পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b" যশোহর-খুলনার ইতিহাস ।צס\ ৭৭টি গুম্বজ আছে ; উহার বেষ্টনপ্রাচীর ও মধ্যবৰ্ত্তী (১০ × ৬) অর্থাৎ ৬০টি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। পূৰ্ব্বদিকে সদর দরজার সোজাস্বজি একসারি অর্থাৎ ৭টি গুম্বজ কিছু বড় ; ভিতর হইতে ঐ ৭টি চৌচালা ঘরের মত দেখা যায়। উহার উত্তরে ৫ সারি ও দক্ষিণে ৫ সারিতে ৭০টি গুম্বজ সম্পূর্ণ গোলাকৃতি। স্তম্ভ হইতে স্তম্ভ পৰ্য্যন্ত মাপ লইলে গুম্বজগুলি ১৩ × ১৩ ফুট হইবে। উত্তর এবং দক্ষিণ প্রাচীরে ৭ সারি গুম্বজের মুখে ৭টি করিয়া ১৪টি দরজা এবং পূৰ্ব্বদিকে ১১ সারির মুখে ১১টি দরজা—মোট দরজার সংখ্যা ২৫টি ; ইহার সবগুলিই খোলা ; ইহা ব্যতীত পশ্চিম প্রাচীরে একটি মাত্র দরজা আছে ; সেটি সম্ভবতঃ বন্ধ খাকিত। কোন মসজিদে পশ্চিম দিকে দরজা থাকে না; এখানে বোধ হয় প্রকাও অট্টালিকা বলিয়া এবং উহার পশ্চিমদিকে দীঘি আছে বলিয়া সে নিয়মের একটু ব্যতিক্রম হইয়াছে। উত্তর ও দক্ষিণ দিকের দরজাগুলি বাহির হইতে ছোট দেখায়, উহার প্রস্থ ৩-৪ ইঞ্চি এবং ভিতরে প্রস্থ ৬-২ ইঞ্চি। পূৰ্ব্বদিকের ১১টি দরজার মধ্যে সদর দরজার প্রস্তু ৯ – ৭" ইঞ্চি এবং অপরগুলি ৫ – ১০ ইঞ্চি ; উহার কোন কোনটি ৬ – ২” ইঞ্চিও আছে। গৃহটির চারি কোণে চারিটি মিনার আছে ; উহার ছাদ হইতে ১৩ ফুট উচ্চ। ইহার মধ্যে পূৰ্ব্বদিকের দুইটি মিনারের মধ্যে ঘুরাণ সিড়ি আছে এবং ঐ দুইটি পশ্চাদ্ভাগের দুইটি মিনার অপেক্ষী উচ্চ ; উহার একটির নাম রোসন কোঠা বা আলোক ঘর, অন্তটির নাম অর্ণধার কোঠা। মুয়াজিম এই সিড়ি দিয়া উপরে উঠিয়া প্রত্যেক নমাজের পূৰ্ব্বে ‘আজান দিতেন অর্থাৎ মুসলমানদিগকে নমাজের জন্য এই বিরাট মসজিদ বা ভজনালয়ে আহবান করিতেন। যাট্‌-গুম্বজ দুইটি উদ্দেশু সিদ্ধ করিত ; ইহা একটি বিরাট মসজিদ ছিল, প্রত্যেক নিদিষ্ট সময়ে এখানে নমাজ পাঠ হইত এবং ইহা শাসনকৰ্ত্ত খাজাহানের প্রধান দরবার-গৃহ ছিল। এখানে প্রাতঃকাল হইতে রীতিমত দরবার বসিত, সমবেত প্রজাবর্গের নিকট হইতে রাজস্ব সংগ্ৰহ, তাহাদের নানা প্রার্থনার উত্তর এবং অভিযোগের বিচার চলিত; সেই সকল কাৰ্য্য চলিবার সময়ে নমাজের কাল উপস্থিত হইলে, মুসলমান প্রজাগণ ঐ গৃহেই শ্রেণীবদ্ধ হইয়া নমাজ পড়িতেন। সদর দরজা দিয়া প্রবেশ করিলে উহার সোজাসুজি পশ্চিমদিকের বদ্ধপ্রাচীরের গাত্রে একটি প্রস্তর-বেদী ছিল ; উছার উত্তরদিকে মধ্যস্থানে জারও স্থাইৰ্টি