পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਾਂ t 8૨૪ ? ಟಾಕಳಿತ - আশ্রমে যাইয়া থোড় ভাতে ভাত খাইয়াছিলেন। ওক্লাম্বর প্রথমে ভীত হইয়াছিলেন। কারণ সামাজিক নিয়মানুসারে ॐाशद्र आग्न निभाई थाहेष्ठ भांcब्रन न । ऊिनिe यचौकांब्र করিয়াছিলেন । অবশেষে গৌরাঙ্গের কথা ঠেলিতে না পরিয়া তাহাকে খোড় ও ভাত খাওয়াইতে বাধ্য হন। এক দিন গৌরাঙ্গ শ্ৰীৰাসের মুখে কৃষ্ণলীলা শুনিতে শুনিতে কৃষ্ণলীলা অভিনয় করিবার প্রস্তাব করেন । তাহাতে বৈষ্ণবমণ্ডলী মিলিয়া চন্দ্রশেখর আচার্য্যের বাড়ীতে কৃষ্ণলীলা অভিনয় করেন । বিশ্বম্ভর রাধিক সাজিয়াছিলেন। তাহার মনোহর অভিনয়ে ভক্তদলে কৃষ্ণপ্রেম সহস্র গুণ বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল। এই অভিনয়কাণ্ডে বিশ্বম্ভর নাকি অদ্ভুত শক্তি প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাই অভিনয়-সমাপ্তির পরেও সপ্তাহ পৰ্য্যন্ত চন্দ্রশেখরের গৃহ জ্যোতির্ময় ছিল। ইহার কিছুদিন পূৰ্ব্বে অদ্বৈতাচাৰ্য্য হরিদাসকে লইয়া শাস্তিপুরে চলিয়া গিয়াছেন । গৌরাঙ্গের আদর্শনে তাহার মন আবার ফিরিয়া গেল, তিনি আবার ভক্তি অপেক্ষা জ্ঞানের প্রাধান্ত প্রতিপাদন করিতে লাগিলেন। কিছুদিন পরেই গৌরাঙ্গ নিতাইকে লইয়া শান্তিপুরে গমন করেন। যাইবার সময় গঙ্গার ধারে ললিতপুর গ্রামে একজন সন্ন্যাসীর আশ্রমে অতিথি হন । কিন্তু বীরাচারী সন্ন্যাসীর আচার ব্যবহারে নিতান্ত বিরক্ত হইয়া তথা হইতে প্রস্থান করেন। ইহারা তখন মনে ভাবিলেন যে তীরপথে যাইলে আবার হয় ত, এইরূপ কপটাচারীর হাতে পড়িতে হইবে । এই ভাবিয়া গঙ্গার জলে সাতার কাটিয়া শান্তিপুরে পৌছিলেন। নিমাই অদ্বৈতের বাড়ী যাইয় তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে “হারে নাড়া, ভক্তিকে নাকি আবার অবহেলা করিতেছিস্ ” অদ্বৈত বলিলেন, “চির কালই জ্ঞান বড়, ভক্তি স্ত্রীলোকের ধৰ্ম্ম । বিনা জ্ঞানে ভক্তির কোন ক্ষমতা নাই।” নিমাই এ কথায় আর কোন উত্তর করিলেন না । বৃদ্ধ আচাৰ্য্যকে ধরিয়া আনিয়া আঙ্গিনায় ফেলিলেন এবং কিলাইতে লাগিলেন। অদ্বৈত মার খাইয়া বা নিম্পত্তি করিলেন না এবং তাহার মন ফিরিয়া গেল, তিনি | উঠিয়া নিমাইয়ের চরণতলে পড়িয় গড়াগড়ি দিতে লাগিলেন ও শতমুখে ভক্তির প্রশংসা করিতে লাগিলেন। নিমাই আচাৰ্য্যকে ধরিয়া বলিলেন, “আপনি করেন কি, অামাকে ক্ষমা করুন” ইহা বলিয়া তাহীর চরণ ধরিয়া প্রণাম করিলেন। কিছুকাল পরে নিদ্রোখিতের স্তায় বলিলেন, “গোসাই জামিত কিছু চপলতা করি নাই।” সকলে নিমাইয়ের এই সকল ব্যবহার দেখিয়া অবাক হইয়া গেলেন । ইহার পরে গঙ্গাস্নান করিয়া নিতাই, অদ্বৈত ও নিমাই ভোজন করিলেন। এখানে هیمم- ۰۰۶، জালিয় প্রথমে বে কাও করিয়াছেন, তাহ একেবায়ে জুলিয়া গেলেন । 