পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छैोम চীনের ভূমিকে প্রধানতঃ তিনভাগে বিভক্ত করা যাইতে प्राप्द्र । ४भड, झिभसाप्ण उद्रठ भागङ्घभि ; २ब्रज्र, भषा ७ দক্ষিণাংশে পাৰ্ব্বত্যভূমি এবং ৩য়ত, পূৰ্ব্বভাগে প্রকাও সমতল ক্ষেত্র । পেলিং ও ইয়ন্‌লিং এই দুইটা পৰ্ব্বতশ্রেণী উত্তরদক্ষিণে ইহাকে তিনভাগে বিভক্ত করিতেছে। নন্‌ লিং পৰ্ব্বত দক্ষিণভাগে অবস্থিত । চীনের রাজধানী পিকিন নগর । পিকিন শব্দের অর্থ উত্তর রাজসভা, ইহা রাজ্যের উত্তরভাগে বৃহৎ প্রাচীর হইতে ৩• ক্রোশ দক্ষিণে পিহোনদীর তীরে অবস্থিত। একটা অত্যুচ্চ প্রশস্ত প্রাচীর নগরকে বেষ্টন করিয়া আছে । ইহার লোক সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ । অপরাপর নগরের মধ্যে নাঙ্কিন, কান্টন, সাজেঘ, অাময়, ফুচু ও নিংপো প্রধান । নাস্কিন নগর পূৰ্ব্বে রাজধানী ছিল । বিদেশীয় অধিকারের মধ্যে হংকংম্বীপ ইংরাজদের অধিকৃত । জলবায়ু।–চীনের অধিকাংশ প্রদেশেই শীত গ্রীষ্মের অতিশয় বৈষম্য লক্ষিত হইয়া থাকে । পিকিন নগরের নিকট শীতকালে এরূপ শীত হয় যে, নদী প্রভৃতি পৌষমাস হইতে প্রায় ৩/৪ মাস বরফাবৃত থাকে । কালে অসহ্য গ্রীষ্ম হয় । কিন্তু পিকিনের গড় তাপাংশ ইহার সম অক্ষান্তৰ্ব্বৰ্ত্তী যুরোপের নগর সকলের গড় তাপাংশ [ ७8१ ] আবার গ্রীষ্ম- | অপেক্ষ অনেক কম । পিকিন ৩৯ ৫৪ উঃ অক্ষাংশেস্থিত চষ্টলেও ইহার গড় তাপাংশ ফারণহীটের ৫৪° অংশের অধিক নছে । কিন্তু নেপলস নগর ইহার প্রায় ১° উত্তরে অর্থাৎ ৪০- ৫০% উঃ অক্ষাংশেস্থিত হইলেও উহার গড় তাপাংশ ৬৩ ৷ ইহার কারণ চীন রাজধানীতে শীতকালে দুরন্ত শত হয় এবং তাপমানের তাপাংশ অনেক অল্প থাকে। কাণ্টন নগর কলিকাতার সম অক্ষান্তৰ্ব্বৰ্ত্তী হইলেও উভয়ের জলবায়ু শীতোষ্ণতা বিষয়ে বিস্তর পার্থক্য দেখা যায়। বৃষ্টি-পরিমাণ সকল বর্ষে সমান নহে । সচরাচর বার্ষিক ৭০ ইঞ্চি পরিমিত বৃষ্টি পতিত হয়, কোন কোন বৎসর ৯০ ইঞ্চি পর্য্যন্ত হইয়া থাকে। অগ্রহায়ণের মধ্য হইতে ফাঙ্কনের কতকদিন পর্য্যস্ত উত্তর পুৰ্ব্বদিক হইতে অতি শীতল বায়ু বহিতে থাকে। উদ্ভিদাদি এই কালে বৰ্দ্ধিত হয় না । বৈশাখ মাসে দক্ষিণ বায়ু বহিতে আরম্ভ হয় । এই বায়ু দক্ষিণে উষ্ণ সাগর সকলে প্রচুর বাস্পযুক্ত হইয়া উত্তর বায়ু দ্বারা শীতল চীনদেশে আসিবামাত্র, সেই বাষ্পরাশি কুয়াটিকারূপে পরিণত হয় । এই সময় বৃষ্টিও হইয়া থাকে। অবশেষে আষাঢ়, শ্রাবণমাসে ভয়ানক গ্রীষ্ম উপস্থিত হয় । । কান্টন্‌ নগরের নিকট এই সময় বায়ু অতিশয় উত্তপ্ত হইয়া | চীন এত পাতলা হইয়া যায় যে ভীষণ কটিকাদি উৎপন্ন হয়। চীনারা এইরূপ টাইফুন (Typhoon) অর্থাৎ ঝটিকাকে অতিশয় ভয় করে । কান্টনের নিকটস্থ প্রদেশে বিশেষতঃ হেনান দ্বীপের উপকূলে এই ঝটিকার উপদ্রব অধিক । চীনের জলবায়ু স্বাস্থ্যকর এবং অধিবাসীগণ দীর্ঘজীবী । জীবজন্তু।--চীনের পাৰ্ব্বত্য ও অরণ্য প্রদেশে হস্তী, গগুরি ভল্লুক, কেন্দুয়া, উল্কামুখী, মহিষ, ঘোটক, উষ্ট্র, বস্তগর্দভ, বরাহ প্রভৃতি বন্য জন্তু বাস করে। উত্তর প্রদেশে বাবর সেবল, আর্মন প্রভৃতি উৎকৃষ্ট লোমোৎপাদক পশুসমূহ দেখা যায় । এই দেশ সমমণ্ডলের অন্তৰ্ব্বত্তী হইলেও এখানে অপেক্ষাকৃত শীতের আধিক্য বলিয়া সমমণ্ডলের অনেক প্রাণী বাস করিতে পারে না । ব্যাঘ্র, তরক্ষু প্রভৃতি হিংস্ৰক জন্তু জনাকীর্ণ প্রদেশে অতি বিরল। শিলোথাবাঘ দক্ষিণ অংশে দুই একটা দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু কলিকাতার সহিত প্রায় এক অক্ষরেখাস্থ হইলেও কাণ্টনে একটী ও শীলোথাবাঘ দেখা যায় না । সিংহ একবারে নাই। গৃহপালিত পশুর মধ্যে গো, মহিষ, ছাগ, মেষ, অশ্ব, শূকরাদিই বেশী । চীনের গৃহপালিত পশুর প্রতি কিছুমাত্র যত্ন করে না। গো, মেষ, অশ্বাদি মাঠে চরিতে ছাড়িয়া দেয় । পশুদিগের জন্য যে খাদ্য সংগ্ৰহ করিয়া রাখিতে হয় এবং তাহাদিগকে যে মাহার দিতে হয়, সে জ্ঞান ইহাদিগের আদেী নাই । কাজেই এখানের সমস্ত পশুই অতি ক্ষুদ্রাকার ও হীনবল । অশ্ব সকলও ক্ষুদ্রাবয়ব ও ভীরু, এমন কি তাতারদিগের যুদ্ধাশ্বের ষ্ট্রেয়ারব শ্রবণমাত্র পলায়ন করে । যাহাহউক এদেশের ছু{গ ছোট হইলেও যুরোপীয়দিগের নিকট অতি উপাদেয় খাদ্য । এতদ্ভিন্ন অন্যত্র অজ্ঞাত এমন আর ও নানা প্রকার পশুমাংস চীনারা ভক্ষণ করে । চীনারা ছাগ কিম্বা পনির খায় না । বলদ, উঃ প্রভৃতি পশু ভারবহন করে, কিন্তু মজুর অতিশয় সুলভ বলিয়া অল্পসময়ই বলদ প্রভৃতি ভার বহনে নিযুক্ত হয় । এখানে আসামদেশীয় বানরই বিখ্যাত। দক্ষিণভাগে কস্ত রিকা মুগ আছে । তাতারদেশীয় অরণ্যে এক জাতি পক্ষবিশিষ্ট উস্কামুখী ও ইন্দুর দেখিতে পাওয়া যায়। হরিণ, কৃষ্ণসার, বস্ত্যবরাহ, শশক, কাষ্ঠবিড়াল প্রভৃতি শিকারও দুর্লভ নহে । চীনে নানাপ্রকার অদ্ভূত পক্ষ দৃষ্ট হয়। এখানকার স্বর্ণ ও রৌপ্যবর্ণের কুকুটজাতীয় পক্ষী অতি প্রসিদ্ধ, উহাদের এক শ্রেণীর পুচ্ছ ৬ ফিট পর্য্যন্ত লম্বা হইয়া থাকে । চীনের অরণ্যে ডাক, তিতির, বটের, বাণহাস প্রভৃতি বিস্তর পক্ষী বাস করে। হংস, সারস, চক্রবাক প্রভৃতি জলচর পক্ষীও বিস্তর। এখানে একরূপ ধূসরবর্ণ হংসাকৃতি পক্ষী আছে, -