পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“rटाळभव्र ऎन्ध्रुजाल” ලO` তাহার ভাত যেমন তেমনি পড়িয়া আছে। কত্তার জরুরী তলব মনোরমা কঠোর-স্বরে তাহাকে জানাইল । কাঁদতে কাঁদিতে মনোরমার পশ্চাৎ পশ্চাৎ মোক্ষদা ঘোমটা দিয়া আসিয়া দাঁড়াইল । ইন্দবাব জিজ্ঞাসা করিলেন, “মোক্ষদা, ঐ শরৎ কয়েদী কি তোমার কেউ হয় ?” মোক্ষদা চোখে অঞ্চল দিয়া কাঁদিতে কাঁদতে বলিল, “আমার স্বামী।” “তুমি তা হলে এখানে হঠাৎ এসে পড়নি ? তোমার স্বামী এখানে বদলি হয়ে এসেছে জেনেই তুমি এসেছিলে ?” “আজ্ঞে হা"ি—বলিয়া মোক্ষদা যাইবার উপক্ৰম করিল। ইন্দবাবা কম্পিত-গুবরে বলিলেন, “মোক্ষদা, অন্যায় সন্দেহ করবার জন্যে তুমি আমাদের মাফ কর।” মোক্ষদা গলবসে ভূমিষ্ঠ হইয়া ইন্দবাবকে প্রণাম করিল। মনোরমা সংশয়ভরে জিজ্ঞাস্য-নয়নে স্বামীর পানে • চাহিল। ইন্দবাক চক্ষ নত করিয়া বৃলিলেন, “মোক্ষদা সত্যি কথাই বলেছে।” মনোরমা তখন “চল চল" বলিয়া অাদর করিয়া মোক্ষদার হাত ধরিয়া তাহাকে লইয়া গিয়া. জোর করিয়া ভাতের থালার কাছে বসাইল । পরে জানিতে পারা গেল, বহু দিন স্বামীর অদশন সহ্য করিতে না পারিয়া. তাহাকে মাঝে মাঝে শধে যদি চোখের দেখা দেখিতে পায় এই আশায়, জেলখানার কোনও বাবর বাড়ীতে চাকরি করিবার উদ্দেশ্য লইয়াই মোক্ষদা এ সহরে আসিয়াছিল। প্রতিবেশী ঠিকাদারবাবর পীর এ বাড়ীতে যাতায়াত আছে শনিয়া, সে হাতে সবগ পাইয়াছিল। অবশ্য এতটা সে আশা করে নাই যে, যে বাড়ীতে কমে নিয়োজিত হইবে, তার সবামীও সেই বাড়ীতে প্রতিদিন আসিবেন, তাঁর সঙ্গে কথাবাত্ত কহিবার পর্য্যন্ত সযোগ পাইবে। মনোরমা বলিল, “দেখ, একটা কথা আমার মনে হচ্ছে।” “कूि ?” “শরৎ সেই ষে তোমায় বলেছিল, জেলের অন্ন খেয়ে আমার প্রাণ গেল, আপনার বাড়ী আমি রাঁধবো, তার কারণ আছে। মোক্ষদা প্রায়ই পিছনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে জেলের উঠান দেখতো। আমি ভাবতাম, বুঝি তামাসা দেখছে। তখন কি জানি, ও স্বামীকে দেখছে। শরৎও পাঁচ দিন ওকে দেখে থাকবে। তাই এ বাড়ীতে কাজ করবার জন্যে ছোঁড়ার এত আগ্রহ হয়েছিল।" ইন্দবাব বলিলেন, “তাই সম্ভব। কিন্তু আশ্চৰ্য্য সংযম ওদের। তিন মাস ছিল দু'জনে এক বাড়ীতে, অথচ শেষ দিনটি ভিন্ন—” মনোরমার ছেলে হওয়া পয্যন্ত মোক্ষদা রহিল। বস্তুতঃ জেল হইতে খালাস পাইয়া শরৎ যখন স্ত্রীকে লইতে আসিল, মনোরমার ছেলে তখন দুই মাসের হইয়াছে। “প্রেমের ইন্দ্রজাল’ ७क অবিনাশবাব বেলা ৫টার সময় কলেজ হইতে ফিরিয়া, নিজ শয়নঘরে প্রবেশ করিয়া ধড়া-চড়া ছাড়িতে ছাড়িতে ইতস্ততঃ দটিপাত করিতে লাগিলেন, কিন্তু পত্নী সবেমাকে কোথাও দেখিতে পাইলেন না। ভিতর-বারান্দায় বিকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ঝি,