পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@总芭 গল্প-গ্রন্থাবলী পিতার এই উক্তি শ্রবণ করিয়া বাদশাজাদা কহিলেন—“পথিবী-পালক, একজনকে বিনাদোষে লাঞ্ছনা করা নীতি ও ধর্মসঙ্গত নহে। তদপেক্ষা আমি গিয়া প্রশ্নের উত্তর দিয়া মেহেরগেজকে বিবাহ করিয়া আনিব।” 藝 বাদশাহের পায়মিত্র সভাসদগণ, সকলেই কহিলেন—“বাদশাজাদা যদি নিতান্তই যাইবেন, তাহা হইলে উহার সহিত যথেষ্ট সৈন্যবল প্রেরণ করা হউক, কারণ পথে কি বিপদ উপস্থিত হইতে পারে কিছুই বলা যায় না।” ফলতঃ বাদশাজাদা তহমাশ সৈন্যসামন্ত এবং উস্টপষ্ঠে নানাবিধ রত্নরাজি উপহার লইয়া রমযাত্রা করিলেন। কৈমশ বাদশাহের রাজধানী কুন্তলতুনিয়া (অথবা ইস্তাবল) নগরে পেশছিয়া দেখিলেন, তথায় এক প্রকাণ্ড দাগ দণ্ডায়মান। দগাবারে বাদশাহ ও বাশাজাদাগণের এক হাজার কাটা মণ্ড কলিতেছে। বাদশাজাদার সঙ্গীগণ ইহা দেখিয়া অতিশয় ভীত ও ব্যাকুল হইয়া পড়িলেন এবং তাঁহাকে কহিলেন—“মহাশয়, এখনও নিবত্ত হউন, নতুবা আপনারও মস্তক কাটিয়া এইখানে ঝালাইয়া দিবে।” কিন্তু বাদশাজাদা কাহারও কথায় কর্ণপাত করিলেন না। ከአ সহরের মধ্যে প্রবেশ করিয়া তহমাশ দেখিলেন যে, গহ ও পথাদি অতি রমণীয়। রাজপথে ধালি দমনাথ সৰ্ব্বদা জল ছিটান হইতেছে। পথের পাশবদেশে ফলের বাগান। মালীগণ সৰ্ব্বদা সেই সকল বাগানের শোভা বন্ধন করিতে ব্যস্ত। স্থানে সথানে বাদ্যমঞ্চ গঠিত আছে, সেখানে শানাই ও অন্যান্য বিবিধ যন্ত্র সমধর সঙ্গীত আলাপ করিতেছে। নাগরিকগণ নিশমল বসন পরিধান করিয়া হাস্যমুখে ইতস্তত বিচরণ করেতেছে। নগরের মধ্যে মধ্যে সাধারণ বিহার-রাটিকা। পানাহারের জন্য পথানে স্থানে তাব রচিত হইয়াছে। জরির পদায় বারদেশগুলি অলঙ্কৃত। বাদশাজাদা এইরুপ নগরের শোভাসম্পদ দেখিতে দেখিতে বেড়াইতে বেড়াইতে ক্ৰমে রাজবাটীর সমখে উপস্থিত হইলেন। বারে একটি স্বর্ণ গঠিত ডাকা ছিল এবং সেই ডকায় রত্নের অক্ষরে লেখা ছিল—“যদি কেহ এই নগরে আসিয়া বাদশাজাদী মেহেরঙ্গেজের হস্ত প্রার্থনা করে, তুবে সে যেন এই ডাকা বাজায় ।” বাদশাজাদা তাহা দেখিয়া, আশব হইতে অবতরণ করিয়া, তৎক্ষণাৎ ডঙ্কা বাজাইতে উদ্যত হইলেন। তাঁহার বন্ধগণ তখনও একবার চেণ্টা করিতে লাগুিল, যদি কোনও মতে তাঁহাকে এই ভীষণ দশা হইতে বাঁচাইতে পারে। তাহারা বলিল, “রাজকুমার, অমরা অদ্যমাত্র এই নগরে উপস্থিত হইয়াছি। এখনও ইহার বিষয়ে কিছই অবগত নহি । বাসস্থানও এখনও স্থিরীকৃত হয় নাই । অতএব এখন নিবত্তে হউন, পরে একদিন সময়মত ডঙ্কা বাজাইবেন।” তহমাশ কন্ধে হইয়া বলিলেন, “আমি কি এখানে ব্যথা সময়ক্ষেপ করতৃে আসিয়াছি ? ডাকা বজাইলে আমি রাজসমীপে নীত হইব। আমার পরিচয় পাইলে বাদশাহ অবশ্যই আমার থাকিবার সথান প্রভৃতি বন্দোবস্ত করিয়া দিবেন।” বলিয়া সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেই ডঙ্কা লাজাইয়া দিলেন। ডঙ্কা বাজিবামাত্র রাজবাটী হইতে লোক আসিয়া তাঁহাকে কৈমশশাহ বাদশাহের নিকট লইয়া গেল। কৈমশশাহ বাদশাজাদা তহমাশের রপদশনে অত্যন্ত মগধ হইলেন । তাঁহার মনে অত্যন্ত স্নেহ উপস্থিত হইল। পরিচয় পাইয়া বলিলেন—বৎস, তুমি কেন প্রাণ দিতে এখানে আসিয়াছ ? আমার কন্যা অতি রূপবতী বটে, কিন্তু তাহার হদয় পাষাণের মত কঠিন। কত কত বাদশাহ ও বাদশাজাদাকে সে যে প্রশ্নেনাত্তর দানে অক্ষম বলিয়া হত্যা করিয়াছে তাহার ইয়ত্তা নাই। সুতরাং আমার অনুরোধ, তুমি এ কঠিন मृच्कृङp vब्रिखाका कब्र ॥” বলা বাহুল্য তহমাশ কোন মতেই নিজ প্রতিজ্ঞা হইতে বিচলিত হইলেন না। তখন