পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদ্ধিমুখ আগে সন্তোষ গ্রামের কথা উপলক্ষে বল্পে-গণেশ মুচির ছোট ছেলেটা মারা গিয়েচে। গুণে খুবই দুঃখিত হলুম, গণেশ বুড়ো হয়েছে, ওই ছেলেটাকে বড় ভালবাসতো। আর একটা খবর বন্ধে, হরিদাদার মেয়ে কনকের বিয়ে হয়ের্চে এক বুড়ে বরের সঙ্গে। আরও দুঃখিত হলুম, কনক মেয়েটা বড় সুন্দর মেয়ে, তার জন্তে তার বাবা ওর চেয়ে ভাল বর জোটাতে পারলে না কেন জানিনে, কারণ তার বাবা গরীব নয়, ইচ্ছে করলে দু’পয়সা খরচ ত করতে পারতো। . . . " এইবার ঘন মেঘ করে বৃষ্টি এল। গাড়ী এখন শালবন ছাড়িয়ে গিডনী স্টেশনে এসে পৌছেচে। বড় ইচ্ছে ছিল বাকুডি যাবে, কিন্তু যাওয়া হোল না । . -. সুবর্ণরেখার ধারে এসে ঘন ছায়াতরা বৈকালে শালবনের মধ্যে একজায়গায় বালুম। ওই দুরে সিদ্ধেশ্বর ডুংরী, যার মাথায় উঠে বনে চিড়ে দই খেয়েছিলুম, যার মাথায় উঠে শিলাখণ্ডে নাম লিখে রেখেছিলুম। চারিধারে খামল বনানী, প্রান্তর, ধানবন, শালগাছ। ওই ওপারে প্রকাও দীর্ঘ পাহাড়শ্রেণী। সামনে খরস্রোতা স্ববর্ণরেখা, তীরে ছোট বড় শিলাখণ্ড, শালচারার জঙ্গল্প সন্ধ্যা নেমে আসচে, পাহাড়শ্রেণী নীরব, বনানী নীরব, মেঘলা, স্বৱৰ্ণরেখার কুলুকুলু শব্দ ছাড়া অন্ত কোনই শব্দ নেই। গত শনিবারে এমন সময় ইছামতীর ধারে বসে আছি । o এই নিস্তন্ধ অপরাহ্লে সুবর্ণরেখার তীরে দাড়িয়ে পেছনের শালধনঃ মাথায় ওধার দিয়ে পূর্বদিকে চেয়ে দেখলুম দূরে এমনি ইছামতী নদী বেয়ে যাচ্চে, বাংলাদেশের এক অখ্যাত পাড়াগায়ের কোল দিয়ে। সেই নদীর ধারে একটা গায়ের ঘাটে এক জায়গায় একটা বনসিক্ষের ঘন ঝোপ নত হয়ে আছে ঘাটের পথের ওপরে। একটা মেয়ের ছবি সেই বনসিমের লতার ঝোপের তলায় চিরকাল অক্ষয় হয়ে আছে। ছবিটা মনে পড়তেই পূৰ্ব্ব মানন্দে ও মাধুর্ঘ্যে এই সন্ধ্যা তরে উঠলো, বাতাস আরও মধুর হোল। .. আমার ঘরে গত জ্যৈষ্ঠমাসে একদল রামছাগল উঠে উপদ্রব করছিল; সমি ছাট থেকে এসে দূর দূর করে ছাগলের দল তাড়িয়ে দিলুম, সেই কথা মনে পড়লো r এই রামছাগলের দল তাড়ানোর সঙ্গে আমার সেদিনের SAAAAAA ASASASA AAA AA SAAAAA S S