পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-o == - مهد حبیبی مباحت این است که লাক্ষা [ ১৮৬ ] লক্ষিণ


মাইল। এখানকার সর্দার বড়োদার গাইকবাড়কে বার্ষিক ১৫৪ টাকা ও জুনাগড়ের নবাবকে বার্ষিক ২৪ টাকা রাজকর দিয়া থাকেন । t; লাকিনী (স্ত্রী) যোগিৰীভেদ। তন্ত্রে এই যোগিনীর বিষয় বর্ণিত আছে। ফুর্গোৎসৰপদ্ধতিতে “লাং লাকিনীভো নমঃ’ এই মন্ত্রে পূজা করিতে হয় । লাকুচ (ত্রি) নকুচ-ক্ষম্ভব। লাকুচি (পুং) লকুচের গোত্রাপত্য। লক্ষ (জি) লাঙ্গৰ লক্ষ্মী শব্দের অপপ্রয়োগ । লাক্ষর্কী (স্ত্রী ) গীতা । “রাখব তে ইয়ং সীত। দ্বারকেশস্ত রুক্মিণী । বিঞ্চোছবতারমাত্রস্ত লক্ষ্মীৰ্য্য কমলালয় } লক্ষশঃ কমলা দাস্তে যথাঃ সা লাক্ষর্কী মত । এবং শতসহস্রাণামীশ্বরী রাধিকাধিক ৷” (পদ্মপুরাণ উত্তরখণ্ড ৫৫ অধ্যায় ) লাক্ষণ (ত্রি) ১ লক্ষণসম্বন্ধীয়। ২ লক্ষণৰিৎ । লাক্ষণি (পুং ) লক্ষণের গোত্রাপত্য। লাক্ষণিক (পুং ) লক্ষণমধীতে দেবী বা লক্ষণ ( কতৃক্থাদিস্বত্রাস্তাৎ ঠক্ । পা ৪২৬e ) ইতি ঠক্‌। ১ লক্ষণাভিজ্ঞ, লক্ষণযেত। ২ লক্ষণ শক্তি স্বারা প্রতিপাদক অর্থ। "লক্ষণয়া প্রতিপাদকঃ লাক্ষণিকঃ’ ( সাহিত্যদ” ) লক্ষণাত্মক বৃত্তিমৎ পদাই লাক্ষণিকত্ব ৷ “লক্ষণাত্মকবৃত্তিমৎ পদত্বং লাক্ষণিকত্বং ( সারমু” ) বিভক্তিতত্ত্বার্থকদে লিখিত আছে যে, শব্দ ৬ প্রকার শক্ত, লাক্ষণিক, রূঢ়, যোগরূঢ়, যৌগিক, ও যৌগিকরুঢ় । “শক্তো লাক্ষণিকে রূঢ়ে যোগরূঢ়শ্চ যৌগিকঃ। কচিৎ যৌগিকরূঢ়শ্চ শব্দঃ ষোঢ়ী নিগদ্যতে ॥” ( বিভক্তিতত্ত্বার্থবা ) [ লক্ষণ দেথ ] লক্ষণ্য (ত্রি) লক্ষণবিৎ । লক্ষ, কামরূপের দক্ষিণে প্রবাহিত একটা নদী। (কালিকাপু ১৭ জঃ ) রামপালের দক্ষিণেও এই নদী প্রবাহিত। (দেশাৰলী) লক্ষ (স্ত্রী ) লক্ষ্যতেইনয়েতি লক্ষ (গুরোশ্চ হল: । পী ৩৩১-৩) ইতি অ-টাপ্‌ ঘৰ-বাহুলকাৎ রাজতেরপি সঃ’ কপিলিকাদ্বিত্বাৎ বা লক্ষ্মং (উ4, ৩৬২ ) রক্তবর্ণ বৃক্ষমির্যাস বিশেষ, চলিত লাহ,গালা। সংস্কৃত পর্যায়—রাক্ষা, জতু, যাব, অলক্ত, ক্রমাময়, খদিল্লিক, রক্ত, রঙ্গমাতা, পলঙ্কবা, কৃমিহ, ক্রমব্যাধি, অলক্তক, পলাশী, মুদ্রিণী, দীপ্তি, জন্তুক, গন্ধমানীি, নীল, স্ত্ৰৰয়সা, পিত্তারি। বিভিন্ন দেশে লাক্ষ বিভিন্ন নামে পরিচিত। হিন্দী-লক্ষ, ল, লাহা ; বাঙ্গালা-গালা ; গুজরাত-লাক্‌ ; তামিল— কোরুকী, তৈলঙ্গ—কোম্মলক, লজুক, লঙ্ক ; মলয়াল - জমুলু; ব্ৰহ্ম—খেজিজক ; শিঙ্গাপুর-গৰদ ; মহারাষ্ট্র-লাখ ; কলিঙ্গ-মরগু । - জাশনা, বট, মহুয়া, পলাশ প্রভৃতি বৃক্ষ-কে লাক্ষাকীটের (coccus lacca ) অবস্থানহেতু যে রক্তবর্ণ নিৰ্য্যাস উৎপন্ন হয়, তাহাই লাক্ষ বা গালা নামে পরিচিত। কেহ কেহ বলেন, লাক্ষাকীট বৃক্ষবিশেষের ত্বক ভক্ষণ করিরা যে মল ত্যাগ করে, তাছাই জলবায়ু ও বৃক্ষের রসগুণে লাক্ষায় পৰ্য্যৰসিত হয়। এই লাক্ষা বা গালা উৎপাদনের জষ্ঠ ভারতবর্ষের স্থানবিশেষে চাস হইতে দেখা যায় । তত্ত্বৎস্থানের অধিবাসীরা এক বৃক্ষ হইতে লাক্ষা কীট লইয়া অপর বৃক্ষে ছাড়িয়া দেয়, সেই কীট হইতে বৃক্ষকে নুতন কীটের উৎপত্তি হইতে থাৰে । ক্রমশ: এই নূতন কীটবংশ বৃক্ষকে ছাইয় ফেলে। যখন লাক্ষাকীট বৃক্ষের আপাদ-মস্তক আচ্ছন্ন হয়, তখন আর বৃক্ষট সঙ্গীৰ থাকে না, বরং রসহীন হওয়ায় তাহার পত্রাদি বরিয়া যার এবং গুড়ি হইতে সমগ্র পল্লবাদি লাক্ষামলে আবৃত হইয়া মলসংযুক্ত হরিদ্রীভ.লোহিত যৰ্ণে রঞ্জিত হইয়া উঠে। লাক্ষাপালনকারিগণ উপযুক্ত সময়ে ঐ লাক্ষামল সুপরিপক হইয়াছে জানিয়া তাহা ভাঙ্গিয়া বাজারে বিক্রয় করিতে আনে। ঐ লাক্ষা দেশীয় ৰাণিজ্যের একটী পণ্যদ্রব্য মধ্যে গণ্য। উহা হইতে নানাপ্রকার খেলানা প্রস্তুত হইয়া থাকে। খেলানা প্রস্তুত করিবার পূৰ্ব্বে উহাকে জলে ভিজাইয়া রাখিতে হয় । তাহাতে সেই জল ক্রমশঃ লাল হইয় উঠে। সেই লোহিতবর্ণ জল শুকাইয়া গাঢ় হইলে পর যে লাল রঙ, তলায় জমে, তাহ পুনরায় শুকাইয়। লইলে "Lac dye' প্রস্তুত হইয়া থাকে। তাঁহাই বাণিজ্যদ্রব্যরূপে বাজারে বিক্রীত হয়। আমাদের দেশের অলক্তক নামক কাপাস-পত্র (তুলার পাত) এই লাক্ষার রঙ্গেই প্রস্তুত । ময়লাযুক্ত লাক্ষাকে সাধারণতঃ লোকে খাম্‌লাখ, বা লক্ষার খামি বলে। লাক্ষা ভিজাইয়া পরিষ্কৃত করিবার পর উহা এক ' একটা ক্ষুদ্র বীজের স্তায় চূর্ণ হইয়া যায়। উহা লাক্‌দান ব: Seed-lae নামে পরিচিত । এই দানাগুলি অগ্নির উত্তাপে সামান্ত পরিমাণ রজন যোগে গলাইয় যে পাতগাল (Shell-ae) প্রস্তুত হয়, বাঙ্গালায় ও হিন্দুস্থানে তাহ চাপড়া-গাল বা চাছ-গালা বলিয়া প্রসিদ্ধ। ৰোতামের স্তায় ক্ষুদ্র ও গোলাকার মোটাগুলি বড়া-গালা বা Button-lac নামে প্রচলিত অাছে । ভারতবর্ষের স্থানবিশেষে লাক্ষার উৎপত্তি ও পরিমাণ স্বতন্ত্র। পশ্চিমবঙ্গের ও আসামের পাৰ্ব্বত্য-প্রদেশে এবং মধ্যপ্রদেশের মালাস্থানে প্রচুর গলা জন্মে । যুক্তপ্রদেশে তদপেকূল