পাতা:মহারাষ্ট্র-নৃপেন্দ্রকুমার বসু.djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बंदी HS রোহিলারা লক্ষ লক্ষ টাকার চোখ দিয়াও মারাঠার নিৰ্ম্মম অত্যাচার হইতে মুক্তি পাইলন। অতঃপর মারাঠারা অযোধ্যায় নবাবের রাজ্য ছারখার দিবার উদ্যোগ কয়িতেছে, এমন সময় মাধব রাওয়ের মৃত্যু-সংবাদ পাইয় তাহারা বিষচিত্তে দেশে ফিরিয়া আসিল । পঞ্চম পেশওক্রা-লাল্লাত্মণ স্নাত্ত ভ্ৰষ্ট পেশশুল্লা-মলুল্লাও লাল্লাহ্মণ ১৭৭২ খৃষ্টাব্দের শেষে মাধবের মৃত্যুর পর ণ্ঠাহার আঠারো বৎসরের ভাই নারায়ণ রাণ্ড পেশওয়ার পদে বসিলেন। কিছু দিনের মধ্যেই ক্ষমতালোঙী রঘুনাথ বা রাখোবাওঁহাকে ষড়যন্ত্র করিয়া হত্যা করাইলেন এবং নিজেকে পেশওয়া বলিয়। রটন করিলেন। কিন্তু নারায়ণ রাওয়ের বিধবা পত্নী এই সময় এক পুত্র প্রসব করায়, অমাত্যগণ এই শিশুকেই প্রকৃত পেশওয়া বলিয়া প্রচার করিলেন। দুইটি দল হইয়া গেল ; একদল নারায়ণের শিশুপুত্ৰ মধুরাওয়ের পক্ষে, অস্তম্বল রাখোবার পক্ষে । কিন্তু রাখোবার দল অত্যন্ত পাংলা হওয়ায়, তিনি ইংরাজদেয় যাহাৰ্য চাহিতে পুরাটের দিকে চলিয়া গেলেন। নানা ক্ষভূনবীশ নামক একজন সহকারী অমাতা, শিশু মধুরাও নারায়ণকে সিংহাসনে বলাইয়া, ঠাঁহার নামে রাজ্য চালাইতে লাগিলেন। নানা ফড়নবীশ ছিলেন ঘোর ইংরাজ-বিদ্বেষী, অত্যন্ত তীক্ষ্ণবুদ্ধিসম্পন্ন ও শিক্ষিত রাজনৈতিক ।