পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80 উৰ্ম্মিমুখর খাল পেলাম। খালে খেয়া আছে, আধপয়সা করে তার পারানি। খাল, পেরিয়ে যাচ্চি একটা লোক আমার আগে যাচ্ছিল, তার মুখে শুনলুম যে নিকটে কোন গ্রামে মাঘীপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে কি একটা মেলা হয়। সেখানে চলেচে লে। আমি তার সঙ্গ নিলুম। ভাবলুম দেখাই যা কিরকমের মেলা। চলেচি তো চলেইছি, দিব্যি পাড়াগ, বাশঝাড়, লিমুল গাছে রাঙা ফুল ধরেচে, ঘেটুবনে মুকুল দেখা দিয়েচে, সজনে ফুলের মিষ্টি গন্ধ বেরুচ্ছে, দু’একটা কোকিলও ডাকচে। ক্রমে দূর থেকে লোকজনের কলরব শোনা গেল। দু'একটা দোকান বসেচে, অনেক গাড়ী দাড়িয়ে আছে কাছে গিয়ে দেখলুম। একটা নীচু পাচিলে ঘেরা বাগানবাটী মত জায়গায় অনেকগুলি মেয়ের ভিড়-প্রায় চার পাচ শো থেয়ে। পুরুষ তত বেশী নয়, সবাই মহা ব্যস্ত, ইতস্তত: ছুটোছুটি করচে, ছেলেমেয়ে কাদচে, চীৎকার করচে। বাগান বাড়ীতে ঢুকে দেখি ছোট্ট একটা একতাল। বাড়ীর সামনের উঠোনে গাছতলায় প্রায় দু তিনশো মেয়ে ছেলেপুলে নিয়ে শাল পাতা পেতে বসে আছে। শুনলুম তারা খেতে বসেচে কিন্তু আগের দল খিচুড়ী সব খেয়ে সাবাড় করে দিয়েচে । খিচুড়ি চড়েচে, আবার না নামলে এদের খেতে দেওয়া যাবে না। মেয়েরাই সেখানে কত্রী, তারাই সবাইকে দিচ্চে খুচ্চে, আদরআহ্বান করচে, কাউকে বা শাসন করচে। একটা ছোট ঘরের মধ্যে সবাই ভিড় করে ঠাকুর দেখতে ঢুকচে দেখে আমিও ত ঢুকলুম। ছোট্ট কালী প্রতিমা, নাম সুশীলেশ্বরী। এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক বল্লেন, এখানে একজন বৃদ্ধ থাকেন, তিনিই এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেচেন। একটু পরে সেই বৃদ্ধ কও দেখলুম, সবাই তার পায়ের ধূলো নিয়ে প্রণাম করচে। আর তিনি সবাইকে মিষ্টি কথায় বলচেন—না খেয়ে ধেও না যেন বাবা । একটা ইট বাধানো চৌবাচ্চায় খিচুড়ী ঢালা হচ্চে, পাশেই আর একটা চৌবাচ্চায় কপির তরকারী। সকাল সকাল খাবার জন্তে সবাই উমেদারী করচে–অনেক দূর যাবো, মেয়ে ছেলে নিয়ে এসেচি, ভাড়াটে গাড়ী, প্রসাদ দিয়ে দিন । আমাকে একটা ঘরে খাওয়াতে বসালে। আমার অত্যন্ত কৌতুহল হ’ল এখানে কি খাওয়ায় না দেখে যাবে না। তাই একটা মেয়েকে বলতেই সে আমায় ঐ ঘরটায় নিয়ে একথান পাতা করে বসিয়ে দিলে। ঘরের মধ্যে iA eeSAAAAAA SAAAAAS AAGD eu uAAAA SAS A SAS A SAS AA SAASAA AAAS •ry-or