পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○○" • শেষ প্রশ্ন চিরদিনের সংস্কার ,তয়ে কাঠ হয়ে ওঠে, তবু কথা খুজে মেলেনা, পরাভব মানতে হয়। মনে আছে সেদিনও তার কাছে মেয়েদের আত্মোৎসর্গের উল্লেখ করেছিলাম, কিন্তু কমল স্বীকার করলেন, বললে, মেয়েদের কথা আপনার চেয়ে” আমি বেশি জানি। ও-প্রবৃত্তি তো তাদের পূর্ণতা থেকে আসেন, আসে শুধু শূন্তত, থেকে,—ওঠে বুক খালি ক’রে দিয়ে। ওতো স্বভাব নয়,—অভাব। অভাবের আত্মোৎসর্গে আমি কানা-কড়ি বিশ্বাস করিনে আগুবাবু। কি যে জবাব দেবো ভেবে পেলামনা, তবু বোললাম, কমল, হিন্দু-সভ্যতার মৰ্ম্মবস্তুটির সঙ্গে তোমার পরিচয় থাকৃলে আজ হয়ত বুঝিয়ে দিতে পারতাম যে ত্যাগ ও বিসর্জনের দীক্ষায় সিদ্ধিলাভ করাই ਬਿਰ সব চেয়ে বড় সফলতা । এবং, এই পথ ধরেই আমাদের কত বিধবা মেয়েই একদিন জীবনের সৰ্ব্বোত্তম সার্থকতা উপলব্ধি করে গেছেন। কমল হেসে বললে, করতে দেখেচেন ? একটা নাম করুন তো ? সে এ রকম প্রশ্ন করবে ভাবিনি, বরঞ্চ ভেবেছিলাম কথাটা হয়ত সে মেনে নেবে। কেমন ধারা যেন ঘুলিয়ে গেল— নীলিমা বলিল, বেশ ! আপনি আমুর নামটা করে দিলেননা কেন ? মনে পড়েনি বুঝি ? কি কঠোর পরিহাস ! হরেন্দ্র ও অজিত মাথা হেঁট করিল, এবং বেলা আর একদিকে মুখ ফিরাইয়া রহিল। আওবাৰু অপ্রতিত হইলেন, কিন্তু প্রকাশ পাইকু দিলেননা, কহিলেন, না, মনেই পড়েনি সত্যি । চোখের সামনের জিনিস যেমন | দৃষ্টি এড়িয়ে যায়,—তেমূনি। তোমার নামটা করতে পারলে সত্যিই তার মস্ত জবাব হোতে, কিন্তু সে যখন মনে এলোনা, তখন, কমল বললে, আমাকে যে-ক্লক্ষার খোটা দিলেন আশুবাবু, আপনাদের