পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 যশোহর-খুলনার ইতিহাস । উহা আমার হস্তে প্রদান করেন। মুদ্রাটির সর্বপ্রধান বিশেষত্ব উহার বাঙ্গাল অক্ষর। বাঙ্গালা অক্ষরের প্রাচীন মুদ্রা আর দেখি নাই। বহু চেষ্টা করিয়াও অদ্যাবধি মহারাজ প্রতাপাদিত্যের নামাঙ্কিত মুদ্র প্রাপ্ত হই নাই, সুতরাং তাহাতে কিরূপ বাঙ্গালা অক্ষর উৎকীর্ণ ছিল, তাহা জানি না । ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের বিশিষ্ট কৰ্ম্মাধ্যক্ষ, মুদ্রাতত্ত্ববিৎ সুপণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায় এম-এ মহোদয় আমার এই মুদ্রার অকৃত্রিমতা সপ্রমাণ করিয়াছেন, এবং ইহা যে কিরূপে কতকগুলি তর্কসস্কুল ঐতিহাসিক তথ্যের উদ্ধারের পথ পরিষ্কার করিয়াছে, তাহারও উল্লেথ করিয়াছেন। * মুদ্রাটি বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদে উপহারস্বরূপ প্রদান করিয়াছি। উহা এক্ষণে তত্ৰত মুদ্রাবিভাগে রক্ষিত হইতেছে। f আমার এই মুদ্র প্রাপ্তির পূৰ্ব্বে মালদহের স্বনামধন্ত ঐতিহাসিক স্বৰ্গীয় রাধেশচন্দ্র শেঠ মহাশয় এইরূপ দুইটি রজতমুদ্র প্রাপ্ত হন। উহা তিনি মালদহে উত্তর বঙ্গসাহিত্য সম্মিলনের চতুর্থ অধিবেশন কালে প্রদর্শন করিয়াছিলেন। তন্মধ্যে একটি দনুজমর্দন দেবের এবং অপরটি মহেন্দ্র দেবের । রাধেশ বাবুর মৃত্যুর পূৰ্ব্বে রঙ্গপুর শাখা পরিষদের পত্রিকায় উক্ত মুদ্র দুইটি সম্বন্ধে একটি নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ ও উহাদের আলোক চিত্র প্রকাশিত হইয়ছিল। : তাহ হইতেই আমরা চিত্রান্নুলিপি দিলাম। এক্ষণে মুদ্রাত্রন্থের বিশেষ বিবরণ দেওয়া হইতেছে ।

  • প্রবাসী, ১২শ ভাগ, ৪র্থ সংখ্যা, ১৩১৯, শ্রাবণ ।

বঙ্গীয়সাহিত্যপরিষদ উনবিংশ সাংবৎসরিক কাৰ্য্যবিবরণীতে এই মুদ্রা সম্বন্ধে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করিয়া আমরা ইহার “উদ্ধার করিয়া বঙ্গের হিন্দুরাজত্বের একটি তর্কসস্কুল অধ্যায়ের স্বমীমাংসার সহায়” হুইয়াছি বলিয়া মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন। “সাহিত্য পরিষৎপঞ্জিকা" ১৩২•, ১৬৮ পূঃ । এই দুইটি মুদ্রা পাণ্ডুয়ার আদিন মসজিদের উত্তর-পূৰ্ব্বাংশে নুনাধিক ছুই ক্ৰোশ মধ্যে সাঁওতাল কৃষকের হলমুখে উৎক্ষিপ্ত হয় ; সাওতাল কৃষক উহা পুরাতন মালদহের এক দোকানদারের নিকট বিক্রর করে ; তাহার নিকট হইতে মালদহের “গোঁড়দুত” নামক সাপ্তাহিক পত্রের কার্য্যাধ্যক্ষ শ্ৰীযুক্ত কৃষ্ণচন্দ্র আগরওয়াল উহা সংগ্ৰহ করিয়া রাধেশ বাবুকে প্রদান করেন। মুদ্র দুইটি রাধেশ বাবুর আকস্মিক মৃত্যুর পর কলকাতায় হারাইয়া যায়। পূৰ্ব্ব প্রকাশিত আলোকচিত্র হইতে উহার চিত্রাঙ্গুলিপি প্রকাশিত করিলাম। এই অনুলিপির জন্ম পরম শ্রদ্ধের “প্রবাসী“সম্পাদক মহাশয়ের নিকট আমি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ। ঐযুক্ত রাখাল