পাতা:মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ.djvu/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|We সভ্যতা পাঠানের সঙ্গে বাঙ্গালায় প্রবেশ করে নাই বলিয়। এই যুগের বাঙ্গালার পুনঃপ্রতিভাপ্রদীপ্তি বাঙ্গালী হিঙ্গুর মানসিক উদ্দীপ্তি— তাহাতে অঙ্ক জেনীয় প্রভাবের পরিচয় পাওয়া ৰায় না। আর ইংরাজ এ দেশে নূতন সাহিত্য ও নুতন সভ্যতা জানিয়াছিলেন ৰমিয়াই ইহার পরবর্তী উদ্দীপ্তিতে বিদেশীয় প্রভাব পরিস্ফুট হইয়াছিল। সে উনৰিংশ শতাব্দীর কথা। সেও এইরূপ কারণে–এইরূপ অবস্থায় ঘটিয়াছিল। তৰে তাহার ক্ষল আরও বহুদূরব্যাপী আরও দীর্ঘকালস্থায়ী। ইহার পর দুই শত বৎসর বাঙ্গালীর মানসিক উদ্দীপ্তির জার কোন পরিচয় পাওয়া যায় নাই । বঙ্কিমচঞ্জ বলিয়াছেন,--“ষে আকবর বাদশাহের আমরা শত মুখে প্রশংসা করিয়া থাকি, তিনিই বাঙ্গালার কাল। • • • • মোগল-পাঠানের মধ্যে আমরা মোগলের অধিক সম্পদ দেখিয়া মুগ্ধ হইয়া মোগলের জয় গাহিয়া থাকি ; কিন্তু মোগলই আমাদের শক্র, পাঠান আমাদের মিত্র। মোগলের অধিকারের পর হইতে ইংরাজের শাসন পর্য্যন্তু একখানি ভাল গ্রন্থ বঙ্গদেশে জন্মে নাই। যে দিন হইতে দিল্লীর মোগলের সাম্রাজ্যভুক্ত হইয়া বাঙ্গালী দুরবস্থা প্রাপ্ত হইল, সেই দিন হইতে বাঙ্গালার ধন আর বাঙ্গালায় রহিল নী, দিল্লীর বা আগ্রার ব্যয়নিৰ্ব্বাহাৰ্থ প্রেরিত হইতে লাগিল।” তিনি আরও বলিয়াছেন,— “বাঙ্গালীর ঐশ্বৰ্য্য দিল্লীর পথে গিয়াছে ; সে পখে বাঙ্গালার খন ইরাণ তুরাণ পৰ্য্যন্ত গিয়াছে। বাঙ্গালার সৌভাগ্য মোগল কর্তৃক বিলুপ্ত হইয়াছে। বাঙ্গালায় হিন্দুর অনেক কীৰ্ত্তির চিন্তু আছে, পাঠানের অনেক কীৰ্ত্তির চিহ্ল পাওয়া যায়, শত বৎসর মাত্রে ইংরেজ অনেক কীৰ্ত্তি সংস্থাপন করিয়াছেন, কিন্তু বাঙ্গালায় মোগলের কোন কীৰ্ত্তি কেহ দেখিয়াছে?” মোগলশাসনে বাঙ্গলার ধন দিল্লীতে যাইত-মুর্শিদকুলী