পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসতি ও সমাজ । ২৬৯ ধৰ্ম্মনত পরিবর্তিত হইয়াছিল। এখন অনেক স্থলে মৌলিকদিগের অবস্থা এত শোচনীয় এবং তাহদের আশ্রিত কুলীনগণ এত সমৃদ্ধিসম্পন্ন হইয়াছেন যে কোন কায়স্থপ্রধান গ্রামে কুলীনগণই প্রধান এবং তাহদের আশ্রয়দাতার কীৰ্ত্তিকথা লুপ্তগাথায় পরিণত হইয়াছে। আমরা সাধারণভাবে যে কয়েকটি কথা বলিলাম, বিশেষ অনুসন্ধান করিলে তাহার সত্যতা লক্ষিত হইবে, কারণ আমরা অনেক অনুসন্ধানের পর এইরূপ মন্তব্যে উপনীত হইয়াছি। এ বিষয়ে সকল দৃষ্টান্ত এখানে প্রদান করা দুঃসাধ্য এবং অনর্থকও বটে। সুতরাং ভৈরব-ভদ্রকুলে কতকগুলি স্থানের বসতির বিষয় উল্লেখ করিয়া সংক্ষেপতঃ কয়েকটি মাত্র দৃষ্টান্ত দিতেছি। ভৈরবনদ যশোহরে প্রবেশ করিবার পর সিঙ্গিয়া পর্যন্ত এক প্রকার পূর্বমুখেই আসিয়াছে। তৎপরে উহার গতি ক্রমশঃ দক্ষিণমুখী হইয়া বিপ্লবগ্রস্ত প্রদেশ দিয়া পূৰ্ব্বদিকে চলিয়া গিয়াছে। সিঙ্গিয়ার উত্তরে ত্রয়োদশ শতাব্দীর বিপ্লব গিয়াছিল বলিয়া মনে হয় না । সিঙ্গিয়ার পর হইতে যশোহর-কূলে নূতন বসতি হইতে থাকে। সেখান হইতে নদীর দুইধারে ক্রমান্নয়ে মৌলিক কায়স্থগণের আদিবাস দেখিতে পাওয়া যাইবে । চেঙ্গুটিয়ায় কন্ধীশ গোত্রীয় রায় চৌধুরী দত্তগণ বিখ্যাত। ইহারা বালীর দত্ত, উত্তর কালে সুবিখ্যাত সেনাপতি কালিদাস ও শ্রীরাম এই বংশ উজ্জ্বল করেন। কালিদাসই বাঘুটিয়ার ঘোষ ও জঙ্গলবাধালের বসু সমাজের প্রতিষ্ঠাতা। দেয়াপাড়ার দেববংশ বহু প্রাচীন। ইহারা সাধারণতঃ চিত্রপুর ও কর্ণপুরের দেব বলিয়া এক্ষণে খ্যাত। পাঠান আগমনের পূৰ্ব্ব হইতে ইহার এদেশের অধিবাসী ছিলেন। পাঠান সরকারে চাকরী করিরা যশস্বী হইয়া ইহার নানা উপাধি লাভ করেন এবং যশোহরখুলনার নানাস্থানে বসতি করিয়াছিলেন। দেয়াপাড়ার মজুমদার, ভাটিয়াপাড়ার বল্পী, কম্বদীর সরকার, পাজিয়ার সরকার, রুদাঘরার হালদার, সাধুহাটার সরকার, সুবলহাটির হালদার, ও কোটাকোলের সরকারগণ এই দেববংশীয়। এই সকল স্থানেই ইহার বহু কুলীন কায়স্থ ও মুব্রাহ্মণের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। -তপন ভাগের দাসগণও এইরূপ বিখ্যাত। তাহার নড়াইলে শোলপুর ও ভয়খালি প্রভৃতি স্থানে বসতি করেন। আফরার ও শঙ্করপাশার সেনগণ ভৈরবেৈল অবস্থিত। ইহার বিখ্যাত দ্বিগঙ্গায় সেনবংশীয়, যশোহরে সিরিজদিয়া