পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বিতীয় সম্ভার).djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ल्लौ-नभांछं হইয়াই লক্ষ্য করিল, সংবাদটা শুনাইয়া তাহার কাছে যেরূপ উৎসাহ ও উত্তেজনা আশা করা গিয়াছিল, তাহার কিছুই পাওয়া গেল না। বরঞ্চ মনে হইল, সে হঠাৎ যেন একেবারে বিবর্ণ হইয়া গিয়া প্রশ্ন করিল, আমি লিখিয়ে দিয়েছিলাম রমেশদ জানতে পেরেছেন ? বেণী কহিলেন, ঠিক জানিনে। কিন্তু জানতে পারবে । ভজুয়ার মকদ্দমায় সব কথাই উঠবে। রম আর কোন কথা কহিল না। চুপ করিয়া ভিতরে ভিতরে সে যেন একটা বড় আঘাত সামলাইতে লাগিল –তাহার কেবলই মনে উঠিতে লাগিল, রমেশকে বিপদে ফেলিতে সে-ই যে সকলের অগ্রণী, এই সংবাদটা আর রমেশেব অগোচর রহিবে না। খানিক পরে মুখ তুলিয়া জিজ্ঞাসা করিল, আজকাল ওঁর নাম বুঝি সকলের মুখেই বড়দা ? বেণী কহিল, শুধু আমাদের গ্রামেই নয়, শুনচি ওর দেখাদেখি আরও পাঁচ-ছটা গ্রামে স্কুল করবার, রাস্তা তৈরি কববাব আয়োজন হচ্চে ! আজকাল ছোটলোকেরা সবাই বলাবলি করচে, সাহেবদের দেশে গ্রামে গ্রামে একটা দুটো ইস্কুল আছে বলেই ওদের এত উন্নতি । রমেশ প্রচার করে দিয়েচে, সেখানে নূতন স্কুল হবে, সেইখানেই ও দু-শ’ করে টাকা দেবে । ওর দাদামশায়ের যত টাকা পেয়েচে সমস্তই ও এইতে ব্যয় করবে। মোচলমানরা ত ওকে এটা পীর পয়গম্বর বলে ঠিক ক'রে বসে আছে । রমার নিজের বুকের ভিতর এই কথাটা একবার বিদ্যুতের মত আলো করিয়া থেলিয়া গেল, যদি তাহার নিজের নামটাও এর সঙ্গে যুক্ত হইয়া থাকিতে পারিত ! কিন্তু মুহূৰ্ত্তেব জন্য। পরক্ষণেহ দ্বিগুণ আঁধারে তাহাব সমস্ত অন্তরটা আচ্ছন্ন হইয়া গেল । বেণী কহিতে লাগিল, কিন্তু আমিও অল্পে ছাড়ব না । সে যে আমাদের সমস্ত প্রজা এমনি করে বিগড়ে তুলবে, আর জমিদার হয়ে আমরা চোখ মেলে মুখ বুজে দেখব, সে যেন কেউ স্বপ্নেও না ভাবে। এই ব্যাট ভৈরব আচাষি এবার তজুয়ার হয়ে সাক্ষী দিয়ে কি করে তার মেয়ের বিয়ে দেয়, সে আমি একবার ভাল করে দেখব । আরও একটা ফন্দি আছে, দেখি গোবিন্দখুড়ো কি বলে । তার পর দেশে ডাকাতি ত লেগেই আছে। এবার চাকরকে যদি জেলে পুরতে পারি ত, তার মনিবকে পুরুতেও আমাদের বেশী বেগ পেতে হবে না। সেই যে প্রথম দিনটিতেই তুমি বলেছিলে রম, শক্রতা করতে ইনিও কম করবেন না, সে যে এমন সত্যি হয়ে দাড়াবে তা আমিও মনে করিনি। রম কোন কথাই কহিল না। নিজের প্রতিজ্ঞ ও ভবিষ্যদ্বাণী এমন বর্ণে বর্ণে সত্যু 2 ώλ