পাতা:মহারাষ্ট্র-নৃপেন্দ্রকুমার বসু.djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১ রাষ্ট্রকূট ও কল্যাণের চালুক্য শ প্রসিদ্ধ মন্দিরের অগাধ ধনরত্নদি লুণ্ঠৰ করিয়া, স্বদেশে প্রস্থান করিলেন। উহার পিছু ফিরিবার সঙ্গে সঙ্গেই চালুম্বাধ জার গুজরাট মাথা তুলিয় দাড়াইলন এবং সোমনাথের মন্দির পুনরায় নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিলেন। ইহার পর উমরাজ ভোজদেবকে পরাস্ত করিয়া, ধারানগর অধিকার করিয়াছিলেন ; শেষ বয়সে তিনি একবার সিন্ধুদেশেও অভিযান করেন। কুমার পাল গুজরাতী চালুক্যবংশের শ্রেষ্ঠ নরপতি। উহার প্রভাব দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তরে অনেক দূর পর্যন্ত স্থিত হয়েছিল। ১৯৭৬ খ্ৰীষ্টালে মোহাম্ম মােরী গুজরাট, আক্রম করেন বটে, কিন্তু কুমারপরে শের্ঘ্যে নিত্যু শোচনী পারে , গান ইয়া দিয়া আসেন। তারপর কুয়ারপালের উরাধীকারীর ক্রমশঃ টুর্বল হইয়া পড়িলে, মুসলমানা পুনঃ পুন: গুজরাটের দ্বার আসিয়া হান দিতে লাগিলেন। একবার কুংবুদিন ভাইবেক বহুলৈ লয় গুজরাট আক্রমণ করিলে চালু্যদের মামন্তরাজ ও ডি লঞ্চপ্রসাদ ভূমি বিক্রমে ডাহাদিগকে প্রতিহত্ত করিয়াছিলেন। তাহার পর লবণপ্রসাদের বংশধরগণই প্রায় শত বর্ষ গুঞ্জরাট সিংহাসনের শোভা বৰ্দ্ধন করেন। অবশেষে আলাউদ্দিন খালীর সময়ে গুজরাটের হিন্দুস্বাধীনতা লুপ্ত ইইয়া যায়। লবণুপ্ৰসাদ প্রথমে ব্যাঘ্রপল্লীর জায়গীরদার ছিলেন বলিয়া উহার বশে বাঘেলা বংশ বলিয়া পরিচিত। চালুক্য ও বাঘেল কশের অনেকেই জৈনধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন।