পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিকণ ব্যয় করিয়া চক্ৰাতপ এবং হস্ত্যশ্বাদির গাত্রাবরণও স্বর্ণরৌপ্যাদি দ্বারা খচিত করেন। সৰ্ব্বাপেক্ষ বহুমূল্য সোশার কাজকে কাল্পচ কহে। প্রথমে রেসমী বা পশমী জমির উপর কোনপ্রকার বর্ণদ্বারা পুষ্পাদির চিত্র অঙ্কিত করে, পরে কালাবতুন দিয়া হুচিসাহায্যে তুলিয়া লয়। অপেক্ষকৃত অল্পপরিমাণে স্বর্ণরৌপ্যের কাজ থাকিলে তাহাকে কায়চিকণ বলে । সুতার কাপড়ের উপর সোণারাপার কাজের नांभ कांभलांनि । ঢাকার জামদানি কাপড় বিখ্যাত । উহার ফুল সকল তাতেই তোলা যায় । সুনিপুণ তত্ত্ববায়গণ বস্ত্র বুনিতে বুনিতে যথাস্থানে বংশনিৰ্ম্মিত স্থচিসাহায্যে প্রতানসূত্রের সহিত ফুলের স্বত্র বসাইয়া দেয় । সোজা বাক সকলদিকেই ইহারা ফুলের সারি রাখিয়া যায়। বাকী সারি হইলে তাহাকে তেড়চা কহে । 鬱 ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত ও পৃথক পৃথকরূপে ফুল কাটা হইলে তাহাকে বুটিদার বলে। আরও নানারূপ জামদানি কাপড় আছে । যথা—ঝালমার, পান্নাহাজার, ডুরিয়া, করেল, গেদী, শবুর্গা ইত্যাদি । ভিন্ন ভিন্ন ফুল ও বিদ্যাসের প্রভেদানুসারে ইহাদের নাম হইয়া থাকে। পূৰ্ব্বে জামদানি কাপড়ের বিস্তর কাটুতি ছিল, সম্প্রতি অনেক হ্রাস হইতেছে। আসাম হইতে বহু পরিমাণে মুগা ঢাকায় আসে । মুগায় কাজ করা কাপড়কে কপিদা বলে। ঝাপ্লন, ঝবা, ডুরিয়া, চারখানা প্রভৃতি আরও নানাপ্রকার রেসম ও স্বত্রেরসুচিকাৰ্য্যযুক্ত কাপড় ঢাকায় প্রস্তুত হয়। মুগা-চারখানাকমিদা, কাটাকুমি-কলিদা, নীলা-চারখানা-কপিদা প্রভৃতি বস্ত্র আরব, পারস্য, তুর্কিস্থান প্রভৃতিদেশে বহু পরিমাণে বিক্রীত হয় । বদন-খাস-হাসিয়া, সমুদ্রলহর প্রভৃতি বহুমূল্য স্থচিকাৰ্য্যও তথtয় সমাদরলাভ করে । ৪ গজ দীর্ঘ ৩৪ ইঞ্চি বিস্তৃত ঢাকার একখানি ঝাপ্পনের মূল্য ১৫ হইতে ৬০ টাকা, ৫। গজ দীর্ঘ ৩৯ ইঞ্চ বিস্তৃত কসিদার মূল্য ১২ হইতে ৩০ টাকা । কলিকাতায় নানাস্থান হইতে আনীত বহুপ্রকার সুলভ বুটিদার শাড়ী বিক্রয় হয়। বিখ্যাত ঢাকাই শাড়ী প্রথমে ঢাকাতেই প্রস্তুত হইত, এক্ষণে নানাস্থানে উহার অনুকরণ হইতেছে। য়ুরোপীয়গণ পর্দা প্রভৃতির জন্য বহু পরিমাণে চিকণ কাজ করা কাপাসবন্ত্র ক্রয় করিয়া থাকেন । বিবিদিগের পরিচ্ছদ, শিশুদিগের পোষাক, রুমাল ইত্যাদির সুন্দর চিকণকাজ কলিকাতা ও তন্নিকটস্থ নান স্থানে হইয়া থাকে। লক্ষেীনগরে দ্বাদশ শতাধিক দরিদ্র সম্ৰান্ত মুসলমানমহিলা ও বালক বালিক উৎকৃষ্ট