পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

←& গল্প-গ্রক্ষলী শ্রোতৃগণের মধ্যে একজন বলিলেন, “সেই বহু লক্ষপতি প্রতাপ ঘোকালের ছেলে ধীরেন ঘোষাল ?” দত্ত সাহেব বলিলেন, “সেই ৷” 鹹 “হ্যাঁ-বিলেতে পৌছে আমি তার কথা শুনেছিলাম। আহা ! বেচারি বসন্ত রোগে মারা গিয়েছিল। তারই কোনও প্রণয়-ঘটিত ব্যাপারের কথা তুমি বলছ নাকি ? শানেছিলাম, সে ত অত্যন্ত ভালমানষে ছিল—নিতান্ত গোবেচারী।” দত্ত সাহেব সিগারেট ধরাইয়া বলিলেন, “ভালমানষে গোবেচারীরা প্রেমে পড়বে না ত পড়বো কি তুমি আমি ? রাজহংসের মত ক্ষীরটকু খেয়ে নীরটকু বন্জন করাই ছিল আমাদের প্রথা। কিন্তু সেটা কি সকলে পারে ভায়া ? তার কথা, সে একটা রীতিমত বা রোমাঞ্চকর ব্যাপার । ক'টা বাজলো ? ১১টা। শনবে সে কথা ?” সেন সাহেব, হুইস্কির গলাসে একটা লবা চমকে দিয়া বলিলেন, “The night is young yet. Fire away." (FEFNA gefR KAREt—TffæTRT TRs 1) fরজনী এখনও যাবতী—বলিয়া বাও ।) দত্ত সাহেব তখন যে কাহিনী বিবত করিলেন, আমরা নিম্নে তাহার সার সংকলন झब्रिट्ना क्रिष्णाष ॥ ধীরেন প্রথমে যখন বিলাতে পদাপণ করিল, তখন সে একটি জানোয়ার বলিলেই হয়। তখনও টাই বাঁধতে শিখে নাই-বাঁধা টাই ব্যবহার করিত। পেভমেন্টকে বলিত ফটেপাত, রেস্টোরীকে বলিত হোটেল, এবং পাস’কে বলিত মনিবাগ যাহারা হইডিক ব্ল্যান্ডি পান করে, তাহাদিগকে সে ভয়ানক দশচরিত্র ও নিতান্ত নরাধম জ্ঞান করিত। বিলাতে আমি ছাড়া তাহার পর্বোপবিচিত কোনও বন্ধ ছিল না—সতরাং সে আসিয়া আমার বাসাতেই উঠিল—আমিই স্টেশনে গিয়া তাহাকে নামাইয়া আনিয়াছিলাম। তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “কি পড়বে ?” “প্রথমতঃ ইঞ্জিনিয়ারিং। তারপর, ডিগ্রী নিয়ে, জাহাজ-নিন্মাণ শিখতে বাবা বলে দিয়েছেন। বাবার মংলব আছে, ভবিষ্যতে একটা কোম্পানি গঠন করে, জাহাজ নিম্মাণের কারখানা খলবেন।” “তা হলে ত অন্ততঃ বছর পাঁচেকের ধাক্কা বল। তা, বাবা মাসে মাসে কত পাউণ্ড করে তোমায় পাঠাবেন ?” “পাঠাবেন কি ? সমস্ত টাকাই আমাব সঙ্গে তিনি দিয়েছেন, অথাৎ ড্রাফট দিয়েছেন। ড্রাফট ভাঙিয়ে নিয়ে, কোনও ব্যাকে জমা রাখতে বলেছেন—প্রয়োজন মত মাসে মাসে বের করে নিতে হবে।” “কত পাউণ্ড ?” “চার হাজার।” वर्ताम् वियट्न किंनु जैट्ठिग्राम । বলিলাম, “চার হাজার পাউন্ড ? ষাট হাজার টাকা ? Lucky dog !” (ভাগ্যবান কুকুর ) ধীরেন বলিল, “বাবা বলেছেন, বিদেশ বিভুই—হঠাৎ কোনও বিপদ আপদ হয়, ব্যারাম পীড়া হয়,-কিছর বেশী টাকা সঙ্গে থাকা ভাল। যা অবশিষ্ট থাকবে, ফেরবার সময় দেশে নিয়ে যেতে বলে দিয়েছেন।” আমি বলিলাম, “আদশ পিতা! কিন্তু, পত্রেরত্ন যদি তার এই কাঁচা বয়সে, বদখেয়ালিতে টাকাগুলি উড়িয়ে দেয় ?” ধীরেন সগৰ্বে বলিল, “সে বিশ্বাস আমার উপর বাবার আছে। জন্মকাল থেকে এই ২৫ বৎসর তিনি আমার উপর সতক দটি রেখেছেন, এ তিনি বেশ জানেন, অন্যায় ছাকেস্টোকা ওড়াবার ছেলে আমি নই!”