পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিন্ত্রেবিদ্যা । বা উপবমাদি অঙ্কের করাই সৰ্ব্বাপেক্ষা কঠিন । এই প্রকার চিত্রে পদার্থ সকল যেরূপ ভাবে দৃষ্ট হয়, সেইরূপ আকারেই তাহাদিগকে জঙ্কিত করিতে হয় । আমরা নিকটস্থ পার্থ সুস্পষ্ট, বৃহৎ ও উজ্জ্বল দেখি, চিত্রেও তাহাদিগকে বৃহদাকার ও সুস্পষ্ট করিয়া অতি করিতে হয়। ক্রমে যতই দূরে যায়, ততই আকার ও স্পষ্টতার হ্রাস হয় । এইরূপ চিত্রের আকাশভাগে ঈষৎ মেঘমালা এবং চক্ৰাদি অঙ্কন করিলে চিত্র অতি মনোহয় দেখায়। শিক্ষার্থী প্রথমাবস্থায় অন্ত চিত্র অখবা ফটোগ্রাফ দেখিয় তাহার নকল করে, পরে তাহাতে বিশেষ পারদর্শী হইলে প্রাকৃতিক বস্তু দেখিয়া তাহাই অঙ্কিত করিতে শিক্ষণ করে। কিরূপ স্থানে কোন দিক হইতে দেখিয়া অঙ্কন করিলে চিত্র সুন্দর হইবে, তাহ জানিতে হইলে ज्रछिख्ठङ छाहे । শিক্ষার্থী প্রথমে একথও পুরুকণগঞ্জ, তাহা বসাইবার একটা সমতল তক্তা, কএকটা উড্‌পেন্সিল ও একটুকরা রবার লইয়া চিত্র অভ্যাস করিতে পারে। চিত্রের নানাস্থান নানাপ্রকার পেন্সিলে অঙ্কিত হয় । কোথাও ঘোর কৃষ্ণ, কোথাও অল্প কৃষ্ণ, কোথাও নিতান্ত ফিকে । নিকটস্থ পদার্থ ও তাহাদের ছায়া ঘোর করিতে হয়। দূরস্থ বস্তু অপেক্ষাকৃত ফিকে কাল করা উচিত। রবারের পরিবর্তে চিত্রকরেরা পাউরুটির খণ্ড ব্যবহার করে । চিত্রের পরিচ্ছন্নতার বিষয় দৃষ্টি থাকা আবশ্বক, নতুবা সামান্য কারণেই চিত্র নষ্ট হইয়া যায়। মতুষ্যের প্রতিকৃতি অঙ্কন করা চিত্রবিদ্যার একটা প্রধান অঙ্গ। প্রথমতঃ নাসিক, কর্ণ, হস্তপদাদি এক একট অঙ্গের উৎকৃষ্ট চিত্র লইয়া তাহার নকল করা উচিত । যতক্ষণ পর্যন্ত নকল আদর্শের সমান না হয়, ততক্ষণ যথাসাধ্য উৎকৃষ্ট নকল অঙ্কিত করিতে হয় । এইরূপে ছোট বড় সকল আকারে ও ভঙ্গীতে হস্ত, পদ, বক্ষ, কট, চক্ষু, কর্ণ, নাসিকাদি অঙ্কিত করিতে বিশেষ পারদর্শী হইলে পর শিক্ষার্থ ঐ সকলের একত্র সমাবেশ করিয়া মনুষ্য দেহ অঙ্কিত | করিবে। মনুষ্য শরীরের সৌন্দর্য্যের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া চিত্র কর চিত্রের সৌন্দর্য্য সম্পাদন করিবেক । মনুষ্য দেহ অঙ্কিত করিতে হইলে নিয়স্থ নিয়মগুলির প্রতি লক্ষ রাখা কর্তব্য। ১ । কাগজের যে পরিমাণ স্থানে চিত্র অঙ্কিত হইবে দাগ দিয়া লণ্ড । ২ । ঐ পরিমাণ স্থানের অনুযায়ী করিয়া মস্তক অঙ্কিত কর। ৩ । স্কন্ধ, কাছ ও বক্ষ অঙ্কিত কর । ৪ । অবশেষে অগ্ৰে যে পদের উপর ছবি দাড়াইবে তাহা ও তৎপরে আগু পদ অঙ্কিত কর । WI ዓ፭ [ ৩১৩ } চিত্রবিদ্যা নগ্নদেহ অৱিত করিতে হইলে যথাস্থানে শিরা প্রভৃতি অঙ্কিত করিতে হয়। হস্তপদাদি দ্বারা কোন কাৰ্য্য প্রদশন করিতে হইলে তত্ত্বংস্থানের শিরাদি অধিক সুস্পষ্ট করিতে হয়। কিশোর দেহে পূৰ্ণবয়স্ক ব্যক্তির স্তায় শিরাদি প্রদর্শন করা অন্যায়। স্থূলকায় ব্যক্তি, সুন্দর যুব ও বালকদিগের শরীরে বড় একটা শিরা অঙ্কিত করিবে না। নারী স্ত্রী মূৰ্ত্তি আঁকিতে হইলে শিল্প একবারেই পরিত্যাগ করিৰে। মঙ্গুষ্যের মুখ, চোখ প্রভৃতি দেখিয়া তাহার মানসিক অবস্থা অবগত হওয়া যায়, সুতরাং চিত্রেও উহ! প্রকাশ করা যাইতে পারে। মুখই মানবহৃদয়ের দর্পণস্বরূপ, সুতরাং মানসিক অবস্থা চিত্রনে মুখের উপর বিশেষ দৃষ্টি রাখা কৰ্ত্তব্য । বিষাদ প্রকাশ কালে মস্তক অনাহত রাথিতে হয়, ঔদ্ধত্য, নির্ভীকতা বা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ প্রকাশ কালে মস্তক সোজা ও উত্ত্বেলিত রাখিবে । অবসন্নভাব দেখাইতে মস্তক একপাশ্বে হেলিয় রাখিবে । এইরূপ মস্তকের নানারূপ বিদ্যাসে চিন্তা, বিলাপ, অহঙ্কার, ভীতি প্রদর্শন, প্রেম, আনন্দ ইত্যাদি প্রকাশিত হয়। মস্তকের মধ্যে আবার চক্ষু ও মুখস্বারাই ভয়বিস্ময়াদি জানা যায়। চিত্র অঙ্কিত হইগে পর তাহাতে র দিবে। বস্তু সকলের স্বাভাবিক বর্ণ যে প্রকার, চিত্রেও সেই সেই প্রকার বর্ণাদি প্রয়োগ করা উচিত, তাহা হইলে চিত্র আরও মুসদৃশ ও সুন্দর হয় । বর্ণযোজনা নানা প্রকার হইয়া থাকে। জল, র্কাইমও, গদ, তৈল প্রভৃতির সহিত মিশ্রিত করিয়া চিত্রে রন্থ ফলাইতে হয়, যে সকল রঙ জলে দ্রবণীয় তাহাদিগকে to 38 (water colour) 8 to তৈলে দ্রবণীয়, তাহাদিগকে তৈলবর্ণ কহে । রঙ জলে দ্রব করিয়া চিত্র অঙ্কন *oto painting in water-colour of water-panting এবং তৈলে দ্রব করিয়া অঙ্কণ করাকে Oil painting বলে । এই ছুইটী পরস্পর বিভিন্ন বিদ্যা এবং ভিন্ন ভিন্ন চিত্রকরগণ কর্তৃক অনুশীলন হইয়া থাকে। সকল রঞ্জ প্রধানতঃ তিন প্রকার। ১ আকরিক, ২ ধাতব ও ৩ উদ্ভিজ্জ। হিঙ্গুল, হরিতাল, মনঃশিলা প্রভৃতি আকরিক ; সিঙ্গুর, জাঙ্গাল প্রভৃতি ধাতব এবং নীল, লাক্ষারসাদিবর্ণ উদ্ভিজ্জ। জলে গুলিয়া র করিতে হইলে প্রায়ই শেষোক্ত প্রকার রঙুই ব্যবহৃত হয়। আজকাল মেজেন্টর সাহেব ও অহাষ্ঠ অনেক কোম্পানির প্রস্তুত বহুপ্রকার জলের রঞ্জ পাওয়া যায়। রঙ দিয়া কাপড় কিম্বা কাগজের উপর ছবি আঁকা যায়, কিন্তু এই প্রকার ছবি দীর্ঘকাল স্থায়ী হয় না। ইহাদের রঞ্জ শীঘ্রই ফিকে হইয়া পড়ে। অধিক কাল