পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ প্রশ্ন Sbسbم র্তাদেরই ভবিষ্যৎ দৃষ্টির ফল। জাতি হিসেবে আমরা যে ধ্বংসের রাস্তায় চলেছিলাম কমল, এ বাচা কি সোজা বাচা ? আবার সমস্ত ফিরিয়ে আনতে না পারলে আমরা যে কোনমতেই রক্ষা পাবোনা, এ বোধশক্তি আমাদের দিলে কে বলো ত ? Ei অজিত উত্তেজনায় অকস্মাৎ উঠিয়া দাড়াইল, কহিল, এ সব চিন্তাও যে আপনার মনে স্থান পেতে পারে এ কখনো আমি কল্পনাও করিনি । আমার ভারি দুঃখ যে এতকাল আপনাকে চিনতে পারিনি, আপনার পায়ের নীচে বসে উপদেশ গ্রহণ করিনি। সে আরও কত-কি বলিতে যাইতেছিল, কিন্তু বাধা পড়িল । বেহার ঘরে ঢুকিয়া জানাইল যে হরেন্দ্রবাবু প্রভৃতি দেখা করিতে আসিয়াছেন, এবং পরক্ষণেই তিনি সতীশ ও রাজেন্দ্রকে লইয়া প্রবেশ করিলেন। কহিলেন, খবর নিয়ে জানলাম শিহ্মনাথবাস্তু ঘুমোচ্চেন। আসবার সময় ডাক্তারের বাড়ীট অম্নি ঘুরে এলাম ; তার বিশ্বাস অসুখ সিরিয়স্ নয়, শীঘ্রই সেরে উঠবেন। এই বলিয়া তিনি কমলকে একটা নমস্কার করিয়া সঙ্গীদের লইয়া আসন গ্রহণ করিলেন। আশুবাবু ঘাড় নাড়িয়া সায় দিলেন, কিন্তু তাহার দৃষ্টি ছিল অজিতের প্রতি। এবং তাহারই উদেশে বলিলেন, আমার সমস্ত যৌবনকালটা যে বিদেশেই কেটেছে এ তোমরা ভোল কেন ? এমন অনেক বস্তু আছে যা কাছে থেকে দেখা যায়না, যায় শুধু দুরে গিয়ে দাড়ালে। আমি যে স্পষ্ট দেখতে পেয়েচি শিক্ষিত-মনের পরিবর্তন। এই যে হরেন্দ্রর আশ্রম, এই যে নগরে নগরে ভ্রর ডাল-পালা ছড়াবার আয়োজন, এ কি শুধু এইজন্যেই নয় ? বিশ্বাস না হয় ওঁকেই জিজ্ঞাসা কোরে দেখো । সেই ব্ৰহ্মচৰ্য্য, সেই সংযম সাধনা, সেই পুরাণে রীতি-নীতির প্রবর্তন—এ সবই কি আমাদের সেই অতীত দিনটির পুনঃ প্রতিষ্ঠার