পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ను যশোহর-খুলনার ইতিহাস । শৈলকূপা যশোহর জেলায়। এ দুইটি প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ স্থান বটে, কিন্তু বৌদ্ধপ্রতিপত্তির প্রধান নিদর্শন পাওয়া যায় না। খুলনা জেলার কোন স্থান উক্ত তালিকাভুক্ত হয় নাই। আমরা এই দুই জেলায় যাহা কিছু প্রত্যক্ষ নিদর্শন পাইয়া থাকি, তাহাই এখানে বর্ণিত হইতেছে। সমতটের রাজধানী বারবাজারে ছিল ধরিয়া তথায় ২১টি সংঘারামের অস্তিত্ব বিষয়ে অনুমান করিয়াছি। বারবাজার ত্যাগ করিয়া দক্ষিণে অগ্রসর হইলে, বৰ্ত্তমান যশোহর সহরের সন্নিকটে মুড়লীতে একটি বৌদ্ধস্থান ছিল বলিয়া বোধ হয়। কানিংহাম সাহেব এখানেই সমতটের রাজধানী কল্পনা করিয়াছেন। মুড়লী অতি প্রাচীন স্থান। এমন কোন প্রাচীন ম্যাপ বা ভৌগলিক বৃত্তান্ত নাই, যাহাতে মুড়লীর নাম নাই। পাঠান, মোগল ও ইংরাজ আমলে ইহার প্রাধান্তের অনেক ইতিহাস আছে। পাঠান আমলে বারজন ফকিরের মধ্যে দুইজন এখানে স্থায়িভাবে আস্তান করিয়া বহুলোককে মুসলমান ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেন। তৎপূৰ্ব্বেও ইহা একটি বিখ্যাত স্থান ছিল বলিয়া অনুমান করা যায়। বিস্তৃত ভরবের কুলে এই সুন্দর স্থানে হিন্দু বৌদ্ধের বাস ছিল, এজন্ত এখানে মুসলমান ফকিরগণ স্থায়ী আস্তান করা কর্তব্য মনে করিয়া থাকিবেন। এইরূপ প্রসিদ্ধ স্থান দেখিয়া পাঠানের সহর বসাইতেন ; এখানেও তাহীদের একটি সঙ্কর ছিল । তাহার নাম ছিল, মুড়লীকস্ব । পুরাতন কস্বায় এখনও গরিব সাহ ও বেহরাম সাহের সমাধিস্থান আছে। আধুনিক সময়ে মুড়লীতে একটি অতি সুন্দর ইমামবার বা মুসলমানদিগের ভজনালয় আছে। প্রাচীনকালে এখানে এক সন্ন্যাসীর প্রতিষ্ঠিত ৫/কালীবাড়ী ছিল । এক প্রকাও বটবৃক্ষের কোটরে সেই প্রাচীন মন্দিরের প্রাচীরগুলি দেখা যায়। চাঁচড়া রাজের উদার ব্যবস্থায় এখানে পূজাদির বিশেষ আয়োজন ছিল। কালে তাহা নষ্ট হইয়াছে। yকালীমূৰ্ত্তির হস্তপদবিহীন দেহপিণ্ডটি আছে ; কিন্তু শায়িত শিবমূৰ্ত্তির প্রায় সম্পূর্ণই আছে। এখনও সেখানে প্রতি অমাবস্তায় পূজা হয়। আধুনিক যুগের নানা দেবমন্দির ও দেবালয়, আখড়া প্রভৃতি প্রাচীনত্বের ইঙ্গিত করিতেছে। এখানে কোন বৌদ্ধ সংঘারাম ছিল বলিয়া আমাদের বিশ্বাস । বর্তমান যশোহর নগরী হইতে আরম্ভ করিয়া কৃপোতাক্ষের পূর্বকুল দিয়া