彰 শালিগ্রামবাসী গৌরীদাস পণ্ডিত গৃহত্যাগ করিয়া শাপ্তিপুরের ওপারে অধিকা-কালনায় বাস করিতেন। ইনি একজন পরম ভক্ত। একদিন নিমাই নাকি একখানি বৈঠা ধীড়ে করিয়া একাকী যাইয়। তাছার বাড়ীতে উপস্থিত হন এবং বৈঠাখানি দ্বারা তাপিত জীবনকে ভবনদী "পার করিতে উপদেশ দেন। গৌরীদাসের মৃত্যুর পর ঐ বৈঠাখানি নাকি তাহার প্রিয় শিষ্য হৃদরচৈতন্য পাইয়াছিলেন। এই অদ্ভূত গল্পট ভক্তিরত্নাকরে লিখিত অাছে। গৌরাঙ্গ কিছুদিন শান্তিপুরে থাকিয় নবদ্বীপে প্রত্যাবর্তন করেন। ইহার কিছুদিন পরে গৌরাঙ্গচজ ভক্তগণ লইয়া বিষ্ণুগ্ৰহমার্জন ও নৌকায় উঠিয়া নানাবিধ কৃষ্ণলীলা করিতে লাগিলেন। প্রবাদ অাছে যে নদীয়ার একপাশ্বে জাহান্নগরে সারঙ্গদেব নামক একজন পরম সাধু বাস করিত। সারঙ্গদেব গৌরাঙ্গের ভক্ত হইয়া উঠিলে গৌরাঙ্গ তাহাকে একটী শিষ্ঠ রাখিতে উপদেশ দেন। কিন্তু সারঙ্গদেব উপযুক্ত শিষ্যের অভাবে প্রথমে কাহাকেও শিক্ষা করিতে সন্মত হন নাই । শেষে গৌরাঙ্গের কথামুসারে স্থির হইল যে প্রাতে যাদ্ধার মুখ দেখিবেন সারঙ্গদেব তাহাকেই শিয্য করিবেন। পরদিন প্রত্যুষে সারঙ্গদেব গঙ্গাতীরে নয়ন মুদিয়া জপ করিতে বসিলেন, কিছুকাল পরে একটা মৃত বালকের দেহ ভাসিয়া আসিয়। তাহার গায় লাগিল । তিনি চক্ষু মেলিয়া ভাবিলেন যে, “কি আশ্চৰ্য্য ! যাহাকে দেখিব, তাহাকেই মন্ত্র দিব, এ যে মৃতদেহ দেখিলাম, এখন কি করি? অনেক জ্ঞাবিয়া স্থির করিলেন যে, ‘গৌরাঙ্গের বাক্য মিথ্য হইবার নহে, দেখি কি হয়, ইহাকেই মন্ত্ৰ দিব । সারঙ্গদেব মৃতবালকের কর্ণে মন্ত্র দিলেন, দেখিতে দেখিতে বালক চেতন হইল। কিছুকাল পরে নিমাই আসিয়া তথায় উপস্থিত হন । র্তাহাকে দেখিয়া ইহাদের প্রেম উথলিয়া উঠিল, সকলে প্রাণ ভরিয়া হরিনাম করিতে লাগিল । এই সকল ৰ্যাপায় জানিয়া গুনিয়া সকলেই চমৎকৃত হইল এবং নিমাইকে ঈশ্বর ভাবিজ্ঞ আর কোন বাধ থাকিল না। পরে জানা গেল যে ঐ বালকের নাম মুরারি উপাধি গোস্বামী, সরগ্রামে বাড়ী। ইহাকে রাত্রিতে সৰ্পে দংশন করে, সকলে মৃত ভাবিয়া জলে ভাসাঁইয়া দেয়, তিনি ভাসিতে ভাসিতে এখানে আসিয়াছিলেন। ক্রমে শ্ৰীমদ্ভাগবতে ঐকৃষ্ণের যন্ত উৎসব আছে, গৌরচক্স ভক্তগণকে লইয়া সেই সমুদ্ৰায়েরই অনুষ্ঠান করিতে