পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৬৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্দ্ধা [ بيع مع ] বৰ্দ্ধমানমতি (পুং ) বোধিসম্ভেদ। বর্ধমানক্ষিপ্র,ইনি মানপ্রক্রিানামক ব্যাকরণ প্রণয়ণ করেন। বৰ্দ্ধমানসট্রক (ক্লী) সর্টকভেদ। ইহার প্রস্তুতপ্রণালী—ঘন দধি মন্থন করির তাহাতে সম্ভব মত শর্কর, মরিচ, ওঁঠ, পিপুল, জীয়ক এই সকল দ্রব্যের চূর্ণ মিশ্রিত করিতে হয়। পরে উত্তম রূপে ইহা হস্তদ্বারা আলোড়ন কল্পিৰে । তৎপরে পঙ্ক দাড়িমরস উহাতে মিশাষ্টয়া ৰন্ত্র দ্বারা ছাকিয়া লইলে এই সন্ট্রক হয়। এই সট্ৰক গুরু, অগ্নিদীপ্তিকর, বলকারী, তৃপ্তিকারক, কফ,বাত, পিত্ত, শ্রম, গ্লানি ও তৃষ্ণানাশক । “সাম্রং ধি গৃহীত্ব তু কিঞ্চিাখ চ মন্থয়েৎ । শর্কর মরিচং শুষ্ট পিপ্পলী জীবটুর্ণকম্ ॥ নিক্ষিপ্য চ যথাযোগ্যং হস্তেনালোড্য যত্নতঃ । বস্ত্রেণ গালয়েভস্মিন পকদাড়িমবীজকম্ ॥ নিক্ষিপ্য সিদ্ধমতত্ত্ব, মটকং বর্ধমানকম্। গুরুীপ্তিকরং রচাং বলং তৃপ্তিকারক। ৰাক্ষবাগুঞ্চ পিত্ত্বঞ্চ শ্ৰমং গ্লানিং কৃষাং জুয়েৎ ॥" ( বৈষ্মকনিও দ্রব্যগুe ) বর্ধমানসূরি, জৈনরিভ। অভাবে শিবা, ইনি ১৩২ - খৃষ্টাম্বে বিদ্যমান ছিলেন। কথাকোষ বা শরণরত্নাবলী এবং উপমিতিভম্ব-প্রপঞ্চনাম-সমুচ্চয় ১১৮৮ সংবতে রচনা করিয়াছিলেন । বৰ্দ্ধমানস্বামী, জৈন তীর্থঙ্করভেদ। [ মহাবীর দেথ। ] বর্ধমানেশ (পুং ) বর্ধমানন্ত ঈশঃ। ১ বৰ্দ্ধমানপুরের রাজা । ২ শিবলিঙ্গ ও মন্দিরভেদ । বৰ্দ্দয়িত্ব (ত্রি) বন্ধচিল, বৰ্দ্ধনকাবক । বদ্ধ, মধ্যপ্রদেশের চীফ কমিশনয়ের অধীনস্থ একটা জেলা। অক্ষা ২০°১৮ হইতে ২১:২১%উঃ এবং ৭৮ ৪ ৩০ হইতে ৭৯১৫' পূঃ মধ্য। এই জেলা ত্রিকোণাকৃতি, পাদমূলে চান্দা জেলা, পূৰ্ব্বে নাগপুর এবং পশ্চিমে বৰ্দ্ধানী প্রৱাহিত থাকিয় বেকার তইতে এষ্টস্থান বিচ্ছিন্ন রাখিয়াছে। ভূপরিমাণ ২৪-১ বর্গমাইল। বৰ্দ্ধা নগর এখানকার বিচার সদর। এই জেলার অধিকাংশ স্থানই পৰ্ব্বতময়। সাতপুরী পৰ্ব্বতমালার কএকটি শাখা উত্তরদিক্ হইতে এই জেলার দক্ষিণপূর্বাংশ পর্যন্ত আক্ষর করিয়া রাখিয়াছে। এই ক্রমোচ্চনিম এবং উপলথওবিক্ষিপ্ত ভূমিভাগে বিশেষ কোনরূপ বৃক্ষলতা বা শস্তাদি উৎপন্ন হয় মা। গ্রীষ্মকালে পৰ্ব্বতের ঢালু দেশে সামান্ত মাত্রায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গুল জন্মিতে দেখা যায়। বৰ্ষাঋতুর পর ঐ সকল স্থাম পৰ্য্যাপ্ত পরিমাণে মৃণমণ্ডিত হইয় উঠে। তখন তথায় দ্বলে দলে গোমহিষাদি আসিয়া বিচরণ করিয়া { i | | | l | | | বৰ্দ্ধা থাকে। অষ্টি ও খালালী পরগণার পর্বতাংশ শাল ও সেগুণ বৃক্ষ মণ্ডিত