পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bペ যশোহর-খুলনার ইতিহাস । দামদল নাই। রামপালেও এক প্রকাণ্ড পুরাতন “রামপাল দীঘি” আছে উহা এক্ষণে খুলনা ডিষ্ট্রক্ট বোর্ড কর্তৃক সংস্কৃত হইয়াছে। রামপাল ও আমাদি প্রভৃতি স্থান বহুদিন সুন্দরবনের গ্রাস হইতে জাগে নাই । স্বরণখোলা ফরেষ্ট ষ্ট্রেশনের সম্মুখে পশ্চিমদিকে মরা ভোলা নদীর উপর প্রাচীরবেষ্টিত একটি বাড়ী আছে ; উহার ভগ্ন প্রাচীর এখনও দ্রষ্টব্য। চাঁদ পাই ফরেষ্ট ষ্টেশনের দেড় মাইল দক্ষিণপূৰ্ব্বে সেলা নদী হইতে বহির্গত সোণামুখী খালের পার্শ্বে জঙ্গলের মধ্যে এখনও একটি সুস্পষ্ট ইটের পাজ বর্তমান রহিয়াছে। খুলনা জেলার পশ্চিমভাগে আশাশুনি পুলিশষ্টেশন। উহার পশ্চিমদিকে গুতিয়াখালি নদী,—তাহার পশ্চিমপারে সাইহাট গ্রাম। এস্থান পূৰ্ব্বে ভীষণ জঙ্গলাক্রান্ত হইয় পড়িয়াছিল, সম্প্রতি আবাদ হইয়াছে। জঙ্গলের পূর্ব হইতে এখানে অনেকগুলি মন্দির ছিল ; তন্মধ্যে তিনটি মন্দিরের ভগ্নাবশেষ এখনও আছে। ইহার মধ্যে পূৰ্ব্ব-প্রান্তে যেটি, তাহাই দণ্ডায়মান আছে। উহা নানা কারুকার্যখচিত সুন্দর মন্দির। সাইহাটি গ্রামের মধ্যে এক অংশের নাম উজিরপুর। সেখানে এখনও একটি প্রকাণ্ড ইষ্টকস্তুপ উজিরের বাড়ী বলিয়া খ্যাত । এতক্ষণে আমি সুন্দরবনের প্রাচীন বসতিচিহ্নের সংক্ষিপ্ত বিবরণী শেষ করিলাম। ইহার অধিকাংশ স্বচক্ষে দেখিয়া লিখিয়াছি এবং কতকগুলি বিশ্বস্ত ও শিক্ষিত দর্শকের নিজের মুখের বিবরণী হইতে লিপিবদ্ধ করিয়াছি ; অনেকস্থলে তাহাদিগকে উদ্যোগী করিয়া এসব বিষয় স্থিরভাবে দেখিবার জন্ত প্রবর্তিত করিয়াছি। তত্ত্বায়ুসন্ধিৎসু পাঠক স্বচক্ষে দেখিলে ইহার সত্যত উপলব্ধি করিতে পরিবেন। এই সকল বিবরণের সাক্ষ্য হইতে বোধ হয় স্বচ্ছনে অনুমান করিতে পারি, যে সুন্দরবন এক সময়ে মনুষ্ঠাবাসের উপযুক্ত ছিল; ইহার ভূমি তখন শস্যভারে হান্তময়ী হইত ; ইহার নগরীসমুহ হৰ্ম্ম্যমন্দিরে সমৃদ্ধ এবং জন-কোলাহলময় ছিল। অনেকবার সুন্দরবনের উত্থান পতন হইয়াছে; ইহা বৌদ্ধযুগের শেষভাগে পড়িয়াছিল এবং হিন্দুরাজত্বে পুনরায় জাগিয়াছিল ; সেই হিন্দুর সময়ে পড়িয়াছিল আবার পাঠানযুগে জাগিয়াছিল। পরে মোগলের মধ্যযুগে পড়িয়াছে, আর উঠে নাই। মোগল আমলের প্রথমভাগে পাশ্চাত্য যে সকল জাতি বাণিজ্যের জন্ত এদেশে আসিয়াছিলেন, তাহারা মুন্দরবনকে :