পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৭ শেষ প্রশ্ন শুনিয়া সবাই হাসিল । নীলিমা অমুনয়ের সুরে কমলকে কহিল, মুখুয্যে মশায়ের আজকের মেজাজ দেখে যেন ওঁর বিচার করে নেবেননা"। মাঝে মাঝে মাথা ওঁর অনুেক ঠাণ্ডা থাকে। নইলে বহু পূর্বেই আমাকে পালিয়ে বাচতে হোতো। এই বলিয়া সে হাসিতে লাগিল । 单 কোথায় একটুখানি যেন উত্তাপের বাষ্প জমিয়া উঠিতেছিল, এই স্নিগ্ধ পরিহাসটুকুর পরে ঘুেন তাহা মিলাইয়া গেল। বামুন-ঠাকুর আসিয়া জানাইল কমলের খাবার তৈরী হইয়া গেছে । অতএব, এখনকার মত আলোচনা স্থগিত রাখিয়া সকলকে উঠিতে হইল । ঘণ্টা দুই পরে আহারাদি সমাধা হইলে পুনরায় সকলে আসিয়া যখন বাহিরের ঘরে বসিলেন, কমল তখন পূৰ্ব্ব-প্রসঙ্গের স্বত্র ধরিয়া প্রশ্ন করিল, ছেলেরা রেচক-কুস্তক না করুক কলেজের পড়া মুখস্ত করা ছাড়াও ত কিছু করে,—সে কি ? அந் হরেন্দ্র বলিল, করে। ভবিষ্যতে যাতে সত্যিই মানুষ হতে পারে সে চেষ্টাতেও তাদের অবহেলা নেই। কিন্তু পায়ের ধূলো যেদিন পড়বে সেদিন সমস্ত বুঝিয়ে বোলব। আজ নয়। এই মেয়েটির প্রতি সন্মানের আতিশয্যে অবিনাশের গা জ্বলিতে লাগিল, কিন্তু তিনি চুপ করিয়াই রহিলেন । ,নীলিমা কহিল, আজ বলুতেই বা বাধা কি ঠাকুরপো ? তোমার শেখানোর পদ্ধতি না হয় না-ই ভাঙলে, কিন্তু পুরাকালের ভারতীয় আদর্শে নিজের মতো করে যে তাদের ব্রহ্মচৰ্য্য শিক্ষা দিচ্ছে এ কথা জানাত্তে দোষ কি ? তোমার কাছে তো আমি আভাসে একদিন এই কথাই শুনেছিলাম। O হরেন্দ্র সবিনয়ে বলিল, মিথ্যে শুনেচেন তাও তো বলুচিনে বৌদি।