পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যয় । ذه لا চৈত্র মাসের সংক্রান্তি ও শারদীয় চতুর্দশীতে অতি ধুমধামের সহিত দেবীর পূজা হয়। সৰ্ব্বমঙ্গলার প্রস্তরময়ী মূৰ্ত্তি সৰ্ব্বদ তাম্রাবরণে মণ্ডিত থাকে, সুতরাং সাধারণের পক্ষে সহসা তাহার প্রকৃত মূৰ্ত্তি দেখিবার উপায় নাই। সৰ্ব্বমঙ্গলার মন্দিরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে সোমেশ্বর নামক শিবের মন্দির অবস্থিত । সোমেশ্বর ও সোম ঘোষের প্রতিষ্ঠিত বলিয়া প্রসিদ্ধ। শিবের সোমেশ্বর নামের দ্বারাও তাহার অনুমান হইয়া থাকে। মন্দিরটা অষ্টভূজাকৃতি, প্রায় ৫০ হস্ত উচ্চ হইবে। অগ্রভাগের কতংশ ভাঙ্গিয়া গিয়াছে । মন্দিরের ভিত্তিতে অনেক দেব দেবীর মূৰ্ত্তি অঙ্কিত দেখা যায়। উত্তর দিকে একটা সুড়ঙ্গ আছে। মন্দিরটা দেখিয়া বোধ হয়, তাহ সোমেশ্বরস্থাপনের অনেক পরে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, অথবা বহুবার সংস্কৃত হইয়া বর্তমান আকার ধারণ করিয়াছে। সৰ্ব্বমঙ্গলার ন্যায় সোমেশ্বর শিবের সেবার সুবন্দোবস্ত নাই। প্রতি বৎসর চৈত্র সংক্রাত্তিতে গাজনোপলক্ষে সোমেশ্বর শিবের অনেক ধুমধাম হইয়া থাকে । , পশ্চিম মুর্শিদাবাদের যে কয়েকটা স্থানের বিষয় উল্লিখিত হইয়াছে, তদ্ভিন্ন অন্যান্য অনেক স্থানে হিন্দু ও - বৌদ্ধকালের চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। রাঙ্গা- *:::: মাচী ও মহীপালের ন্যায় কোন কোন স্থানে ইষ্টক ":", ও মৃৎপাত্রচুর্ণ দৃষ্ট হওয়ায়, সেই সেই স্থানকে প্রাচীন নগরাদির ধ্বংসাবশেষ বলিয়া মনে হয়। আজিমগঞ্জ রেলওয়েষ্টেশনের নিকটস্থ কুহমখোলানামক স্থান একটা প্রাচীন নগরের ভগ্নাবশেষ বলিয়া প্রতীত হইয়া থাকে । তথার কুম্বমেশ্বরনামক রাজা বাস করিতেন বলিয়া প্রবাদ প্রচলিত ;