পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਿਠ প্রাণম্পদ হইতে বাসনা উৎপন্ন হয় । জ্ঞেয় বস্তুর পরিত্যাগ করিতে পারিলেই প্রাণস্পন ও বাসনা উভয়ই নষ্ট হয় ।” ক্ষণিকবাদী বৌদ্ধের বঙ্গেন যেমন অগ্নি নিজকে প্রকাশিত করিয়া অপর বস্তুকে প্রকাশ করে, সেইরূপ চিত্ত স্বপ্রকাশ ও বিষয়প্রকাশক, চিত্ত অতিরিক্ত পৃথক্ আত্মা নাই । পতঞ্জলি বলেন চিত্ত স্বপ্রকাশ হইতে পারেন (যোগস্থ ৪১৮)। কারণ চিত্ত দৃপ্ত, যে বন্ধ দৃপ্ত তাহা স্বপ্রকাশ নহে, যেমন ইঞ্জির বা শৰাদি, তাহার একজন প্রকাশক আছে, তিনিই আত্মা। অগ্নি দৃষ্টান্ত হইতে পারেন। কারণ অগ্নি কিছু অপ্রকাশ নিজরূপকে প্রকাশ করে না । প্রকাগু ও প্রকাশকের সংযোগ হইলে বস্তুর প্রকাশ হয়, কিন্তু আপনার সহিত আপনারও সংযোগ হইতে পারে না । চিত্ত এক সময়ে স্ব ও পর উভয়কে প্রকাশ করিতে পারে না । কারণ ক্ষণিকবাদীর মতে সব বস্তুই ক্ষণিক উৎপত্তি ভিন্ন বস্তুর অন্য কোন ব্যাপার নাই । চিত্ত উৎপন্ন হইয়াই বিনষ্ট হইল, কিরূপে অপর বস্তু প্রকাশ করিবে ? যদি বল পর চিত্ত দ্বারা পূৰ্ব্ব চিত্তের গ্রহণ হইবে, পূৰ্ব্ববুদ্ধি ও পরবুদ্ধি দ্বারা গৃহীত হইবে, পরবুদ্ধির গ্রহণ কিরূপে হইবে ? তৎপর বুদ্ধিদ্বারা তাহার গ্রহণ এথানে ও অনবস্থাদোষ হইল। যতগুলি অনুভব হইল, ততগুলি স্মৃতিও হইবে, অনুভবের ন্যায় স্মৃতি ও পর পর স্মৃতি দ্বারা গ্রাহ পৃথকরূপে কোন স্মৃতির অবধারণ হইতে পারিল না । অতএব স্মৃতিসঙ্কের্য্য দোষ হইল । যোগস্ত্রকার পতঞ্জলির মতে—চিত্ত ঘটাদির স্থায় দৃশু ও জড়পদার্থ, (৩) আত্মার সহায় ব্যতিরেকে চিত্ত কিছুই করিতে পারেনা (৪)। চিত্ত এক না বহু এ সম্বন্ধেও যোগস্থত্রের বৈয়াসিকভাষ্য ও রাজমার্তও নামক বৃত্তিতে মুল্পবিস্তর অনেক কথাই লিখিত আছে, শেষে স্থিরীকৃত হইয়াছে মন এক, বহু নহে । কারণ যোগীগণের এক চিত্তই সকল চিত্তের অধিষ্ঠাতা, অতএব যোগীর এক চিত্ত নানাপ্রকার কার্য্যে বহুচিত্তকে প্রেরণ করিতে পারে। যোগস্থত্রকারের মতে, চিত্তবৃত্তি পঞ্চবিধ-প্রমাণ, বিপর্যায়, বিকল্প, নিদ্রা ও স্মৃতি। প্রত্যক্ষ, অনুমান ও আগুবাক্য ইহাদিগকে প্রমাণ, এক বস্তুকে অন্য বস্তু বলিয়া জমজ্ঞান তাহারই নাম বিপৰ্য্যয়, বস্তুর স্বরূপ অপেক্ষ না করিয়া কেবল শব্দজন্ত জ্ঞানাচুসারে যে এক প্রকার বোধ হয় তাহাকে বিকল্প, যে অবস্থায় চিত্তে সৰ্ব্ব বিষয়ের অভাব বোধ হয়, তাহাকে নিদ্রা এবং পূৰ্ব্বে প্রমাণ দ্বারা যে যে বিষয় অমুভূত [ ২৯৯ ] (७) "न ड१ चाष्ठtगः श्रिुt९ ।" cवंश’ ‘श्’ a।