পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s + গল্প-গ্রন্থাবলী হইয়া গিয়ছিল—এবার তাহা কাযে পরিণত হইল। নেশটি ক্রমে জমিয়া উঠিতে লাগিল । তখন রামলোচন অত্যন্ত উদার হইয়া পড়িলেন। হারাধনের কন্টের কথা শুনিয়া তাঁহার মনটি তৎপ্রতি অত্যন্ত স্নেহসিক্ত হইয়া উঠিল। এমন কি, প্রস্তাব করিলেন, হারাধন যতদিন ইচ্ছা এখানে অতিথিস্বরপ অবস্থান করিতে পারে। রাত্রি নয়টার সময় বেজা আসিয়া সংবাদ দিল, আহার প্রস্তুত। হারাধনকে লইয়া রামলোচন অন্তঃপর মধ্যে প্রবেশ করিলেন। তাঁহার শয়নঘরের বারান্দাতেই আহারের পথান হইয়াছিল। হারাধন বসিয়া মুক্ত বারপথে ঘরের ভিতরে দটি করিয়া বলিল, “এই ঘরেই আপনার শয়ন হয় বুঝি ?” i - রামলোচন ললিলেন, “হ্যাঁ, এই ঘরখানিতে আমি শই। এই পাশাপাশি ঘর দরখানি আমার দু’ভাইয়ের ছিল আর কি। ভাই ত আমার দাগা দিয়ে চলেই গেলেন –বলিয়া, গাঁজার প্রভাবে তাঁহার পরাতন ভ্রাতৃশোক নতন হইয়া উঠিল। ভাত খাইতে খাইতে, কোঁচার খাটে তিনি চক্ষ মছিলেন।

  • : ఇf శాir-గా శా উদ্ধনমিখে একটি দীঘনিশ্বাস o |

ছোট বধ রাধারাণীই ভাত বাড়িয়া দিয়া গিয়াছিল। এই সময় সে ভাসরের দধের বাটি লইয়া আসিয়াছিল—ভাসর ও আগন্তুকের এই কথোপকথন শুনিয়া, ঘোমটা ঈষৎ ফাঁক করিয়া আগন্তুকের পানে চাহিল। হারাধনের দটিও ঠিক এই সময় অবগঠেনবতীর পানে ফিরিল। উভয়ে চোখোচোখি হইবামাত্র রাধারাণীর দটি রোষ ও বিরক্তি জ্ঞাপন করিল। হারাধন তখনই মাথাটি নিচা করিয়া, সন্তপ্তস্বরে বলিল, “হরি হে, তোমারই ইচ্ছা!” ৷ চার । রামলোচনের সনেজরে পীড়য়া গিয়া, হারাধন পরম আরামে তথায় অধিষ্ঠান করিল। প্রাতে উঠিয়াই বাবর সঙ্গে নদীতে স্নান করিতে যায়; সনানান্তে কিঞ্চিৎ জলযোগ করিয়া বাবরে সহিত অাড়তে গিয়া বসে। রামলোচন দেখিলেন, হিসাব-পত্র লিখিতে সে সুদক্ষ; গত বৎসরের সালতামামি হিসাব এখনও করা হয় নাই—সেই হিসাব প্রস্তুত করিবার ভার তিনি হারাধনের প্রতি অপণ করিয়া, নিজে হুক হাত করিয়া মনের সুখে ধুমপান করিতে লাগিলেন। এইরুপে দশ বার দিন কাটিলে, রমেলোচনের সত্ৰী তারাসন্দেরী একটি পত্র প্রসব করিলেন। পাবে তাঁহার দুইটি সন্তান জন্মিয়াছিল ; সতিকাগাহ হইতেই নানা রোগে ভুগিয়া তাহারা জননীর কোল শনা করিয়া চলিয়া যায়। তাই রামলোচন এবার বিশেষ সাবধানতা অবলম্ববন করিয়াছেন। থানীয় হাসপাতালের ডাক্তারবাব ও পাসকরা ধাত্রী প্রতিদিন আসিয়া সকল বিষয় তদারক করিয়া, উপদেশ ও ঔষধের ব্যবস্থা প্রদান করিতেছেন। এই গোলমালে রামলোচন আর নিয়মিতভাবে দোকানে যাইতে পারেন না। মাঝে মাঝে দই একঘণ্টা গিয়া গদীতে বসেন; তার পর হারাধনের প্রতি দোকানের ভার দিয়া চলিয়া আসেন। সন্ধ্যার পর্বে গিয়া ক্ৰয়বিক্লয়ের হিসাব পরীক্ষ করেন, তহবিল কঝিয়া লন; গোপনে কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করিয়াও দেখিয়াছেন, হারাধনের হিসাবে কোথাও একটি পয়সার গরমিল পান নাই। হারাধনের প্রতি বাবর এই নিভার ও বিশ্বাস দেখিয়া, কমচারীরা কিন্তু মনে মনে চটিতে লাগিল। চাল নাই চলা নাই কোথাকার কে তার ঠিকানা নাই, তাহ র প্রতি এতটা বিশ্ববাস-থাপন করা যে বাবর পক্ষে নিতান্তই মঢ়েতা হইতেছে, ইহাই তাহারা অন্তরালে