পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

曲 可幫 圖 মহেন্দুের দঢ় প্রতিজ্ঞা’. শ্বির-সঙ্কলপ’, ‘সংযম-সাধনা', কোথায় ভাসিয়া গিয়াছে, তাহার আর খোঁজ নাই। দিনের পর দিন, পরপরের নেশায় দুজনে মসগল হইয়া রহিল। সেদিন বিকালে মহেন্দু মেমসাহেবকে পড়াইতে গিয়া দেখিল, সে লানমখে বসিয়া আছে, টেবিলের উপর একখানা হলদে খাম। এলসি বলিল, “মোহেন, টেলিগ্রাম আসিয়াছে, কাল প্রাতে আমার স্বামী আসিয়া পেপছিবেন।”—বলিয়া টেলিগ্রামখানি মহেন্দ্রের দিকে ঠেলিয়া দিল। মহেন্দ্র সেখানি পড়িয়া, বিষয়বদনে টেবিলের উপর झर्लाधट्ना लिका । tத এলসি বলিল, “দেখ মোহেন, এখন হইতে আমাদের কিন্তু খুব সাবধানে চলিতে হইবে। শুধ, আমার স্বামী ফিরিয়া আসিতেছেন বলিয়া নয়—তোমায় আমায় লইয়া আমাদের সমাজেও একটা কাণাঘসা চলিতেছে। কেহ কেহ বলিতেছে, একজন নেটিভের সঙ্গে আত মেশামিশি কি জন্য ?” মহেন্দু বলিল, “তবে কি এখন হইতে আমাদের পরপরের সম্প্রবন্ধ ছিন্ন হইবে, এলসি ? তাহা হইলে কেমন করিয়া আমি বাঁচিব, প্রিয়তমে ? ' “তাহা হইলে কি আমিই বাঁচিব ? না প্রিয়তমে, সে হইতেই পারে না। তুমি পবে যেমন আমার স্বামীকে বোজ পড়াইতে আসিতে, পড়াইয়া চলিযা যাইতে, সেইরাপ করিবে। তব চোখের দেখা ত হইবে যাহতে মাঝে মাঝে দুই এক ঘণ্টা করিয়া নিজনে তোমাতে আমাতে মনেব কথা আদান প্রদানের সুযোগ পাই, তাহার একটা ব্যবস্থা ভাবিয়া চিন্তিয়া ঠিক করিয়া লইতে হইবে। তুমি মুখ হাত ধাইয়া লও। চা খাইযা, চল, ময়দানে গিয়া একট বেড়ানো যাক।” সন্ধ্যার পর কেল্লা হইতে বাহির হইয়া ময়দানের এক জনহীন সথানে বক্ষতলের অন্ধকারে বেঞ্চ দেখিতে পাইয়া, সেইখানে দুইজনে বসিয়া, ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে নানা জম্পেনা কল্পনা করিতে লাগিল। অবশেষে সিথর হইল, পাক লেনে অথবা ঐ অঞ্চলের কোনও উপযুক্ত বাড়ীতে, বেনামীতে একখানি ঘর ভাড়া লইতে হইবে। সুযোগমত সঙ্কেত অনুসারে সেইখানেই মাঝে মাঝে উভয়ের দেখা সাক্ষাৎ এবং "মনের কথার আদান প্রদান” চলিবে। এলসি বলিল, “তাহারা বোধ হয় ২৪ মাসের ভাডা অগ্রিম চাহিয়া বসিবে। কিছ আসবাবও আমাদের আবশ্যক হইবে। আমি সেজন্য তোমায় এক হাজার টাকা দিব। আজ রাত্রেই টাকাটা দিয়া রাখিব—নইলে আমার স্বামী আসিলে অসুবিধা হইতে পারে। এখন ওঠা স্বাক চল, আমাদের ডিনারের সময় হইয়া আসিল।” মেজর গ্রীণ পরদিন প্রাতে আসিয়া পেপছিলেন। বিকালে যথানিয়মে মহেন্দু তাঁহাকে পড়াইতে গেল। মেজর সাহেব পড়িলেন না—মহেন্দুকে চা খাওয়াইয়া, হাসি-খাসী গল্পগজেবে সময় কাটাইয়া তাহাকে বিদায় দিয়া সম্প্রীক টমটমে হাওয়া থাইতে বাহির হইলেন। পরদিনও এইরুপ হইল। এ দই দিন এখান হইতে বিদায় হইয়া, মহেন্দু পাক লেন অঞ্চলে “উপযন্ত বাড়ীতে খালি ঘর খাজিয়া বেড়াইল। কিন্তু তখন রাত্রি—কোথাও কোনও সুবিধা করিতে পারিল না। সতরাং সে স্থির করিল, রবিবারে এই পাড়ায় আসিয়া এ কার্যটি সম্পন্ন করিবার চেষ্টা করিবে । তৃতীয় দিন, অফিসে মেজব সাহেব মহেন্দুকে একান্তে ডাকিয়া কহিলেন, “মোহেন, আমার এখন অনেক কাজ পড়িয়াছে। এখন আমি আর বাঙ্গলা পড়িবার সময় পাইব ना। आब्र-cऊाभाब्र कब् कब्रिज्ञा आभाब्र बूठेिरठ आनाब्र टरब्राछन नाई।”-वजिग्ना ठिान