পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉bや যশোহর-খুলনার ইতিহাস । এইভাবে মগধের রাজধানী ওদন্তপুরীতে অসংখ্য মুণ্ডিতশীর্ষ শ্রমণ কালগ্ৰাসে পতিত হন। মুসলমান ঐতিহাসিক মীনহাজ-উদ্দীন তাহার তবকাত-ই-নাসিরি নামক গ্রন্থে ইহার বিশেষ বিবরণ দিয়াছেন। সেখানেই প্রাচীন হিন্দু বা বৌদ্ধনগরী ছিল, তাহাই এক্ষণে মুসলমানপ্রধান স্থানে পরিণত হইয়াছে। এ সকল মুসলমানই অন্তদেশ হইতে আসে নাই। এই দেশীয় নানাজাতীয় লোকে মুসলমান হইয়া গিয়াছে। জাতীয় শক্তি বা বংশগৌরব লুপ্ত থাকিবার জিনিস নহে। যেখানে বিদেশ হইতে আগত প্রকৃত উচ্চ শ্রেণীর মুসলমানের বংশ রহিয়াছে, সেখানে এখন তাহদের চেহারায়, বিদ্যাচর্চায় ও তেজস্বিতীয় তাহাদিগকে চিনিয়া লওয়া যায় ; আর যেখানে নিম্নশ্রেণীর হিন্দু মুসলমানধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়া মুসলমান হইয়াছিল, সেখানেই নিম্প্রভ নিরক্ষর সম্প্রদায় গঠন করিয়াছে। রাজধানী বালাগু মুসলমানের স্থান হইয়াছে, * জগন্নাথপুরে হিন্দুর নাম উল্টাইয়া সেখহাটি হইয়াছে, পয়গ্রাম কসবায়ু হিন্দু একেবারেই নাই। বাগেরহাটে মুসলমান বারে আনা। বারবাজারেও হিন্দু নাই বলিলে অত্যুক্তি श्ध्न नी । ষষ্ঠতঃ এ দেশে যখন মুসলমান আক্রমণ আরম্ভ হয়, তখন তাহদের প্রধান আস্তান ছিল বারবাজার। যে বীর আউলিয়া বা ফকির সুন্দরবন অঞ্চলে ধৰ্ম্ম ও শস্তের আবাদ করিতে আসিয়াছিলেন, তাহাদের প্রথম আড্ডা হইয়াছিল বারবাজার। এই বারজন ফকিরের আস্তানার জন্ত স্থানটির নাম রাখা হইয়াছিল বারবাজার। এই খানে গোরাইগাজী প্রথম জামলা গোদার গোদ ভাল করিয়া দেন, শ্রীরাম রাজাকে মুসলমান ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেন। এক্ষণে বারবাজারের চারিপাশে সাদেকপুর, ইনায়েতপুর, হাবাতপুর, পিরাজপুর, মুরাদগড়, মোল্লাডাঙ্গ, রহমতপুর, বাদেডিহি, দৌলতপুর প্রভৃতি বহু মুসলমানী গ্রাম রহিয়াছে। পূৰ্ব্বে এস্থানে মুসলমান ছিল না। তাহার প্রমাণ “কালুগাজি ও চাম্পবতী” নামক মুসলমানী কেতাবে আছে। বারবাজারের যে অংশে স্ত্রীরামরাজার বাড়ীর ভগ্নাবশেষ আছে, উহারই পূৰ্ব্ব নাম ছিল ছাপাইনগর। এখনও স্থানীয় • ১৩২ সালের সাহিত্য সম্মিলনে মহামহোপাধ্যায় খ্রযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়ের पछाडि छांश१ ॥