পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব’দ্বীপের প্রকৃতি—বিল, বাওড়, খাল, দিয়াড় । २ॐ প্রথমতঃ গোরাই মধুমতী ও নবগঙ্গার মধ্যে মাগুরার উত্তর যোগিনী বিল এবং নলদীর পূৰ্ব্বে ইচ্ছামতী বিল। নবগঙ্গা ও চিত্রার মধ্যে কালিয়ার উত্তর আগরহাটি বিল, চিত্রা ও ভৈরবের মধ্যে যশোহরের উত্তরে জলেশ্বর বিল। বড় বড় বিল সমস্তই খুলনার মধ্যে। মধুমতী ও ভৈরবের মধ্যে পূৰ্ব্বদিকে গজালিয়৷ নরনিয়, কাতলি ; আতাই, ভৈরব ও আঠার বাকীর মধ্যে বিল কোলা ও বামুখালি ; ভৈরব ও ভদ্রের মধ্যে বিল পাবলা ও ডাকাতিয়ার বিল বিশেষ বিখ্যাত। ভদ্রের দক্ষিণে যে সমস্ত বিল তাহ সুন্দরবনের অন্তভূক্ত। ইহাদের মধ্যে সাতক্ষীরার পশ্চিমে দাতভাঙ্গ বিল ও দক্ষিণে বয়রার বিল সৰ্ব্বাপেক্ষা বৃহৎ । প্রায় সকল নদীর পাশ্বেই বাওড় আছে। কারণ সকল নদীই কোন না কোন কালে পথ পরিবর্তন করিয়া থাত রাখিয়া গিয়াছে। কোন নদী মরিয়াছে, কোন নদী এখনও সজীব আছে। সকলেরই খাতের চিহ্ন আছে। তন্মধ্যে যে ধাত ভরাট হইয়া এখনও শস্তক্ষেত্রে পরিণত হয় নাই, যাহাতে এখনও জল থাকে, তাহাকে বাওড় বলে। নদীর গভীরতা সৰ্ব্বত্র সমান থাকে না । দুই দিক্‌ মরিয়া গেলে মধ্যবৰ্ত্তী এক গভীর স্থানে প্রচুর জল থাকে। সে বাওড়ে মৎস্ত জন্মে, সময় সময় নৌকা চলাচল করে। অনেক বাওড়ের জল অতি মুনার, উহ! পাশ্ববৰ্ত্তা লোকে পানীয়রূপে ব্যবহার করে। যশোহরে অধিকাংশ নদী মরিয়া অসংখ্য বাওড়ের স্বষ্টি করিয়াছে, খুলনার বাওড় তত অধিক নহে। বাওড় ও ঝিল একই কথা । যে বাওড়ে যথেষ্ট জল থাকে, কতকটা পরিষ্কৃত, থাকে তাহাই সাধারণতঃ ঝিল নামে কথিত হয়। কোটচাঁদপুর হইতে যশোহর পর্যন্ত ভৈরব না, নলডাঙ্গার নিকট বেঙুনী বেনাপোলের পাশ্বে নওভাঙ্গা নদী এক প্রকার বাওড়েই পরিণত হইয়াছে। চৌগাছার দক্ষিণে বেড়গোবিৰপুরের চারিধারে, চৌবেড়িয়ার চতুর্দিকে যমুনা থাতে, ঝিকরগাছার দক্ষিণে ঝাপাগ্রামের তিন দিকে, তাহিরপুর ও বারৱাঙ্গাল্লে মধ্যে ভৈরবের উত্তরে প্রকাও প্রকাও ধাওড় রহিয়াছে। খুলনাজেলার সেন্ন হাট গ্রামের উত্তর পশ্চিম কোণে ৬৭টি থাতে, বহুশিয়ার দক্ষিণগুয়ে t পুরের মাৰে, ফকিরহাটের পূর্বে ব্রাহ্মণ রঞ্জিন্মির নিন্ধি, মরনীয় গুঞ্জ পূর্ণ বাওড় দেখা ৰাইৰে। ---