পাতা:পৃথিবী.djvu/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ yፃፅ ] হইয়াছে। যদি ঔপুগিরিক স্রোত হইতে ইলেণ্ডের চতু স্পার্থস্থ সমুদ্র উষ্ণজল না পাইত তাহা হইলে ইংলণ্ড প্রায় মেরুসন্নিহিত দেশের মত শীত, প্রধান হইত। () পৃথিবীর কটি সন্নিহিত প্রদেশে সৰ্ব্বাপেক্ষ সূর্য্যের উত্তাপ বেশী, এ জন্য সেখানকার জল হইতে সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক থাকে ; এবং সেই বাম্পে পরিণত জলরাশির স্থান গ্রহণ করিবার জন্য মেরুর নিকটস্থ শীতল জলের শ্রোত বহিতে থাকে। এক কথায় বলিতে এই, জগতে যদি উষ্ণঃার বৈষম্য না থাকিত তাহা হইলে জগতের সমস্ত জীবন-রক্ষণ-কাৰ্য্য একেবারে বন্ধ হইয়। যুইত। অথচ উষ্ণতার একটি বিশেষ গুণ এই দেখিতে পাওয়া যায় যে চকুপার্থে সমান ভাবে বিস্তৃত হইবার দিকে ইহার প্রবণতা। কোন স্থানে কোন একটা অত্যন্ত উষ্ণ বস্তু বাল্লি ক্রমে তাহার উষ্ণতা চারিপাশে সমান ভাবে ১ ব্যাবু দে লেসেপ যে পানামার যোজকু খাল কাটিবার প্রস্তাব করিয়াছেন, এক খানি আমেরিকা-দেশীয় দংবাদ পত্র তাহাতে একটি গুঢ় অভিসন্ধি দেখিয়া বলেন যে, ফ্রান্সের চিরশত্রু ইংলণ্ডের অনিষ্ট সাধনের জন্তই এ প্রস্তাব। পানামার খাল কাটা হইলে ইলেণ্ডের জীবন রক্ষক ঔপসাগরিক উষ্ণ স্রোত এই নুতন পথে প্রবাহিত হইয়া ইংলণ্ডকে বাসের অযোগ্য করিবে। ইহা বোধ করি, কবি রামদাস শৰ্ম্মার ভারত-উদ্ধারের পাশ্চাত্য সংস্করণ।