পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᏋ গল্প-গ্রন্থাবলী আজ রাত্রে ভাতটা আর খাব না, খানকতক পরোটা ভেজে রেখে বেও। তরকারী ফরকারী বেশী কিছু দরকার নেই খানকতক আলভাজা হলেই চলবে।”—বলিয়া সে মখহাত ধইতে চলিরা গেল। (মাঝে মাঝে—বিশেষ, বেতন পাইবার পর দুই চারি দিন বিমলের এরপে গা ম্যাজ ম্যাজ করিয়া থাকে—এবং রায়ে ভাতের পরিবত্তে লাচি বা পরোটা ফরমাস করে।) মখ হাত ধাইয়া আসিয়া বিমল এক পেয়ালা চা পান করিয়া, পাণ মুখে দিয়া ঘোষেদের বৈঠকখানায় পাশা খেলিতে গেল—প্রত্যহই এইরুপ যায়। রাত্রি ৮টা বাজিতেই বামন মা পরোটা ও আলভাজা বিমলের শয়নঘরে ঢাকিয়া রাখিয়া বাড়ী চলিয়া,গেলেন। অখণ্টিা পরে বিমল বাসায় আসিয়া রামচরণ ভৃত্যকে “জজ্ঞাসা করিল, “করিমন্দি এসেছিল ?” রামচরণ বলিল, “আঞ্জে হ্যাঁ । ঐ রেখে গেছে।”—বিমল দেখিল একটি এনামেলের বড় বাটীতে তাহার আকাঙ্গিক্ষত ফাউল কারি ঢাকা রহিয়াছে। বিমল তখন ভূত্যকে রাত্রের মত বিদায় দিয়া, সদর দরজা বন্ধ করিয়া, শয়নঘরে আসিয়া প্রবেশ করিল। দেওয়ালে একটি ল্যাম্প জনলিতেছিল—তাহার আলো বাড়াইয়া দিয়া যথাস্থান হইতে বোতল গলাস এবং ‘কাক ইস্কুর বাহির করিয়া, শয্যাপাশবপথ (সরকারী) টেবিলের উপর রাখিল ; জন্তা মোজা ত্যাগ করিয়া, বিছানার ধারে বসিয়া বোতলটি খুলিয়া ফেলিল । এক গলাস পান করিয়া, বেহালাটি পাড়িয়া তাহাতে ছড়ি দিতে লাগিল । একটা গৎ মাজাইয়া আর এক পলাস পান করিয়া, বেহালা যথাস্থানে রাখিয়া ভাবিল, সেই মজার চিঠিখানা আর একবার পড়িতে হইবে। দেওয়াল আলমারি খলিয়া, চিঠিগুলি বাহির করিয়া, চার্যশীলার খানি বাছিয়া লইয়া বলিল—“এঃ জুড়ে ফেলেছি ষে দেখছি। কুছ পরোয়া নেই—ফের খুলবো!”—বলিয়া টলিতে টলিতে বিছানায় আসিয়া বসিল। চিঠিখানিক স মনে ধরিয়া বলিল, “কি চাঁদ, জল খাবে ? না ব্ল্যাডি ক্ল’—বলিয়া গেলাসে খানিক ব্র্যাণ্ডি ঢালিয়া, আঙলে একটা লইয়া চিঠির মুখ ভিজাইয়া বলিল, “যা বেটা, তোর চিঠিজন্ম সাথক হয়ে গেল।” পরে ব্র্যাডিটকুে পান করিতে করিতে, চিঠিখানি খুলিতে চেন্টা করিতেই উহর মুখ ছিড়িয়া গেল। চিঠিখানি উদ্ধেৰ তুলিয়া ধরিয়া বলিল, “ছিড়ে rগলি ? কাল বিলি হবি কি করে রে শালা ?”—বলিয়া খাম হইতে চিঠি বাহির করিয়া, খামখানা ছিড়িয়া মেঝের উপর ফেলিয়া বলিল “জাহন্নামে যাও !” চিঠি খুলিয়া পড়িল --“আমার হৃদয়েশবরী !” চিঠি রাখিয়া নিজ বক্ষে হাত দিয়া, চক্ষ; মদিয়া অভিনেতার ভঙ্গিতে বলিতে লাগিল—“হৃদয়েশবরী –হৃদয় জলে গেল,—পড়ে গেল,—খাক হয়ে গেল। আর একটা খাই”—বলিয়া চক্ষ খালিয়া, গেলাসের বাকীট কু পান করিয়া, পরখানি কুড়াইয়া লইয়া আবার পড়িতে আরম্ভ করিল। কিন্তু জিহৰা তখন তাহার জড়াইয়া আসিয়াছে। তা ছাড়া, নেশা হইলে, সে আর ‘স’ উচ্চারণ করিতে পারিত না—স" পথানে *ছ বলিত। একটি একটি কথাষ জোর দিয়া পড়িতে লাগিল— “কিন্তু—ছনিবারে,—যাওয়ার ছবিধা করিতে—পারলাম না। পরদিন—পরদিন—অর্থাৎ রবিবারে—আমি গিচ্চয় যাইব তাহাতে কোন ছন্দেহ নাই। তুমি—পবে পরামছ' মত— ఈ తా-శా గా జా కి కాణా కాగా కాగా ইবে।” চিঠি রাখিয়া, আর কিঞ্চিৎ পান করিয়া, গভীর মখে কি ভাবিতে লাগিল। অন্ধমাদিত নেরে, মাথাটি নাড়িতে নাড়িতে বলিতে লাগিল—”এ চিঠি ত তুমি পাবে না মণি ! খামখানাই যে ছিড়ে ফেলেছি। আগেকার চিঠি মত—তুমি ছনিবারে রাত বারটায় এছে ছিবমন্দিরের কাছে দাঁড়াবে ত ? তার আছাপথ চেয়ে—দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে—অবছেছে ক্লান্ত হয়ে