পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৫৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায়। 83న, নেক্টাখালির বাটতে লইয়া যান। ইহার পর কিরূপে পিতাপুত্রের বিবাদের স্বচনা হইয়া, পরে তাহার মীমাংসা হয় ও সুজা উদ্দীন মুর্শিদাবাদের সিংহাসনে উপবিষ্ট হন, পর অধ্যায়ে তাহ বর্ণিত হইবে। আমরা মুর্শিদকুলী খাঁর আনুপূৰ্ব্বিক বিবরণ প্রদান করিলাম। এক্ষণে র্তাহার চরিত্রসম্বন্ধে কিঞ্চিৎ আলোচনা কুলী ৰাৱ করিয়া অধ্যায়ের উপসংহার করা যাইতেছে। চরিত্র । বাস্তবিক মুর্শিদকুলীর ন্যায় কাৰ্য্যদক্ষ, তীক্ষবুদ্ধি, ন্যায়পর ও চরিত্রবান নবাবের সংখ্যা যে বাঙ্গলার সুবেদারদিগের মধ্যে অল্প, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই, এবং তাহার হ্যায় স্বধৰ্ম্মপরায়ণ ব্যক্তিও অল্পই দেখিতে পাওয়া যায় । সৰ্ব্বাপেক্ষ তাহার চরিত্রবলই শ্রেষ্ঠ বলিয়া বোধ হয় । কারণ, মুসলমান বাদসাহনবাবগণের অনেকে নানা গুণে ভূষিত হইলেও তাহাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই বিলাসস্রোতে অঙ্গ ঢালিয়া চরিত্রহীন হইয় পড়িতেন । কুলী খাঁ বিলাসবিভ্রমকে ঘৃণার চক্ষে নিরীক্ষণ করিয়া আপনার একমাত্র পত্নীর প্রতিই অনুরক্ত ছিলেন। আর র্তাহার অসীম কাৰ্য্যদক্ষতার ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় তাহার বিবরণের ছত্ৰে ছত্রে দৃষ্ট হইবে। দ্যায়ের জন্য তিনি আপনার একমাত্র পুত্রের প্রাণদণ্ডের আদেশ প্রদানেও কুষ্ঠিত হন নাই। কিন্তু প্রত্যেক মনুষ্যের দ্যায় তাহার চরিত্র একেবারে দোষশূন্ত ছিল না। আমরা এক্ষণে সে সমস্ত বিষয়ের উল্লেখ না করিয়া, প্রথমতঃ মুসলমান ঐতিহাসিকগণের বর্ণিত কুলী খাঁর চরিত্রের বিবরণ প্রদান করিয় তাহার সমালোচনাকালে আমাদের সমস্ত মন্তব্য প্রকাশ করিব ।