পাতা:মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ.djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/واج তিনি স্বয়ং বিদ্যাকুরাগীর স্বাভাবিক বিনয় সহকারে বলিয়াছেন ঃ“ক্ষুদ্র কীট যেমন পুপসহবাসে দেবশিরে আরোহণ করে, মহাভারতের অনুবাদে সেইরূপ আমি অনেকানেক মহাত্মা সাধুজনের সহবাস লাভে চরিতার্থ হইলাম। ইহাই আমার অসামান্ত সৌভাগ্য ও ইহাই আমার পরম লাভ।” তাহার আরব্ধ কাৰ্য্য কিরূপ সুসম্পন্ন হইয়াছিল, তাহার প্রমাণস্থলে বলা যাইতে পারে, বঙ্কিমচন্দ্র তাহার ‘কৃষ্ণচরিত্র মহাগ্রন্থের বিজ্ঞাপনে লিথিয়াছিলেন—“সৰ্ব্বাপেক্ষা আমার ঋণ মৃত মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহের নিকট গুরুতর। যেখানে মহাভারত হইতে উদ্ধৃত করিবার প্রয়োজন হষ্টয়াছে, আমি তাহার অনুবাদ উদ্ধত করিয়াছি।” যদি কেহ দুইখানিমাত্র পুস্তকে বাঙ্গালায় বুৎপত্তি লাভ করিতে চাহেন, তবে আমরা তাহাকে কালীপ্রসন্ন সিংহের মহাভারত ও মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ’ পাঠ করিতে বলিব। স্বল্পায়ু কালীপ্রসন্ন অল্পকালমধ্যে যত কায সম্পন্ন ও সুসম্পন্ন করিয়াছিলেন তাহ মনে করিলে বুঝা যায়, জীবনের মাপ বৎসরে নহে, কার্থ্যের পরিমাণে । তাহার সময়ে যে সকল কাৰ্য্য তিনি সৎকাৰ্য্য মনে করিতেন, সে সকল কার্য্যেই তাহার সাহায্য সপ্রকাশ ছিল। দীনবন্ধুর নীলদর্পণের’ ইংরাজী অনুবাদ প্রকাশিত করিয়া রেভারেও মিষ্টার লং দণ্ডিত হইলে কালীপ্রসন্ন জাহার দণ্ডের অর্থ দিয়াছিলেন। তিনি যে অর্থ লইয়া আদালতে গিয়াছিলেন, তাহা তাহার বন্ধুরাও জানিতেন না। সমাজ-সংস্কার-কার্য্যে তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সাহায্যার্থ অগ্রসর হইয়াছিলেন। ‘হিন্দু পেট্রিয়টের সম্পাদক হরিশ্চঞ্জের মৃত্যুর পর তিনি তাহার বিপন্ন পরিবারের সাহায্যার্থ ও র্তাহার স্কৃতিরক্ষার জন্য অগ্রণী হইয়াছিলেন ; কিছুদিন হিন্দু পেট্রিয়ট পরিচালিত করিয়া তিনি তাহার