१५ ।। (४) ** श् ह्रिढ:भक्ष यतःि ग९िझ६|९ अक१िङ्गः उक्तः। श्र"न यशशङ्गणदfप्राकृीमभर्थप ध कभग्नडौष्टि !” ( ब्रॉब्रभों★७ ) ਿਓ হইয়াছে, কালাস্তরে সংসার দ্বারা বুদ্ধিও সেই বিষয়ের আরোপ করাকে স্মৃতিবৃত্তি বলা যায়। যোগ অভ্যাস করিতে হইলে চিত্তের ঐ পঞ্চবৃত্তির নিরোধ করা চাই । (১৬-১২) যোগ দেখ ] বৈয়াসিক ভাষ্যকারের মতে মন ও প্রাণ ইহারাই পরস্পরের সাহায্যে যোগ সাধন করিয়া থাকে। প্রাণবায়ু সংযত হইলেই ইঞ্জিয়বৃত্তিও সংযত হয়, তাহ হইলে চিত্তের নিরোধ বা একাগ্রতা সাধিত হইতে পারে। রেচক, পূরক ও কুম্ভক এই ত্ৰিবিধ উপায়েও চিত্তের একগ্রতাসাধন হয় । ষোগসূত্রকার বলেন, সমস্ত বিষয়াকুরাগ পরিত্ত্যাগ করিতে পারিলেও চিত্তের একাগ্রতা জন্মে, তাহাকেই চিত্তশূন্তত বা বীতরাগ বলে। রাজমার্তগুকারের মতে ঐরুপ অবস্থাকেই সম্প্রজ্ঞাতসমাধির বিষয় বলা যায় । মহর্ষি পতঞ্জলি বলেন যে, চিত্তবৃত্তি নিরোধ হইলে আর চিত্ত্বের অনুরাগ জন্মিতে পারে না, চিত্তে সমাধি উপস্থিত হয় । এ সময়ে একমাত্র ধোয় বিষয়ে চিত্ত অনুরক্ত থাকে, তখন বিষয়াস্তরে চিত্তের আসক্তিমাত্র থাকেন। (৩১২) ভগবদগীতায় লিখিত আছে-- যেমন বায়ুশূন্ত স্থানে প্রদীপের শিখা স্থিরভাবে থাকে, সেইরূপ নিৰ্ব্বিকল্প সমাধিতে চিত্ত একাগ্র হইয়া নিশ্চল হয় । তখন যোগী আত্মাকে জানিতে পারিয়া নিজ আত্মাতেই সস্তুষ্ট থাকেন । ( ৬১৯-২০ ) পতঞ্জলিও লিথিয়াছেন— যে সময় চিত্ত আপনার ও পুরুষের বিশেষ দর্শন করে, তখন কর্তৃত্ব, জ্ঞাতৃত্ব ও ভোক্তত্বাদি জ্ঞান নিবৃত্ত হইয়া আত্মা চিত্তে ঐক্যপ্রাপ্ত হয়। চিত্তের কর্তৃত্বাদি অভিমানের নিবৃত্তি হইলেই কৰ্ম্ম নিবৃত্তি হইয়া যায়। ( যোগসূত্র ৪২৪-২৫ ) যোগসুত্রকার আরও লিখিয়াছেন— চিত্তসংযম-সিদ্ধি-বিষয়ে ত্ৰিবিধ পরিণাম হইয় থাকে—নিরোধপরিণাম, সমাধি-পরিণাম ও একাগ্রতা-পরিণাম । এই ত্রিবিধ পরিণাম দ্বারা দ্বিবিধ ভূত ও দ্বিবিধ ইন্দ্রিয়েরও ধৰ্ম্ম, লক্ষণ ও অবস্থা এই ত্ৰিবিধ পরিণাম হইয়া থাকে। চিত্ত্বের এই ত্ৰিবিধ পরিণাম অতীত হইয়া সমাধি সম্পন্ন হইলে অতীতঅনাগত-জ্ঞান, শব্দাদি প্রত্যেকের প্রতি সংযমহেতু সৰ্ব্ব ভূতাদি সমস্ত পদার্থের জ্ঞান ও পূৰ্ব্বজন্মান্তরীয় জাত্যাদি জ্ঞান এবং লোকের মুখ দেখিয়া তাহার মনোভাব জানিবার ক্ষমতা জন্মে । ( যোগস্থত্র ৩৯, ১৬-১৯ ) কৰ্ম্মণি ক্ৰ । ৩ জ্ঞাত । কৰ্ত্তরি ক্র । ৪ জ্ঞাত, যিনি জানেন । | চিন্তগর্ভ (ত্রি) চিত্তং গর্ভরতি গৃহাতীতি যাবৎ চিত্ত-গর্ড-অস্থা। চিত্তগ্রাহী, মনোহর | “বয়কিলং চিত্তগর্ভাস্ক সুস্বরুং so ( ঋকৃ ৫৪৪৫) চিত্তগর্ভস্থ চিত্তগ্রাহিণীযু স্ততিযু (মায়ণ। )