পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । ১৬৭ পূৰ্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে যে, গয়সাবাদ পাঠানরাজত্বকাল হইতে একটা প্রসিদ্ধ নগররূপে পরিচিত হইয়া গানৰে আসিতেছিল, কিন্তু বর্তমান সময়ে তাহার পুৰ্ব্ব বর্তমান সমৃদ্ধির কোন নিদর্শনই পরিলক্ষিত হয় না। শ' ' বর্তমান সময়ে তাহা একটা ক্ষুদ্র গ্রাম ব্যতীত আর কিছুই নহে । তবে তাহাকে একটা প্রসিদ্ধ নগরের ধ্বংসাবশেষ বলিয়া বুঝিতে পারা যায়। ইহার রাজপথে ও অন্যান্ত স্থানে অদ্যাপি অনেক প্রস্তরখণ্ড প্রোথিত ও পতিত আছে । ঐ সমস্ত প্রস্তরখণ্ড যে মহীপালনগরের ধ্বংসাবশেষ হইতে আনীত, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। স্থানে স্থানে ইষ্টক ও মৃৎপাত্রচুর্ণও দৃষ্ট হইয়া থাকে। গয়সীবাদে একটা দরগা আছে। সাধারণ লোকে তাহাকে স্কুলতান গয়স উদ্দীনের সমাধি বলিয়া থাকে। প্রথম গয়া উদ্দীন সম্রাট আলতমাসের পুত্র নাসির উদ্দীনের সহিত যুদ্ধে গৌড়ের নিকট নিহত হন, সুতরাং গয়সাবাদে তাহার সমাধি নিৰ্ম্মিত হওয়ার সম্ভাবনা নাই। দ্বিতীয় গয়স উদ্দীনও গৌড়ে প্রাণত্যাগ করেন। অনুসন্ধানের দ্বারা অবগত হওয়া যায় যে, উক্ত দরগা একটা ফকীরের সমাধি। দরগা পূৰ্ব্ব-পশ্চিমে দীর্ঘ, তাহার প্রবেশদ্বার দক্ষিণমুখে অবস্থিত। দরগার অভ্যন্তরে sট সমাধি আছে, তাহদের মধ্যে একটা অপেক্ষাকৃত উচ্চ । মেট সম্ভবতঃ উক্ত ফকীরের সমাধিই হইবে। র্তাহার পাশ্বে ক্রম ক্রমে আরও তিন জন সমাহিত হইয়াছেন। দরগাটা ইষ্টকনিৰ্ম্মিত, কিন্তু তাহার সোপানাবলী প্রস্তরখণ্ডদ্বারা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। উক্ত প্রস্তরখণ্ডগুলি মহীপালের ভগ্নাবশেষ হইতে মানীত । কাপ্তেন লেয়ার্ড এই দরগার নিকট হইতে দুইখানি