পাতা:মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ.djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ । ఫిసి اما مراجعه میرحی حرمسرای ع বিশেষণে বিশেষিত করা হইত। কিন্তু তাহার বন্ধুপ্রেমের গভীরতা এত অধিক ছিল যে, কালীপ্রসন্ন এই সকল মন্তব্যে কিছুমাত্র বিচলিত হইতেন না। কালীপ্রসন্ন দাতা ছিলেন। এখনও আমাদিগের মধ্যে অনেক দাতা আছেন, কিন্তু অনেকেরই দান নিষ্কাম নহে। কালীপ্রসন্নের দান সর্বত্রই সাত্ত্বিক দান। ১৮৬৬ খ্ৰীষ্টাব্দের দুর্ভিক্ষের সময় তিনি মুক্তহস্তে দান করিয়াছিলেন, এবং ‘মমুন্যের প্রকৃত মহত্ত্ব কোথায় শীর্ষক একট প্রস্তাব মুদ্রিত ও বিতরিত করিয়া দেশবাসিগণকে দুর্ভিক্ষদমনে সাহায্য করিতে অনুরোধ করিয়াছিলেন বলিয়া শুনা যায়। শ্ৰীযুক্ত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি প্রবন্ধে লিখিয়াছেন – “একবার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে খুব দুর্ভিক্ষ হয়। সেই দুর্ভিক্ষ উপলক্ষে আদি ব্রাহ্মসমাজে একটা সভা হয় । সেই সভায় পিতৃদেব বেদী হইতে যেরূপ মৰ্ম্মস্পর্শী বস্তৃতা করেন তাহা আমি কখন ভুলিব না। তাহার বক্তৃতা শুনিয়া লোকেরা এমনি মুগ্ধ ও উত্তেজিত হইয়াছিল যে, যাহার কাছে যাহা কিছু ছিল, তৎক্ষণাৎ সে দুর্ভিক্ষের সাহায্যাৰ্থ দান করিল। কেহ আঙ্গুল হইতে আংটা খুলিয়া দিল, কেহ ঘড়ি ও ঘড়ির চেন খুলিয়া দিল। আমার স্মরণ হয়, vকালীপ্রসন্ন সিংহ তাহার বহুমূল্য উত্তরীয় বস্ত্র ( বোধ হয় শাল) তৎক্ষণাৎ খুলিয়া দান করিলেন।”ঞ্জ

  • প্ৰবাণী ১৩১৮ মায—“পিতৃদেব সম্বন্ধে আমার জীবনস্মৃতি’ নামক প্রবন্ধ जठेवा ।