লবণ নিৰ্দ্ধারণ-ক্রিয়ায় নাম ‘সওদাপত্র” এবং যে কাগজে তাহা লিখিত হয় তাহার নাম হাতচিটী” । যে সকল ব্যক্তির এইরূপে সওদাপত্র স্থির করিয়া হাতচিঠা লয়, তাহারা ‘মলদ” নামে খ্যাত। লবণ-প্রস্তুতের কাৰ্য্যে অতাল্প লাভ। সুতরাং কেবল এই কার্ঘ্যে কেহই দিনপাত করিতে পারে না, মলদী মাত্রেই লবণ প্রস্তুত করা ব্যতীত কৃষিকাৰ্য্যও করে, পরস্তু *यै ऎङश्च কাৰ্যও তাঁহাদের দারিদ্র্য দূর হয় না, সকলেই বিপুল ঋণগ্রস্ত ও অত্যন্ত দরিদ্র । তমলুকের লবণ তত্রতা তাগীরথী, হুলদী, টেঙ্গরাখালী, রায়খালী প্রভৃতি কএকটী নদীর জলে প্রস্তুত হয়, সুতরাং লবণ প্রস্তুত-করণের কার্য্যালয় সকল ঐ নদীতটে নিৰ্ম্মিত আছে। সলঙ্গীরা যথোপযুক্ত স্থান নির্দিষ্ট করিয়া তাহ চারি অংশে বিভাগ করে। তাহার প্রথমাংশের নাম “চাতর” ; উহা সৰ্ব্বপেক্ষা বৃহৎ এবং তাঁহাতে লবণের মৃত্তিক প্রস্তুত হয় ; দ্বিতীয়াংশের নাম “জুরি” অর্থাৎ কুও ; লবণাক্ত জল রাখিবার জন্য উহার প্রয়োজন ; তৃতীয়াংশের নাম "মাদা” অর্থাৎ লবণ ছাকিবার স্থান ; চতুর্থ “ভুরি ঘর” অর্থাৎ লবণ পাক করিবার গৃহ ; এই অংশ-চতুষ্টয়ের সমষ্টির নাম “খালাড়ি” বা “মলঙ্গ।” এইরূপ এক এক থালাড়ির জন্ত ই তিন বিঘা জমির প্রয়োজন হইয়া থাকে। পূৰ্ব্বেই কথিত হইয়াছে যে,খালাড়ির অন্যান্তাংশ হইতে চাতর বৃহৎ ; তজ্জন্ত এক বিঘা বা ততোধিক স্থান আবশ্বক হয়। মলঙ্গীরা তাহা অতি সাবধানে পরিষ্কার করে, তথা হইতে কয়েক অঙ্গুলীপরিমিত মৃত্তিক খনন করিয়া তাহার মধ্যে মধ্যে ও চতুর্দিকে বাধ দিয়া ঐ স্থান তিন অংশে বিভাগ করে। তৎপরে ঐ ক্ষেত্রত্ৰয় খনন করিয়া তদুপরিমই দিয়া ভূমিচৌরস করিয়া লয়। ঐ চৌরাস করা ভূমি ৮১• দিবস রৌদ্রে শুকাইলে তাহার উপরিভাগের মৃত্তিকা, ইষ্টক-প্রাচীরে লোণ লাগিলে যে প্রকার চূৰ্ণ জন্মে তস্কপ, চূর্ণ হইয়া যায়। চূর্ণ প্রস্তুত হইলে তাপরি পাঁচ ছয় জন মনুষ্য ইতস্ততঃ প্রমণ করিয়া সেই সমস্ত উত্তমরূপে দলিত করে, পরে এক সপ্তাহ তাহা রৌদ্রে গুহ্ম হইলে ঐ চাচিয়া একত্র করে। অনন্তর কোটালের জলে ... ও রৌদ্রের সাহায্য পাইলে লবণ-মৃত্তিক উত্তমরূপে উৎপন্ন হয়। অপর বঙ্গার জলে চাতর ধৌত হইলে তথা কাৰ্ত্তিক বা অগ্রহায়ণ মাসে অত্যন্ত বর্ষায় বা কোয়াসায় জধবা মেৰে জাকাশ সৰ্ব্বৰ! আচ্ছন্ন থাকিলে লবণেীৎপত্তির •হানি জন্মে। পৌষ ও মাঘ মাসে জোয়ারের জলে জুরি নামক কুও সকল পরিপূর্ণ না হইলে লবণ-গ্ৰস্তুত-কার্যের হানি ঘটে। একটা জুরি নির্মাণ করিতে চারি কাঠ ভূমির আঞ্চক। ঐ XVII [ s११ ] লবণ फूमिएउ ६ कि ७ श्रू डोङ्ग ७क शंउ गर्ष ७ यरु शंज्र यश् একটা গৰ্ত্ত খনন করিয়া এক পদোনালী দ্বারা কোন কোন নদীর সহিত সংযুক্ত করিলে উক্ত জুরি প্রস্তুত হয়। কোটালের দিবস উক্ত নালা দিয়া মনীর লবণাতে इब्रि नब्रिगून इहेरण, মলীয়া নালা রুদ্ধ করিয়া সযত্নে ঐ জল রক্ষা করে। বর্ষাকালে জুরি বৃষ্টির জলে পরিপূর্ণ হইয়া থাকে ; কাৰ্ত্তিক-মাসে সেই জল সেচনপূর্বক জুরি পরিষ্কার করে। কোটালের লবণাৰু দ্বারা তাহা পূরণ করাই লবণ-প্রস্তুত-করণ কার্য্যেয় এক প্রধান উপাদান ; সাবধানে এই কাৰ্য্যটী সম্পন্ন ন হইলে সকল শ্রম ব্যর্থ হইবার সম্ভাবনা। চাতর জোয়ারের জলে সিক্ত করিয়া রৌদ্রে শুকাইবার নাম “লাজন”। ফার্বিক মাসে চাতর প্রস্তুত করিলে ক্রমাগত তিন মাস তাছাতে লবণ-মৃত্তিক জন্মিতে পারে, মাঘের শেষে বা ফাৰনেয় প্রায়ন্তে তাহ পুনরায় জোয়ারের জলে সিক্ত করিয়া খনন মা করিলে ও তদুপরি ভষ্ম ও মাদার অকৰ্ম্মণ্য মৃত্তিকা মা ছড়াইয়া দিলে তাহাতে লবণমৃত্তিক উত্তমরূপে জন্মে না। খালাড়ির তৃতীয়াঙ্গের নাম মাদ ; এই মাদা প্রস্তুত করিবার জন্ত মলঙ্গীরা দ্বাদশ হস্ত পরিধি ও ৪॥• হস্ত উচ্চ এক মৃত্তিক শু,প গ্রস্তুত করিয়া তত্ত্বপরি ১u• হস্ত গভীর ও ৎ হস্ত পরিমিত মালসাবয়ব এক গর্ত খুড়িয়া রাখে এবং মৃত্তিকা, ভষ্ম, বালুকাদি দ্বারা তাহার তল এইরূপ সুদৃঢ় করে যে, তাহা জলের অভেদ্ধ। তদনন্তর তাহার তলে “কুড়ি” নামক একটা মৃৎপাত্র স্থাপন করিয়া এক বংশ-নল দ্বারা তাহার সহিত গুপের সন্নিকটস্থ এক প্রকাও জালার সংযোগ করিয়া দেয়। ঐ জালার নাম “নাদ”, এবং তাহাতে ৩e॥৩২ কলস জল ধরিতে পারে । চাতরে লবণ-মৃত্তিক গ্রন্তত হইলে মলঙ্গীর পূর্বোক্ত কুড়ির উপর বংশনিৰ্ম্মিত একখানি ছাকনি ও তদুপরি কিঞ্চিৎ খড় রাখিয়া ঐ মৃত্তিকায় মাদার গর্ত পরিপূর্ণ করির পাদ দ্বারা তাহ উত্তমরূপে চাপিয়া দেয় ও জুরি হইতে কলসী কলসী লবণ-জল ত্যুপরি ঢালিতে থাকে। এইরূপে ক্রমান্বয়ে ৮• কলস জল চালিলে তাহা লৰণ-মূৰ্ত্তিক-ধৌত করির ক্রমশঃ বংশমল দ্বারা নাদে আসিয়া পতিত হয়, কিন্তু তৎসমুদায় জল লবণ-মৃত্তিকা হইতে পৃথক হয় মা । উক্ত ৮• কলস জলের ৩•৩২ কলস মাত্র মাজে আসিয়া পড়ে, অবশিষ্ট.ঐ জল মৃক্তিকার সহিষ্ঠ সংলগ্ন থাকে। নামে জল পড়া রহিত হইলে মলঙ্গীরা ঐ লবণ-জল এক পৃথৰু কলসীতে রাখিয়া দেয় এবং মাদার-ধৌত বৃত্তিক চাতরে সিক্ষেপ করিৰার জন্ত স্থানাপ্তরে রাখির নূতন লবণবৃত্ত্বিক দিয়া ঐ গদার, পূর্ণ করিবার অস্তিপ্রায় পুনরায় নূতন क हfक्रिड जांब्रख करब्र । , , -
