পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠান আমলে দেশের অবস্থা। 8X& অর্থাৎ ধান এত সস্ত। যে ধানের ভালমন্দ বিচার করিয়া দামের তারতম্য ছিল না। ব্রাহ্মণের অনেকে নিরামিষভোজী এবং প্রায় সকলেই পৰ্ব্বদিনে, কাৰ্ত্তিক মাঘ ও বৈশাখ মাসে মৎস্ত থাইতেন না বলিয়া মৎস্তাশীর সংখ্যা কম ছিল। মৎস্ত কিনিয়াও অতি কম লোকে খাইত ; খাল বিল নদী পুষ্করিণীর ংখ্যাধিক্য বশত: মাছ ধরিবার বিশেষ সুবিধা ছিল। প্রতি গৃহে গরু পোষা হইত ; গোপালন গার্হস্থ্য ধৰ্ম্মের প্রধান অঙ্গ ; বিশেষতঃ গরু বিক্রয় করা একপ্রকার নিষিদ্ধ ছিল। কারণ, মুসলমানের কিনিয়া লইয়া গোবধ করিতে পারে, ইহার আশঙ্কা ছিল। গোবধের জন্ত হিন্দুরা মুসলমানের সহিত দাঙ্গা হাঙ্গামা করিতেন। রতই প্রধান খাদ্য ছিল ; ঝুঁত সংস্পর্শ ব্যতীত চাউল বা অন্ন শুদ্ধ হইত না, ঘুতবিহীন আহার অতীব নিন্দনীয় ছিল। লোকে দুগ্ধ হইতে প্রস্তুত করিয়া দধি, ক্ষীর, নবনীত খাইত। দধি মাঙ্গলিক দ্রব্য ছিল, উহ! বাতীত কোনও উৎসব বা নিমন্ত্রণ পূর্ণাঙ্গ হইত না। লোকে ছানা খাইত, চিনি খাইত, কিন্তু তখন সন্দেশ রসগলা প্রভৃতির আস্বাদ জানিত না। মুসলমানের নিজেদের মত কোরমা, কোপ্তা, কাবাব প্রভৃতি খাইতেন; তাছাদের খাদ্যের মধ্যে মাংসই অধিক থাকিত । অধিবাসিগণ একখানি ছোট ধুতি পরিত, উহা এখনকার ধুতি অপেক্ষ দৈর্ঘ্যগ্রন্থে অনেক কম। গামছা চিরসহচর ছিল। কোনস্থানে যাইতে হইলে ধুতির সহিত একখানি চাদর বা উড়ানি ব্যবহার করা হইত এবং অল্পলোকে চটা জুতা লইতেন। কিন্তু দূরপথে যাইবার সময় চট জুতা হাতেই চলিত, গন্তব্য স্থানের নিকট গিয়া চটি পায়ে দেওয়া হইত। মোজাজুতার প্রচলন ছিল না ; মুসলমানের নাগরী জুতার আমদানী করিয়াছিলেন। রৌদ্র-বৃষ্টির জষ্ঠ তালপত্রের ছত্র ব্যবহৃত হইত। একটি টাকার মধ্যে একজন সাধারণ ভদ্রলোকের পরিচ্ছদ হইত। চাদরটি কোচাইয়া কখনও কাঁধে ফেলা হইত এবং কখনও মাজায় বাধা হইত ; শীতকালে ঐ চাদরের উপর শাল জামিয়ার গায়ে দেওয়া হইত। শীল, জামিয়ার ও বনতি ধনীদিগের শীতবস্তু ছিল ; গুহার একখানি কিনিলে ৩৪ পুরুষ চলিত। গারে গাগির ম্য" হইবার ভয়ে डशत्र निरझ ७कः ऽन्निद्र बादशङ इहङ । गोषक" *** দোপাট্ট গায়ে দিত, কিন্তু কোচার কাপড়ের बउकिहूउ३ গতবারণ হইত না। লোকে দেবপিতৃকার্য্যে