পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ববেক্ষের প্রেম *@ সাহেব বলিলেন, “না। সেটাকে বিক্রয় করিয়া ফেলিয়াছি। এটা নতম কিনিয়াছি, মেক্স-লি স্ততে দি শব্দ कम्निम्ना ठिन छँध्न झाँकाइँझा দলেন । পবদিন আফিসের পর মহেন্দু সোজা মেজর সাহেবের কুঠীতে আসিয়া উপস্থিত झईल । वाब्रान्माग्न यिाय शौन माँप्लाईझा छिट्लन; उिनि शनिग्ना बलिटलन, “आभान्न স্বামীকে বাঙ্গলা পড়াইতে আসিয়াছেন বুঝি ? কিন্তু আপনার ছাত্র ত পলাতক ৷” 'उनि एकाधाम्न छाम्नान्दछन ?” “ভয় নাই। একটু পরেই আসিবেন। তিনি আমায় বলিয়া গিয়াছেন, ততক্ষণ আপনাকে চা দিতে। ভিতরে আসন; চা আমাদের প্রস্তুত।”—বলিয়া তিনি অগ্রসর হইলেন। চা ঢালিয়া, রটী-মাখনের প্লেটটা মহেন্দ্রের দিকে সরাইয়া দিয়া, টেবিলের উপরে রক্ষিত বর্ণপরিচয়ের প্রথম ভাগ বইখানি তিনি কৌতুহলবশতঃ তুলিয়া লইলেন। সেখানি খলিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোনখান থেকে আরম্ভ করিতে হয় ?” অ-আর পাতা দেখাইয়া মহেন্দ্র বলিল, “এইখান থেকে। এইগুলি স্বরবণ”— ভাওয়েলস,—আর, এই পাতায় এইগুলি ব্যঞ্জনবর্ণ—কনসোনেন্টস।” চা-পান করিতে করিতে মেমসাহেব অক্ষরগুলির দিকে চাহিতে লাগিলেন। “এগুলির চেহারা ত ভারি অচ্ছ্বত ! দেখিলে বাস্তবিক হাসি পায়। কোনটির কি নাম ?" মহেন্দু বলিল, “এইটি অ'।” এক মহত্তে থামন ৷”—বলিয়া মেমসাহেব তাঁহার পকেট হইতে ক্ষুদ্র একটি সোণার পেন্সিল বাহির করিয়া অক্ষরতলে লিখিলেন—“Awe.” afi; pnی۔ 姆 "יוזס י মেমসাহেব তাহার তলায় লিখিলেন—“Ah !”—এইরপে স্বরবণের প্রত্যেক অক্ষরের নিম্নে সেগুলির উচ্চারণ লিখিযা লইলেন। অলপক্ষণ পরেই মেজর গ্রীণ আসিয়া উপস্থিত হইলেন। মেমসাহেব হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “ব্যাড বয়। মন্সেীজী কতক্ষণ আসিয়া তোমার অপেক্ষায় বসিয়া আছেন। যাহা হউক তুমি যে সময় নন্ট করিলে, তাহাতে কোনও ক্ষতি হইবে না। তোমার কাষ্য অনেকটা আমি অগ্রসর করিয়া রাখিয়াছি।”—বলিয়া তিনি অক্ষরগুলি দেখাইয়া উচ্চারণও পড়িতে লাগিলেন। 彎 মেজর সাহেবের চা-পান শেষ হইতে প্রায় ছয়টা বাজিল। পকেট হইতে ঘড়ী খালিয়া দেখিয়া পল্লীর প্রতি বলিলেন, “আজ আর আমার পড়িবার সময় কই ? অক্ষরগুলির উচ্চারণ তুমি ত লিখিয়াই রাখিয়াছ, কাল সকালে ওগলা আমি অভ্যাস করিব এখন। চল, এবার হাওয়া খাইতে যাওয়া যাক। মোহেন, কাল আসিয়া তুমি দেখিবে, ঐ সমস্ত অক্ষর আমার চেনা হইয়া গিয়াছে, আমি নতেন পাঠ লইব ।”—বলিয়া সহাস্যে মহেন্দ্রকে বিদায় দিয়া তিনি “সমগ্রীক শকটারোহণে” হাওয়া খাইতে বাহির হইলেন। পরদিন মহেন্দ্র সাহেবের কুঠিতে গিয়া দেখিল, সাহেব আছেন। তিনি মহেন্দুকে বসাইয়া বলিলেন, “ওহে দেখ, তোমাদের বাঙ্গলা অক্ষরগলা ড্যাম ডিফিকট উচ্চারণ অতি বদ। আজ আমি সেগলা অভ্যাস করিবার বেশী সময় পাই নাই, কাল করিব; করিয়া নতেন পাঠ লইব। আজ তুমি এক পেয়ালা চা খাইয়া যাও।” চা-পানের পর মেমসাহেব প্রথমভাগখানি আনিয়া স্বামীর প্রতি চাহিয়া বলিলেন, "এই ব্যঞ্জনবর্ণ গলার উচ্চারণ টকিয়া লও না, জন। স্বরবর্ণগলো চেনা শেষ করিয়া বঙ্গি সময় পাও ব্যঞ্জনবর্ণ গলাও কতকটা চিনিয়া রাখতে পারবে।"