চিকণকাৰ্য্য করিতেছে। WI - c [ २११ ] চিকণ সোজনী নামে আর একরূপ বস্ত্র লেপের জন্ত প্রস্তুত হয় । বাঙ্গালার মালদা, রাজসাহী, নদিয়া, উড়িষ্যার পুরী প্রভৃতি জেলায়, বোম্বাই, শিকারপুর (সিন্ধুপ্রদেশ ) ও কাশ্মীর প্রভৃতি স্থানে নানাপ্রকার সোজনী প্রস্তুত হয় । বোথারা হইতে আনীত সোজনী বড়ই জাকাল, তাহাতে অতি উজ্জল বর্ণে রঞ্জিত রেসমের কাজ থাকে । পাটনা ও মুর্শিদাবাদ নগরে কালাবতুনযোগে বহুমূল্য চিকণের হস্ত্যখাদির সজ্জা, ঝালরযুক্ত চক্ৰাতপ, পান্ধীর অাবরণ, অঙ্গরাখা, টুপি, কার্পেট ইত্যাদি প্রস্তুত হয়। ভারতীয় শিল্পপ্রদর্শনীতে মুর্শিদাবাদের মহারাণী স্বর্ণময়ী কারচক্‌ কাজ করা একটা চক্ৰাতপ ও একটা পান্ধীর আবরণ প্রেরণ . করেন, উহাদের মূল্য যথাক্রমে ১৫১৮ ও ২•••২ টাকা । শারণ হইতে ঐক্কপ কাজ যুক্ত বালিশের খোলের একটা আদর্শ প্রেরিত হয় । নাটক, যাত্রাদির অভিনেতাদিগের পরিচ্ছদ, তাজ প্রভৃতিতে অনেক সময় বহুমূল্য কারচবের কাজ হয় । কলিকাতায় ঐ সকল প্রস্তুত হইয়া থাকে । উত্তরপশ্চিমপ্রদেশে লল্পেী, কাশী, আগ্রা প্রভৃতি স্থানে অতি সুন্দর সুচিকাৰ্য্যসম্পন্ন কামদানি, জর্দোজি প্রভৃতি প্রস্তুত হয় । মখমলের উপর সোণ ও রূপার কাজকে জর্দোজি বলে । লক্ষেী এর শাড়ী, দোপাট্টা, কোট, শাল প্রভৃতির হাসিয়া, জিনের আচ্ছাদন, ব্যাগ, ঝালর, পাছক ইত্যাদি ভারতের সর্বত্র বিক্রীত হয়। এখানকার স্বর্ণ রৌপ্যের তার, কালাবতুন প্রভৃতি স্থচিকাৰ্য্যের উপকরণ সম্প্রতি যুরোপে বিশেষ সমাদৃত হইতেছে। বারাণসীর শাড়ী সৰ্ব্বত্র বিখ্যাত। আগ্রায় হুকার নল, টুপি, কোমরবন্দ ইত্যাদি বিচিত্র সুচিকার্য্য শোভিত হয় । পঞ্জাবের অমৃতসর, লুধিয়ানা, দিল্লী, প্রভৃতি নানা স্থানে উৎকৃষ্ট স্বচির কাজ সম্পন্ন হয়। এই সকল স্থানের হুচির কাজ করা মলিদা প্রভৃতি শীতবস্ত্র, টেবিল, চেয়ার, বিছানা ইত্যাদির চাদর, পর্দা, রুমাল ইত্যাদি সাহেবেরাই বেশী ব্যবহার করেন। লুধিয়ানা, সুরপুর, গুরুদাসপুর, শিয়ালকোট প্রভৃতি স্থানে কাশ্মীরীশাল প্রস্তুত হয় । পূৰ্ব্বে কাশ্মীরেই উৎকৃষ্ট শাল প্রস্তুত হইত, তদনুসারে উৎকৃষ্ট শালের নাম কাশ্মীরীশাল হইয়াছে। কাশ্মীরীশাল দুই প্রকার। ১ম প্রকারের শাল তাতে বুনিবার সময় বহুসংখ্যক মাকুদ্বারা ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের স্বতা দিয়া একবারেই চিত্রাদি করা হয় । এই প্রকার শালই উৎকৃষ্ট । ২য় প্রকার শালে সুচিসাহায্যে ফুলাদি তোলা হয় । ইহা অপেক্ষাকৃত