পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাবকের প্রেম කුළු ত্ৰহেন্দ্রের প্রতি সময়োচিত শিষ্টাচার প্রদর্শন করিলেন। প্রায় দশ মিনিটকাল উভয় সাহেবে বসিয়া, মহেন্দের সহিত নানা কথোপকথন করিলেন, তাহার পর উভয় সাহেব উঠিয়া গিয়া পরামর্শ করিলেন। পরে কর্ণেল সাহেব মহেন্দুকে আসিয়া বলিলেন, “বাবা, তুমি আজ আমাদেব যে উপকার করিয়াছ, তাহা আমাদের আজীবন সমরণ থাকিবে। তোমার উপস্থিত বৃদ্ধি ও সাহস অত্যন্ত প্রশংসাহ । আমাদের কৃতজ্ঞতার চিহ্নস্বরপে তোমাকে যদি আমরা সামান্য কিছু উপহার দিই, তাহাতে তুমি বিরক্ত হইবে কি ?”—বলিয়া তিনি পকেট হইতে একখানি একশো টাকার নোট বাহির করিয়া টেবিলের উপর রাখিলেন। BBB DDDB BB BBBD DBB DDBBS BBDD DD DDD DDDDS SDD কোনও উপহার বা পরস্কারের আশায় ত এ কাষ" করি নাই। প্রতে্রু ভদ্রলোকের বাহা কত্তব্য, তাহাই আমি করিয়াছি মাত্র। টাকা না লইবার অপরাধ আপনারা গ্রহণ না করেন, ইহাই আমার প্রাথ-না।“ সাহেব দুইজন আবার কি বলাবলি করিলেন। তাহার পর মেজর সাহেব বলিলেন, “তুমি চাকরীর সন্ধানে কলিকাতায় আসিয়াছ বলিলে; কোনও সখানে কোন আশা পাইয়াছ कि ?" “না সাহেব, এ পৰ্য্যন্ত পাই নাই।” “আমাদের আফিসে একটি চাকরি খালি আছে। বেতন একশ টাকা, সেটি পাইলে তুমি খসেী হও ?” “হ্যাঁ সাহেব—সেটি পাইলে নিজেকে আমি সৌভাগ্যবান মনে করিব।” “বেশ ! কাল তুমি একখানি দরখাস্ত লিখিয়া আনিও এবং বেলা একটার সময় আমার সহিত আসিয়া সাক্ষাৎ করিও ।” নিশ্চয় আসিব। আমার ধন্যবাদ গ্রহণ করন।” “কিছুই না—কিছুই না, তবে ঐ কথা ঠিক রহিল। আমরা এখন ক্লাবে চলিলাম। t সন্ত্রীর প্রতি) এলসি, বাবকে একট চা খাওয়াইবে না ?” বিবি গ্রীণ বলিলেন, “চা আনিতে হঝুেম দিয়াছি। তোমরা চা খাইয়া যাইবে না ?” মেজর সাহেব বলিলেন, “লা প্রিযতমে, আজ বিলম্বব হইয়া গিয়াছে—আমরা ক্লাবে গিয়াই যাহা হয় পান করিব।”—বলিয়া তিনি কর্ণেল সাহেবের সঙ্গে বাহির হইয়া গেলেন । “যাহা হয় কথাটির অর্থ বুঝিয়া, বিবি গ্রীণ আপন মনে একটা হাসিলেন। চায়ের অপেক্ষায় মহেন্দুকে নিকটে বসাইষা তাহার সহিত গলপ করিতে লাগিলেন। u orts u পরদিন দরখাস্ত লইয়া কেল্লার অফিসে গিয়া মেজর সাহেবের সঙ্গে মহেন্দ্র সাক্ষাৎ করিল। মেজর সাহেব যথাস্থানে লইয়া গিয়া, সঙ্গে সঙ্গে দরখাস্ত মঞ্জর করাইয়া, নিয়োগপর সহি করাইয়া দিলেন। আগামী কল্য হইতেই তাহাকে কাব্য করিতে হইবে। বাসায় ফিরিবার পথে, একটা পোট আফিসে দাঁড়াইযা, মহেন্দু পোটকাডে জননীকে এই শভে সংবাদ জ্ঞাপন করিল। 骨 মহেন্দ্রের আশ্রয়দাতা আড়তদার সেই কায়পৰ্থবাবটি এ সংবাদে অত্যন্ত আহমাদিত হইলেন। মহেন্দ্র সঙ্কুচিত ভাবে তাঁহাকে বলিল, “গোটাকতক টাকা পেলে আঁফিস যাবার জন্যে কিছ কাপড়-চোপড় তৈরী করাতাম। মাইনে পেয়ে শোধ করতাম।” কয়লথবাবটি তৎক্ষণাৎ তাহার আবশ্যকমত টাকা বাহির করিয়া দিলেন। পরদিন আফিস হইতে ফিরিবার পথে, ধাম তলার একটা ভাল দজির দোকানে মহেন্দু দুইটা ইংরাজী সন্ট ফরমাস দিয়া আসিল।