পরিভ্রমণ করে। যদিও টলেমির পূর্ব্ব্বর্ত্তী হিপার্কস নামে একজন জ্যোতির্বেত্তা এই মতটির উদ্ভাবক তথাপি দ্বিতীয় খৃষ্ট শতাব্দীর মধ্য ভাগে মিশর দেশীয় টলেমিই প্রথমে ইহাবিশেষ পরিষ্কার করিয়া লিপিবদ্ধ করেন এনিমিত্ত তাহার নাম হইতে জ্যোতিষ্ক-জগতের এই কল্পিত ভ্রমণ-প্রণালীকে টলেমিক প্রণালী কহে। খৃষ্টীয় ১৫ শ শতাব্দী পর্যন্ত্য ইউরোপে এই মত প্রবল রূপে প্রচলিত ছিল। পরে বিখ্যাত জ্যোতির্ব্বেত্তা কোপর্ণিকস ইহার ভ্রম দেখাইয়া সপ্রমাণ করেন যে পৃথিবী ২৪ ঘণ্টায় এক একবার আপনার মেরুদণ্ডের চারিদিক আবর্তন করে সেই জন্য সূর্য্য ও নক্ষত্রমণ্ডলীর ঐরূপ দৃশ্যমান গতি অনুভূত হয়। কিন্তু কোপর্ণিকস ইউরোপে ১৫ শ শতাব্দীতে যে সত্যটি প্রমাণ করেন ভারতবর্ষীয় পণ্ডিতগণ তাহার বহু পূর্বে সে সত্যটি জানিতেন। জ্যোতির্বিদ-শ্রেষ্ঠ আর্যভট্ট, কোপণিকসের প্রায় এক সহস্র বৎসর পূর্বে পৃথিবীর গতিবিধি পরিষ্কার রূপে বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন। এক সময়ে ভারতবর্ষে যে জ্যোতিষ শাস্ত্রের বিশেষ চর্চা হইয়াছিল তাহার আর সন্দেহ নাই। তথাপি দুর্ভাগ্য ভারতবর্ষ এজন্য যশস্বী হইতে পারিল না।

 যদি দুইটি বস্তুর মধ্যে একটি স্থির থাকে এবং অপরটি চলিয়া যায়, তাহা হইলে ঐ গমনশীল বস্তুর গতি দুই