পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করে, তাহা হইলে নিশ্চয়ই তাহাকে সমাজচ্যুত হইতে হয়। ब्रैौ, माहेण ७ मांनांबिक्ष उँड़िञ्ज हैशंनिएकांग्र ६मनभिन খাদ্য । ছাগ, মেষ, খরগোস, হরিণ ও পক্ষীমাংস এবং গ্রাম্যমদিরা ব্যবহারের প্রথা প্রচলন আছে । লিস্বদেব ও খল্লহ্মাদেবের অৰ্চনোপলক্ষে ইহারা ছাগ বলি দেয় । বীরভদ্র ইহাদিগের কুলদেবতা ও পুরোহিতের জঙ্গম । বিবাহাদি श्rrंiiनि खश्क्रमिब्र स्वांवंरक । এই জাতীয় পুরুষ কি স্ত্রী কেহই প্রত্যহ স্নান করে না । পর্কোপলক্ষে উপবাস করিতে হইলে কিম্বা কোন স্থানে ভোজনাদির নিমন্ত্রণ হইলে পুরুষগণ এবং সপ্তাহ মধ্যে একদিন মাত্র রমণীগণ স্নান করে । পুরুষগণ গুম্ফ ও মস্তকে শিখ রাখে এবং জামা প্রভৃতি পরিচ্ছদ পরিধানপুৰ্ব্বক শরীর আচ্ছাদন করে ; রমণীগণ মহারাষ্ট্রকামিনীদিগের ন্যায় পোষাক পরে । সম্রাস্ত পুরুষ এবং রমণীগণ স্বর্ণরৌপ্যনিৰ্ম্মিত অলঙ্কার ব্যবহার করিয়া থাকে। ইহারা কষ্টসহ, মিতব্যয়ী, কিন্তু অতিশয় অপরিস্কার । ব্যবসা বাণিজ্য ইহাদের পৈতৃক বৃত্তি, কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান সময়ে তাহারা বাণিজ্য ব্যবসায়ে সেরূপ মনোনিবেশ করে না । কাপাসবন্ত্রবয়ন ও কৃষিকৰ্ম্ম করিয়াই জীবিকানিৰ্ব্বাহ করে। বালক বালিক ও রমণীগণ পুরুষদিগের কার্য্যে সাহায্য করিয়া থাকে । লিঙ্গায়ত এবং সালিগণ এই জাতি অপেক্ষ মর্য্যাদায় কিছু উচ্চ, কিন্তু শিম্পি এবং কুরুবর জাতি কিছু নীচ । ইহার অগ্রহায়ণ হইতে বৈশাখ মাস পর্য্যন্ত কয়েক মাস অধিক পরিশ্রম করে । বাল্যবিবাহ, বিধবাবিবাহ ও বহুবিবাহ প্রথা এ জাতির মধ্যে প্রচলিত অাছে। পতির পরলোক হইলে, পত্নীর পিতামাত কিম্বা অন্ত কোন গুরুজন তাহাকে একটা নবপরিচ্ছদ প্রদান করে এবং সে প্রদীপহস্তে পতিকে প্রদক্ষিণ করিয়া থাকে । কিন্তু পত্নী পতির অগ্রে ইহজগৎ পরিত্যাগ করিলে পতির শিরোদেশ পুষ্পমালায় বিভূষিত করিয়া দেয় । চিক্‌কুরুবিনবরগণ সামাজিক কলহে বড়ই নিপুণ ; কিন্তু তাহাদিগের সামাজিক কলহ জাতীয় পঞ্চায়ত দ্বারা মীমাংসিত হয়। বালকগণ দ্বাদশ বর্ষ পৰ্য্যন্ত পাঠশালায় অধ্যয়ন করিয়া থাকে । চিক্‌কেরুর, বোম্বাই প্রদেশের অন্তর্গত কোড় নামক স্থানের দশ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত একটা সহর। প্রতি বুধবারে এখানে হাট বসে। তণ্ডুল এখানকার প্রধান পণ্য দ্রব্য। এখানে হিরিকেরে নামক একটা বৃহৎ সরোবর আছে। উক্ত সরোবরতীরে ১৯২৩ ও ১৯২৫ শকে খোদিত দুইখানি শিলাফলক মন্দির এবং উক্ত মন্দিল্পত্রয়েও যখাক্রমে ৯৭৫, ১৯২৩ ও ১৯২৩ শকে খোদিত ৩টী শিলাফলক দেখিতে পাওয়া যায়। এতদ্ব্যতীত ৯৯৯ ও ১১৪৪ শকে খোদিত প্রস্তরফলকসংযুক্ত ছুইটী বীরগলপাথর এবং ১৯৪৭ ও ১৯৫১ শকে খোদিত ছুইখানি বৃহৎ শিলাফলক দৃষ্ট হইয়া থাকে। চিক্‌নায়কনহল্লি, ১ মহিম্বরের অন্তর্গত তুমকুর জেলার একটা তালুক । ইহার ক্ষেত্রফল ৩৫৫ বর্গমাইল। এই তালুকের উত্তরদিকে পূৰ্ব্বপশ্চিমে বিস্তৃত একটা পাহাড় আছে। এই পাহাড়ের পূর্বদিক জঙ্গলময়, কিন্তু পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকের ভূমি উর্বর ও কৃষিকুশল । এখানে থান, বিচারালয় প্রভৃত্তি আছে । নারিকেল প্রভৃতি পণ্য সামগ্ৰী এখান হইভে অস্ত স্থানে রপ্তানি হইয়া থাকে। " ২ উক্ত তালুকের সদর, তুমকুর সহর হইতে ৪ • মাইল অস্তরে অবস্থিত । অক্ষ ১৩, ২৫ ১৯% উঃ ও দ্রাঘি ৭৬° ৩৯ ৪ • পূঃ । হাগাঙ্গবাবংশীয় চিকনায়ক মামক সামন্ত কর্তৃক এই সহর প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৭৯১ খৃষ্টাব্দে ভারতবর্ষের বড়লাট লর্ড কর্ণওয়ালিস শ্রীরঙ্গপত্তনে গমন করিলে মহারাষ্ট্রসেনাপতি পরশুরামভা ও তাহার সহিত মিলনাভিলাষে ত্রীরঙ্গপত্তনাভিমুখে আইসেন ও পথিমধ্যে এই সহর লুণ্ঠন করিয়া অধিবাসীদিগের নিকট হইতে বহুল অর্থ সংগ্ৰহ করেন । বর্তমান সময়ে এ স্থান বিলক্ষণ সমৃদ্ধিশালী হইয়া উঠিয়াছে। মোট কার্পাসবক্স এখানকার প্রধান পণ্য । এখানে ৭ট প্রসিদ্ধ মন্দির আছে । চিক্‌মগলুর, (অর্থাৎ কনিষ্ঠকস্তার নগরী । ) ১ মহিমুর রাজ্যের অন্তর্গত কদূর জেলার ও চিকমগলুর তালুকের প্রধান সহর । বঙ্গলুর হইতে ১৩• মাইল দূরে অবস্থিত। অক্ষা ১৩, ১৮ ১৫% উ:, দ্রাঘি' ৭৫ ৪৯, ২০ পূঃ । ১৮৬৫ খৃষ্টাব্দ হইতে এই স্থানট কদূর জেলার সদর হইয়াছে ; ইহার নিকট কাফির চাষ হয় বলিয়া এস্থানে অনেক মুসলমান বণিক বাস করিয়া থাকেন । প্রবল পূৰ্ব্ববায়ু সময়ে সময়ে এই সহরের অনিষ্ট করিয়া থাকে, তন্নিবারণার্থ সহরের চতুষ্পার্শ্বে তরুরাজি রোপিত হইয়াছে। ইহার চতুর্দিকের ভূমি অতিশয় উৰ্ব্বর, তাহাতে কার্পাস উৎপন্ন হয়। এখানে বিস্তৃত বাজার আছে এবং সাপ্তাহিক হাটও বসিয়া থাকে। o ২ মহিমুর রাজ্যের অন্তর্গত কদুর জেলার একটা তালুক। এখানকার ভূমি উৰ্ব্বর। কাফি ও কার্পাস প্রচুর জম্মিয় থাকে। এখানে বিচারালয়, থানা প্রকৃতি বিদ্যমান আছে ।