পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুকুট রায় l &సి কূপে পড়িয়া আত্মঘাতী হইয়াছিলেন। (৫) রায় মুকুট নবাব-সৈন্তের সহিত যুদ্ধ কালে পরিবারবর্গ শৈলকুপার সন্নিকটে কোন দুর্গে রাখিয়াছিলেন, সেখানে তাহার স্ত্রী-কন্যার মৃত্যু হয়। অথচ প্রবাদ অনুসারে অন্ত মুকুট রায়ের পরিবারবর্গ ব্রাহ্মণনগরে কুপে পড়িয়া আত্মহত্যা করেন। মুতরাং রায়মুকুট ও মুকুট রায় এক ব্যক্তি নহেন, এবং তাহারা এক সময়ে প্রাদ্বভূত হন নাই। সম্ভবতঃ ব্রাহ্মণনগরের মুকুট রায় হোসেন সাহ ও তৎপুত্র নসরৎ সাহের রাজত্ব কালে অর্থাৎ ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম ভাগে আবির্ভূত হন এবং ঝিনাইদহের রায় মুকুট তাহার অনেক পরে অর্থাৎ মোগল-আমলের প্রথম ভাগে আত্ম-প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। এইরূপ অনুমান করিবার কি কারণ আছে, তাহ পরে বলিব। আমরা এখানে রাজা মুকুট রায়ের কথাই বলিতেছি। মুকুট রায়ের স্ত্রীর নাম লীলাবতী স্ক ও র্তাহার সাত পুত্র এবং একটি মাত্র কন্ত। সাত ভ্রাতার ভগিনী বলিয়া ভগিনীটি সকলেরই বিশেষ আদরের ছিল ; এরূপ আদরের ভগিনীর প্রসঙ্গ উঠিলে আমাদের এখনও “সাত ভাই চম্পার” কথা অনেকে বলিয়া থাকে। চম্পাবতী অপূৰ্ব্ব রূপ-লাবণ্যবতী ছিল ; এমন কি তাহার রূপের কথা নানা স্থানে ব্যাপ্ত হইয়াছিল। গাজী সেই রূপের খ্যাতি শুনিয়াই মুগ্ধ হইয়াছিলেন। তিনি মুকুট রায়ের মুসলমান-বিদ্বেষের কথা জানিতেন। সেই ধৰ্ম্মবিদ্বেষের জন্য প্রতিহিংসা লইবার কল্পনাই হউক বা প্রকৃত রূপমোহেই হউক, গাজী চম্পাবতীর সহিত বিবাহের প্রস্তাব করিবার জন্ত কালুকে পাঠাইলেন। মুকুট রায় যবনের দুঃসাহসিক প্রস্তাবে ক্রোধে অগ্নিশৰ্ম্ম হইয়া কালুকে কারাবদ্ধ করিলেন। সুলতান হোসেনসাহ মুকুট রায়ের যবনবিদ্বেষের কথা পূৰ্ব্ব হইতে জানিতেন এবং পরে গাজীর বর্ণনা হইতে তাহ বুঝিয়া লইয়া উহার প্রতিশোধ দেওয়া জাতিগত কৰ্ত্তব্য বলিয়া ধরিয়া ছিলেন। গাজী সোণারপুর প্রভৃতি স্থান হইতে নৌকাপথে অনেক সৈন্য লইয়া আসিয়াছিলেন, হুসেন সাহের সৈন্যদলও আসিতেছিল। যেন সকল আয়োজন ও অভিযান কালুর কারামোচনের জন্যই হইতেছিল। দক্ষিণ রায় এ যুদ্ধের জন্ত অপ্রস্তুত ছিলেন না। দক্ষিণ দিক হইতে যখন গাজীর সৈন্ত আসিবার উপক্রম হইতেছিল, তখন তিনি ত্বরিত গতিতে নীে किब्जामत्राणी किङ्ग क्रिम ब्रह्लाद्र बौद्ध नाव जीर्णाक्छौ बजिब्र छब्रिविड श्रेंड्रोएश्।