পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৰ্ম্মিমুখর . 44 রাধাকান্ত ছেলেটা আমায় খুব ভালবাসে এ আমি বরাবরই দেখে আসচি, শিবুর চেয়ে,—ভীমের চেয়েও। ওর মধ্যে কপটতা নেই। কলকাতায় বড় একটা আনন্দ পাওয়া যায় না । কিন্তু কাল সন্ধ্য ছ’টার সময় বাসায় ফিরে এসে বারানাতে বসে আছি। হঠাৎ মনে আপনাআপনিই আনন্দ এল । সকলের কথা মনে এল। দেখলুম ভেবে নিরাকার ভাবানকে আমি বুঝিনে, তার ধারণাও করতে পারিনে—God as pure Spirit তাকে বুঝতে পারবে না যতক্ষণ র্তার রূপ না পাচ্ছি। যখন তিনি নির্দিষ্ট রূপ গ্রহণ করে আসবেন, তখন তাকে আমরা ভক্তি করতে পারি। কেন না মানুষ নিরাকার নয়। সে কখনও এমন জীবের কল্পনা করতে পারবে না যার প্রাণ অাছে, মন আছে অথচ আকার নেই। নিরাকার ভগবানের উপাসন কি সোজা ব্যাপার ? কিন্তু এসব কথা অবাস্তর । আমার মনে উঠল একটা অন্ত ভাব। খুকুদের কাছে একটা ১২১৩ বছরের ছোট মেয়ে খেলে বেড়াচ্চে ! মেয়েটি ভারী সুন্দরী, নীলাম্বরী শাড়ী পরনে, বিদ্যুতের মত ছুটে ছুটে খেলে বেড়াচ্চে। মাথার গে।নিতে যেমন ঘন কালে চুল, তেমন পরিপাট করে বাধা । ওকে দেখেই মনে হোল Out of clay ভগবান এমন সুন্দর ছাচে গড়েচেন, এমন আকারে গড়েচেন—আর তিনি নিজে নিরাকার, এ কেমন করে ভাবতে ভাল লাগে ? কি অদ্ভুত রসায়ন যার বলে মাটী থেকে অমন মুদী মেয়েটর মত চেহারা তৈরী হয়েচে । তিনি নিজেও ইচ্ছা করলে সুন্দর মূৰ্ত্তিতে প্রকাশ হতে পারেন নিজে,—যে দেশের লোকে যা ভালবাসে সেই মূৰ্ত্তিতে। যেমন ধরা যাক, আমাদের দেশে বহু শতাব্দী ধরে গলে বনমালা, মাথায় শিখিপুচ্ছ, হাতে বেণু এই শ্ৰীকৃষ্ণের কিশোর মুক্তির প্রচলন, তাও দ্বারকা · বা কুরুক্ষেত্রের শ্ৰীকৃষ্ণকে কেউ চায় না—সে সময় তিনি নিশ্চয়ই প্রৌঢ় হয়েছিলেন যদি সত্যি ঐতিহাসিক ব্যক্তি হয়ে থাকেন—কিন্তু চাইবে সবাই বৃন্দাবনেব সেই কিশোর শ্ৰীকৃষ্ণকে । সুতরাং আমাদের দেশের লোকের রক্তে ঐ শ্ৰীকৃষ্ণরূপী ভগবানের রূপ নৃত্য করচে—আমাদের দেশের হাওয়ায় তার বঁশি বাজে, পাখীরা তার নাম করে—এদেশের মাটীতে তার চরণচিহ্ন 灘 BBB S Bu BuHHHH u u BS g SAS A SAS SSAS