পাতা:মহারাষ্ট্র-নৃপেন্দ্রকুমার বসু.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रशंद्रों :3 একটু যুদ্ধের চেষ্টা করিয়াই তিন জ্বালাউদ্ধিনের সঙ্গে সন্ধি করিতে চাহিলেন । রামচন্দ্র কোধাগারের সমস্ত ধনরত্ব আলাউদিনের পায়ে ঢলিয়া দিলেন। প্রাসাদের শ্রেষ্ঠ বস্ত্রীলঙ্কার সমুদায়ও এই বিজয়ী মুসলমানের ক্ষুধিত চক্ষুর নাচে রাশাকৃত করিয়৷ দেওয়া হইল। বড় বড় গড়াড়ে করিয়ী এই সকল নজরানা লইয়া আলাউদ্দিন শহর পরিভাগ করিতেছেন, এমন সময় একটা বিশ্রী কাও ঘটয়া বসিল। রামচক্সের বড় ছেলেটি আলাউদিমের সহিত পিতার শান্ধিজনক কথাবার্তার অবসরে চুপিসাড়ে নগরের বাইরে চলয় গিাছিল। একে মহারাষ্ট্র রাজার ছেলে, তীয় ধমনীতে যদুবংশের উগ্ররক্ত প্রবাহ্তি; সে এ অপমান মাথা নীচু করা সহিয়া যাইতে চাহিল না। রাজপুত্র বাহির হইতে তাড়াতাড়ি একদল সৈন্য যোগাড় করিয়া, আলাউদ্দিনকে যুদ্ধে নিমন্ত্ৰণ করিল। - নগরের প্রান্তে এক ভীষণ যুদ্ধ হইল। মারাঠী যুবরাজের পরাক্রমে আলাউদিনের বহু সৈন্ত হঠাৎ হইল। কিন্তু বৃন্ধ পিতা বেচারাঁ ধৰ্ম্মনিষ্ঠ হিন্দু,–সন্ধির সর্ব ভঙ্গ করিয়া নার দুর্গ হইতে পুত্রকে সৈন্য-সাহায্য করিতে তিনি ইতস্তত: করিতে লাগিলেন। শেষে যুবরাজের পতন হইল। আলাউদ্দিন ক্রোধে আত্মহারা হইয়া, বৃদ্ধ রাজার নিকট ভাস্থার উদ্ধত পুত্রের এই বিশ্বাসঘাতকতার কৈফিয়ৎ চাহিলেন। দেবগিরিরাজ অতি কষ্টে আরো কিছু সোনাদান সংগ্ৰহ করিয়া ও বেরারে এলিচপুর