পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (প্রথম সম্ভার).djvu/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ চন্দ্রনাথ ভাবিল, ইহা পরিহাসের মত শুনাইতেছে না। ভাল করিয়া চাহিয়া দেখিল, সরযুর মুখ আবার বিবর্ণ হইয়াছে। সভয়ে কহিল, সরযু, কোন শক্ত রোগ জন্মায়নি ত ? সরষ্ণু মান-হাসিয়া কহিল, তা বলতে পারিনে। বুকের কাছে মাঝে মাঝে একটা ব্যথা টের পাই । চন্দ্রনাথ বলিল, আর ঐ মূৰ্ছাটা ? সরযু হাসিল, ওটা কিছুই নয়। - চন্দ্রনাথ মনে মনে বলিল, যা হইবার হইয়াছে, এখন সৰ্ব্বস্বাস্ত হইয়াও তোমাকে অীরোগ্য করিব । 豐 সরযু কহিল, তোমার কাছে একটি ভিক্ষা আছে, দেবে ত ? काझे कि ? নিজের কিছু চাই না। তবে আমার যখন মৃত্যু-সংবাদ পাবে, তখন—এই সময় সে খোকাকে চন্দ্রনাথের পায়ের কাছে বসাইয়া দিয়া বলিল, তখন একবার এখানে এসে খোকাকে নিয়ে যেয়ো— চন্দ্রনাথ বিপুল আবেগে বিশ্বেশ্বরকে বক্ষে তুলিয়া লইয়া মুখচুম্বন করিল। এই সময় বাহির হইতে কৈলাসচন্দ্র ডাকিলেন, দাদা, বিণ্ড । বিশ্বেশ্বর পিতার ক্রোড় হইতে ছটফট করিয়া নামিয়া পড়িল—দাদু যাই । সরযু উঠিয়া দাড়াইল,—ঐ এসেছেন। কিছুক্ষণ পরে কৈলাসচন্দ্র বিশ্বেশ্বরকে ক্রোড়ে লইয়া প্রাঙ্গণে আসিয়া দাড়াইলেন, চন্দ্রনাথও বাহিরে আসিল । কৈলাসচন্দ্র ইতিপূৰ্ব্বে চন্দ্রনাথকে কখনও দেখেন নাই—দেখিলেও চিনতেন না, চাহিয়া রহিলেন। খোকা পরিচয় করিয়া দিল । হাত বাড়াইয়া বলিল, ওত বাবা । চন্দ্রনাথ প্রণাম করিয়া দাড়াইল। কৈলাসচন্দ্র আশীৰ্ব্বাদ করিয়া বলিলেন, এস বাবা, এস । So A