জঙ্গলে পূর্ণ। এই লকল পৰ্ব্বতশাখার মধ্যবর্তী উপত্যক্ষ ভূমি বিশেষ উৰ্ব্বর এৰং শস্তসমৃদ্ধিশালী। এই জেলার উত্তর বিভাগ হইতে স্তলেগাও, চিচোলী, ধামকুও ও থানেগাও নামে কএকটা গিরিপথ নাগপুর অভিমুখে গিয়াছে। ঐ সকল পৰ্ব্বতমালার মধ্যে মালেগাও, নলগাও ও জৈত্রগড় (২০৮৬ ফিট) শিখর সৰ্ব্বোচ্চ। তাহারই মধ্য দিয়া আৰায় পৰ্ব্বতগাত্রপ্রস্ত জলরাশির অববাহিকাভূমি। ক্ষএকটা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্রোতস্বিনী কুল কুলনাদে সেই গিরিকদের ভেদ করিয়া পৰ্ব্বতপার্শ্বস্থিত নিম্ন প্রদেশের সমতল প্রাস্তুরে প্রবাহিত হইয়৷ বৰ্দ্ধাসলিলে আসিয়া মিশিয়াছে। ঐ সকলের মধ্যে ধাম, বোর, অশোড়া ও বস নামে কয়ট শাখা বৰ্দ্ধার কলেবর পুষ্টি করিতেছে। বৃহদাকার বৃক্ষের মধ্যে এখানে মায়, তেঁতুল, বট ৪ অশ্বখ দেখা যায়। পূৰ্ব্ববিভাগের বনদেশে সেরূপ দীর্ঘাকাব বৃক্ষ নাই। হিঙ্গনঘাট তহসীলে এবং গিয়াড় নগর সন্নিহিত প্রদেশের ভূগর্ভস্থ স্তর মধ্যে সুমিষ্ট জলপ্রবাহ বিদ্যমান আছে । বিগত ছয় শতাব্দ পূৰ্ব্বে শেখ খুজি ফরিদ নামে একজন মুসলমান সাধু এখানকার পর্বতশিখরে আসিয়া বাস করেন। প্রবাদ, এক সময়ে কএকজন বণিক্‌ নারিকেল লইয়৷ এই স্থান - দিয়া বাণিজ্যাৰ্থ গমন করিতেছিল, তাহারা মুসলমান সাধুকে ভণ্ড মনে করিয়া তাহার প্রতি বিদ্রপ বাক্য প্রয়োগ করে, তাহাতে সাধু কুপিত হন এবং ঠাহীর অভিশাপে সমস্ত নারিকেল পাথরে রূপান্তরিত হইয় পৰ্ব্বতস্ত,পে পরিণত হয়। এখনও ঐ পৰ্ব্বতের শিখরদেশে বহুসংখ্যক মুসলমান সাধু বাস করিয়া থাকেন। এখানে বিশেষ কোন খনিজ পদার্থ পাওয়া যায় না। পৰ্ব্বতাংশে যে কএক প্রকার পাথর পাওয়া যায়, তাঙ্গ গৃহনিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য ব্যতীত কোন উপকারেই আইসে না । কোন স্থানে চুণে পাথর পাওয়া যায়, তাহা পোড়াইয়া চূণ প্রস্তুত হয়। ক্লাষ্টান ও ব্রাকৃবেসান্ট পাথরের অভাব নাই। বনভাগে চিতা, হায়ন, নেকড়ে, বনবরা ও বঙ্গপূগাল প্রভৃতি জন্তু প্রচুর দৃষ্টিগোচর হয়। হরিণ, নীলগাই ও বুনোভেড়। পৰ্ব্বতভাগে যথেষ্ট । পক্ষীর মধ্যে তিত্তির, টিটিভ, বটের, পাৰ্ব্বতা কপোত প্রভৃতি প্রধান। সকল প্রকার সর্প, শতপদী ও বৃহৎকায় বিচ্ছু বিস্তর দেখিতে পাওয়া যায়। এখানকার প্রাচীন ইতিহাস সম্বন্ধে বিশেষ কিছুই পাওয়া যায় না, তবে মহাভারতের উক্তি এবং স্থানীয় প্রবাদ অনুসরণ করিলে জানা যায় যে, এখানকার উত্তরপশ্চিমাংশ বিদর্ভরাজ ভীষ্মকের শাসনাধীন ছিল। ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ এই উীষ্মকনন্দিন। কুক্মিণী দেবীর পাণিগ্রহণ করেন ।