পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৬২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায় । 68) যায়। উক্ত জাহাজস্থিত পণ্যদ্রব্যের অধিকাংশ কোন প্রকারে রক্ষা পাইয়াছিল। তাহার কৰ্ম্মচারী ও নাবিকগণ বাকিবাজারে আশ্রয় লইয়া বাসোপযোগী গৃহাদি নিৰ্ম্মাণ করে, কিন্তু ঐ সকল গৃহ স্থায়ীরূপে নির্মিত হয় নাই। ইহার পর দুই বৎসরের মধ্যে তিন খানি বৃহৎ বৃহৎ বাণিজ্য-জাহাজ বাঙ্গলায় আসিয়া উপস্থিত হয়, এবং অষ্টেণ্ড কোম্পানীর বাণিজ্যও প্রসারিত হইতে থাকে। অন্যান্য ইউরোপীয় অপেক্ষ তাহারা অল্প মূল্যে দ্রব্যাদি বিক্রয় করিতে আরম্ভ করায় অল্প দিনের মধ্যে র্তাহীদের কুঠার প্রশংসা ব্যপ্ত হয়। * সৰ্ব্ব প্রথমে উক্ত কুঠার অধ্যক্ষগণ বংশ ও চাটাই নিৰ্ম্মিত গৃহে বাস করিতেন, কিন্তু পরিশেষে তাহার ইষ্টকনিৰ্ম্মিত গৃহে অবস্থান ও আপনাদিগের কুঠর চতুর্দিক প্রাচীরবেষ্টিত করিয়া প্রত্যেক কোণে বুরুজ নিৰ্ম্মাণ করেন। প্রাচীরের চতুর্দিকে গভীর পরিখা খনিত হইয়া ভাগীরথীর সহিত যুক্ত হয়। উক্ত পরিখার গভীরতা এত অধিক ছিল যে, এক মাস্তুলবিশিষ্ট পোত, পণ্যদ্রব্যসহ অনায়াসে প্রবেশ করিতে পারিত। এই প্রকারে অষ্টেণ্ড কোম্পানী ক্রমে ক্রমে ঐশ্বৰ্য্যশালী হইয়া দিন দিন উন্নতির পথে অগ্রসর হইতে থাকে, কিন্তু ১৭২৭ খৃষ্টাব্দে তিনটী ইউরোপীয় জাতির তীব্র প্রতিবাদে জৰ্ম্মান সম্রাট অষ্টেণ্ড কোম্পানীর নিকট হইতে আপন অনুমতি-পত্র প্রত্যাহার করিতে বাধ্য হন, এবং এই রূপ আদেশ প্রদান করেন যে,সাত বৎসরের জন্য অষ্ট্রীয় নেদারলও বাসী কোন প্রজার সহিত পূৰ্ব্ব ভারতীয় কাহারও সংস্রব

  • তারিখ বাঙ্গলায় লিখিত আছে যে, তাহার বনাত, মখমল প্রভূতি চটের দরে বিক্রয় করিতেন ।