পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালিদাসের বিবাহ (నిఫ్ఫిరి চাঁপা বলিল, “সে, যার সঙ্গে যার ভবিতব্যতা আছে, তার সঙ্গে তার বিয়ে হবে। কিন্তু তোমার মথে এ ব্যঙ্গ শোভা পায় না চড়ামণি ! যারা চাকর-বাকর, তারা চাকরక్గా గా శాఖా కాr-ణా శా కాగా ఇs ** ! o চড়ামণি বলিল, “আ-আমার মত সপাত্র তোমার আদলেট নেই; কাজেই দ-দষ্ট সরস্বতী তোমার সকলেখ ভর করে তোমার মা-মখে দিয়ে ঐ সকল কথাগুলো বলালেন। নি-নি-নি-নিজের পায়ে নিজে কেউ কুড়ল মারলে, অন্য লোকে আর কি-কি-কি করবে বল ! আমি বুঝি হলাম চাকর-বাকর P বলি রা-রাজকন্যে, তো-তোমার বাবার এই রা-রাজ্যটা চালাচ্চে কে ? সে খবর রাখ কি ? তোমার বাবার ত ভারি মম-মরদ কিনা ?—আমার বাবা না থাকলে, এ রাজ্য যে এতদিন কবে লো-লো-লোপাট হয়ে যেত । তোমার বিয়ের স-স-সময় হলে, তোমার বাবা ত আমার বাবাকেই পা-পা-পা-পাত্র খুজে আনতে বলবেন —তুমি দেখো তখন কেমন এক পা-পাত্র নিয়ে আসি তোমার জন্যে । এর শোধ সেই সময় যদি না তুলি, তবে আমার নাম চ-চ-চড়ামণিই নয় ।” রাজকন্যা ব্যঙ্গভরে হাসিয়া বলিল, “কি শোধটা তুলবে, চড়ামণি ?” চড়ামণি ইহাতে আরও চটিয়া বলিল, “কি শোধটা তু-তুলব, শনবে তুমি ?—আজ থেকে আমার এই পি-পি-পিতিজ্ঞে রইল, একজন আকাট গ-গণ্ডমখন গরীবকে এনে তোমার সঙ্গে বি-বিযে দেওয়াব তবে ছাড়ব। তা-তা যদি আমি না পারি, তু-তু-তুমি ছরি দিয়ে আমার এই কা-কা-কাণ দটি কে-কে-কে-কে-কে-কেটে নিয়ে তোমার শোবার ঘরের দে-দে-দেওয়ালে পে-পে-পেরেক পুতে টা-টা-টাঙ্গিয়ে রেখ ।” চাঁপা ওঠ ও নাসিকা সফীত করিয়া বলিল, “যে লক্ষবা লম্বা কাণ, দেওয়ালে টাঙ্গালে মেঝেয় লাটোবে যে ” “আ-আ-আমার কা-কা”—করিয়া চড়ামণি কি বলিতে যাইতেছিল। তাহার প্রতি কোন লক্ষ্য না করিয়া, বেণী দলাইয়া ক্ষিপ্রপদে চাঁপা তথা হইতে চলিয়া গেল। u ङिन u বষের পর বর্ষ কাটিতে লাগিল। রাজকন্যা অন্তঃপ্রচারিণী হইলেন, চড়ামণির সহিত আর তাঁহার দেখা সাক্ষাৎ হয় না। অন্তঃপরেই তিনি অক্লান্ত অধ্যবসায়ে নানা শাস্ত্র অধ্যয়ন করিতে লাগিলেন। বালিকা ক্ৰমে নব যাবতী হইয়া উঠিলেন। চড়ামণি লেখাপড়া ছাড়িয়া দিয়ছে; সে এখন তাস পাশা খেলিয়া, গড়কে ফকিয়া, আভা দিয়া বেড়ায়। রাজকন্যা সে বাল্যকলহ বহনকাল বিস্মত হইয়াছেন–কিন্তু চড়ামণি তাহা মনে পষিয়া রাখিয়াছে। রাজা সত্যবান একদিন তাঁহার প্রধানমন্ত্রীকে ডাকিয়া, কন্যার জন্য একটি যোগ্য পায় অনুসন্ধান করিতে আজ্ঞা দিলেন। 窜 মন্ত্রী গহে আসিয়া পত্রের নিকট রাজাদেশের কথা জানাইয়া বলিলেন, “পন্বেকালে নিয়ম ছিল, রাজার ছেলেমেয়ের বিবাহের জন্যে দেশে দেশে ভাট পাঠান হত। ইনি ভাট না পাঠিয়ে আমাকেই যেতে হরক্রম করলেন । আমার একে এই বড়ো শরীর, তার অম্বলের ব্যারাম, সাত দেশে ঘরে বেড়াবার এই কি আমার বয়স ? রাজার যেমন কাণ্ড!” —বলিয়া বন্ধ মুখখানি অত্যন্ত কাতর করিয়া রহিলেন। চড়ামণি বলিল, “ঠিক কথাই ত বাবা। আপনি বড়ো হয়েছেন, এখন কি আর দেশ বিদেশে ঘরে বেড়ানো আপনার পোষায় ? আপনি বাড়ীতে থাকুন, আমিই বরং বাই, ভাল দেখে একটি পার খুজে আনি।”